সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার বিকেলে ফতুল্লার কোতালেরবাগ ক্রীড়া চক্র ক্লাবের সামনে এই দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

কোতালেরবাগ ক্রীড়া চক্র  ক্লাবের সহ-সভাপতি মোঃ আরব আলী প্রধানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধূরী। 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী বলেন, এই কোতালের বাগ ক্রীড়া চক্র একটি অ ক্লাব। কোতালের বাগ এলাকা বিএনপির অধুষিত্য এলাকা। এলাকার ঘরে ঘরে বিএনপির কর্মী ও সমর্থক ছিলো। 

এই এলাকার উন্নয়নে যাদের কোন অবদান নেই সেই একটি পরিবারের কুলাঙ্গাররা এই এলাকার ছাত্রদল করতো ইবু কে অস্ত্র হাতে তুলে দিয়ে বিপথগামী করে তাদের স্বার্থ হাসিল করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়ে প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। ঐ পরিবারের কুলাঙ্গারেরা এখনো এলাকার মানুষের উপর নির্যাতন করে।  

নিজ আত্নীয়-স্বজনরা পর্যন্ত কুলাঙ্গারের হাত থেকে রেহাই পায়নি। এলাকাবাসীর দাবীর মুখে তিনি ক্লাবটির রেজিস্ট্রেশন করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে যারা আন্দোলনকারীদের উপর গুলি চালিয়েছিলো এবং বিএনপির মিছিলে গুলি চালিয়েছিলো তাদের কেউ এই ক্লাবে থাকলে উন্নয়ন হবেনা। একটি স্কুল নির্মাণ করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।

তিনি ক্লাবের কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্য করে বলেন এই ক্লাব এবং এলাকায় কেউ মদ, ফেন্সি সেবন করে মাতাল হয়ে মাতলামি করলে তাদের কে বেধে রাখবেন, পুলিশকে সংবাদ দিয়ে তাদের কে তুলে দিবেন। সে যেই হউক না কেনো কোন কোন প্রকার ছাড় দিবেন না।

রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী উপস্থিত নেতা-কর্মী ও মুরুব্বিদের উদ্দেশ্যে বলেন,আপনারা সমাজের জন্য কাজ করেন। সাধারন মানুষ যাতে কোন প্রকার কস্ট না পায় সেদিকটা খেয়াল রাখবেন। যাতে মানুষ না বলে আগেই ভাল ছিলাম। তিনি বর্তমান সরকারকে উদ্দেশ্য করো বলেন, আপনারা অতি দ্রূত একটি গ্রহনযোগ্য নির্বাচন দিয়ে নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা থানা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক রুহুল আমিন শিকদার,ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবয়াক জাকির হোসেন রবিন,ফতুল্লা থানা যুবদলের আহবায়ক আব্দুল খালেক টিপু,ফতুল্লা থানা বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক সাগর সিদ্দিকী, কোতালেরবাগ ক্রীড় চক্র ক্লাবের সাধারন সম্পাদক মোঃ আমির হোসেন,সাংগঠনিক সম্পাদক আওলাদ হোসেন, জাকির হোসেন।

এ ছাড়া অন্যানদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা ইউনিয়ন শ্রমিক দলের আহবায়ক মোঃ বাদল প্রধান,ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক এস,কে শাহিন, মোঃ মামুন হোসাইন, সদস্য হারুনুর রশীদ, আরিফ প্রধান,ফতুল্লা ইউনিয়ন ৫ নং ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি মোঃ মিঠু খান, সাধারন সম্পাদক মোঃ সৈকত রাজ।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ উপস থ ত ব এনপ র এল ক র

এছাড়াও পড়ুন:

ক্রান্তিকালে বিসিবির প্রস্তুতির অভাব দেখছেন তামিম

জাতীয় দলের দীর্ঘদিনের নির্ভরতার প্রতীক তামিম ইকবাল মনে করছেন, সাকিব-মুশফিক-রিয়াদদের বিদায়ের পর বাংলাদেশের ক্রিকেটে যে সংকট তৈরি হয়েছে, তার জন্য আগেভাগে প্রস্তুত ছিল না বিসিবি। এই পরিস্থিতিতে হাই পারফরম্যান্স (এইচপি), টাইগার্স ও ‘এ’ দলের কাঠামোতে আরও বেশি বিনিয়োগের ওপর জোর দিয়েছেন তিনি।

সমকালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তামিম বলেন, ‘পাঁচজন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার সরে গেছে, যাদের অভিজ্ঞতা ১৫-১৭ বছরের। তারা হাজারের বেশি ম্যাচ খেলেছে। এই মানের ক্রিকেটারদের বিদায়ে শূন্যতা আসবেই। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, বোর্ড কি এই ক্রান্তিকালের জন্য প্রস্তুত ছিল?’

তামিমের মতে, জাতীয় দলের অনেক ক্রিকেটারই এখন ৭-১০ বছর ধরে খেলছেন। এই সময়টাতে তাদের পাশাপাশি ভবিষ্যতের জন্য বিকল্প খেলোয়াড় গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া উচিত ছিল। তিনি বলেন, ‘জাতীয় দলকে যতটা সম্ভব সুযোগ-সুবিধা দিন, কিন্তু ভবিষ্যতের কথা ভেবে এইচপি, টাইগার্স ও “এ” দলে বেশি ফোকাস করুন। এই জায়গাগুলোতে ভালো বিনিয়োগ না হলে জাতীয় দল সবসময় ধুঁকতেই থাকবে।’

তবে সামগ্রিকভাবে দেশের ক্রিকেট নিয়ে আশাবাদী তামিম। তার ভাষায়, ‘আমরা কখনোই তিন সংস্করণে একসঙ্গে ভালো করিনি। এই দলটাকেও যদি সময় দেওয়া হয়, তারা ঘুরে দাঁড়াবে।’

ভবিষ্যৎ তারকা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তামিম বেশ কয়েকজনের নাম তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘পেস বিভাগে তাসকিন আছে, নতুন নাহিদ রানা ভালো করছে। তাইজুল চমৎকার স্পিনার। হৃদয়, জাকের আলীরাও সম্ভাবনাময়। এদের মধ্য থেকেই কেউ কেউ বড় তারকা হয়ে উঠতে পারে।’

সবশেষে তিনি বোর্ডের প্রতি ক্রিকেটারদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘ক্রিকেটারদের আত্মবিশ্বাস দিন, বোঝান– তারা বোর্ডের পূর্ণ সমর্থন পাচ্ছে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ