মাতাল হয়ে বিশৃংখলা করলে বেধে পুলিশে দিবেন : রিয়াদ চৌধুরী
Published: 2nd, February 2025 GMT
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার বিকেলে ফতুল্লার কোতালেরবাগ ক্রীড়া চক্র ক্লাবের সামনে এই দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কোতালেরবাগ ক্রীড়া চক্র ক্লাবের সহ-সভাপতি মোঃ আরব আলী প্রধানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধূরী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী বলেন, এই কোতালের বাগ ক্রীড়া চক্র একটি অ ক্লাব। কোতালের বাগ এলাকা বিএনপির অধুষিত্য এলাকা। এলাকার ঘরে ঘরে বিএনপির কর্মী ও সমর্থক ছিলো।
এই এলাকার উন্নয়নে যাদের কোন অবদান নেই সেই একটি পরিবারের কুলাঙ্গাররা এই এলাকার ছাত্রদল করতো ইবু কে অস্ত্র হাতে তুলে দিয়ে বিপথগামী করে তাদের স্বার্থ হাসিল করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়ে প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। ঐ পরিবারের কুলাঙ্গারেরা এখনো এলাকার মানুষের উপর নির্যাতন করে।
নিজ আত্নীয়-স্বজনরা পর্যন্ত কুলাঙ্গারের হাত থেকে রেহাই পায়নি। এলাকাবাসীর দাবীর মুখে তিনি ক্লাবটির রেজিস্ট্রেশন করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে যারা আন্দোলনকারীদের উপর গুলি চালিয়েছিলো এবং বিএনপির মিছিলে গুলি চালিয়েছিলো তাদের কেউ এই ক্লাবে থাকলে উন্নয়ন হবেনা। একটি স্কুল নির্মাণ করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
তিনি ক্লাবের কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্য করে বলেন এই ক্লাব এবং এলাকায় কেউ মদ, ফেন্সি সেবন করে মাতাল হয়ে মাতলামি করলে তাদের কে বেধে রাখবেন, পুলিশকে সংবাদ দিয়ে তাদের কে তুলে দিবেন। সে যেই হউক না কেনো কোন কোন প্রকার ছাড় দিবেন না।
রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী উপস্থিত নেতা-কর্মী ও মুরুব্বিদের উদ্দেশ্যে বলেন,আপনারা সমাজের জন্য কাজ করেন। সাধারন মানুষ যাতে কোন প্রকার কস্ট না পায় সেদিকটা খেয়াল রাখবেন। যাতে মানুষ না বলে আগেই ভাল ছিলাম। তিনি বর্তমান সরকারকে উদ্দেশ্য করো বলেন, আপনারা অতি দ্রূত একটি গ্রহনযোগ্য নির্বাচন দিয়ে নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা থানা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক রুহুল আমিন শিকদার,ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবয়াক জাকির হোসেন রবিন,ফতুল্লা থানা যুবদলের আহবায়ক আব্দুল খালেক টিপু,ফতুল্লা থানা বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক সাগর সিদ্দিকী, কোতালেরবাগ ক্রীড় চক্র ক্লাবের সাধারন সম্পাদক মোঃ আমির হোসেন,সাংগঠনিক সম্পাদক আওলাদ হোসেন, জাকির হোসেন।
এ ছাড়া অন্যানদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা ইউনিয়ন শ্রমিক দলের আহবায়ক মোঃ বাদল প্রধান,ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক এস,কে শাহিন, মোঃ মামুন হোসাইন, সদস্য হারুনুর রশীদ, আরিফ প্রধান,ফতুল্লা ইউনিয়ন ৫ নং ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি মোঃ মিঠু খান, সাধারন সম্পাদক মোঃ সৈকত রাজ।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ উপস থ ত ব এনপ র এল ক র
এছাড়াও পড়ুন:
ফতুল্লায় প্রয়াসের ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
ফতুল্লার লামাপাড়ায় মাদকাসক্ত পূনর্বাসন ও সহায়তা কেন্দ্র প্রয়াসের ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রয়াসের ২২তম প্রতিষ্ঠাবাষির্কী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা, কোর্স সমাপনী সনদ প্রদান, বিভিন্ন মেয়াদে সুস্থতার বর্ষপূর্তি ও খেলাধূলার আয়োজন করা হয়।
বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে প্রয়াসের জেনারেল ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে এ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়।
মাদকাসক্ত পূনর্বাসন ও সহায়তা কেন্দ্র প্রয়াসের জেনারেল ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেন তার বক্তব্যে বলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলায় মাদকাসক্তদের চিকিৎসা সেবা প্রদানে প্রয়াস বিগত ২২ বছর যাবত নিরবিচ্ছিন্নভাবে সেবা করে যাচ্ছে।
সব ধরনের আইন ও বিধি-বিধান মেনে সেবার মানোন্নয়ন প্রয়াসের বর্তমান লক্ষ্য। শুধু চিকিৎসা সেবা প্রদান নয়, বরং মানসম্পন্ন টেকসই সেবা নিশ্চিত করার জন্য চিকিৎসা পরবর্তী বিভিন্ন কার্যক্রম কেন্দ্রটি পরিচালনা করে থাকে।
জেনারেল ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেন বলেন, প্রয়াসে চিকিৎসা কোর্স সম্পন্নকারীদের সার্টিফিকেট প্রদান, প্রাক্তন সদস্যদের মনিটরিং, বিভিন্ন মেয়াদে সুস্থ থাকার স্বীকৃতি ও জনসচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারনায় অংশগ্রহণ প্রয়াসের টেকসই চিকিৎসা পরিকল্পনার অংশ।
তিনি আরো বলেন, আমরাই প্রথম নারায়ণগঞ্জে ৪০ বেডে লাইসেন্স প্রাপ্ত মাদকাসক্ত চিকিৎসা কেন্দ্র। প্রয়াসের প্রতিষ্ঠা ২০০৩ সালে হলেও আমরা লাইসেন্স পেয়েছি ২০০৬ সালে। গত ২০২১ সাল থেকে আমরা প্রতিবছর সরকারি অনুদানের জন্য নির্বাচিত হয়ে আসছি।
এসময় তিনি অভিভাবক প্রতিনিধি ও প্রাক্তন সদস্যদের প্রয়াসের সামগ্রিক কার্যক্রমে সংযুক্ত থাকার জন্য ধন্যবাদ জানান।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, মাদকাসক্ত পূনর্বাসন ও সহায়তা কেন্দ্র প্রয়াসের কাউন্সিলর মোঃ সাইফুল ইসলাম, অফিসার এডমিন সাজ্জাদ হোসেন, প্রোগ্রাম অফিসার শেখ ফরিদ উদ্দিন ও মেডিকেল অফিসার ডা. রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ। অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, শওকত হোসেন, লিটন, আমজাদ, বাবুসহ রিকোভারীবৃন্দ।