আগামী নির্বাচনে একজোট হচ্ছে ইসলামী দলগুলো
Published: 2nd, February 2025 GMT
বিএনপির সঙ্গে ১০ দফায় ঐক্যমত হলে আগামী নির্বাচনে ধর্মভিত্তিক দলগুলার জোট গঠনের প্রচেষ্টা অব্যহত রেখেছে চরমোনাইয়ের পীরের নেতৃত্বাধীন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। এ বিষয়ে রোববার তারা মতবিনিময় সভা করেছে মামুনুল হকের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সঙ্গে। রাজধানীর পুরানা পল্টনে ইসলামী আন্দোলনের কার্যালয়ে এ সভা হয়।
দীর্ঘ আদর্শিক বিরোধ থাকলেও গত ২১ জানুয়ারি বরিশালের চরমোনাইয়ে গিয়ে ইসলামী আন্দোলনের আমির তথা সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীমের সঙ্গে সাক্ষাত করেন জামায়াতে ইসলামীর আমির। দুজনেই সেদিন আগামী নির্বাচনে ইসলামপন্থিদের জোটের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন।
আলোচিত এ সাক্ষাতকে ছাপিয়ে যায় ২৬ জানুয়ারি চরমোনাই পীরের সঙ্গে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বৈঠক। ইসলামী আন্দোলনের কার্যালয়ে গিয়ে ন্যূনতম সংস্কারসহ যৌথ স্বাক্ষরে ১০ দফা ঘোষণা করেন বিএনপি মহাসচিব। তখন ধারণা করা হচ্ছিল, আগামী নির্বাচনে বিএনপির দিকেই থাকবে ইসলামী আন্দোলন। তবে সে সময়েও দলটির নেতারা সমকালকে জানিয়েছিলেন, ইসলামী দলের জোট গঠনের প্রচেষ্টা অব্যহত থাকবে।
এদিকে কওমি মাদরাসা ভিত্তিক নিবন্ধিত চার দল, ইসলামী আন্দোলন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, খেলাফত মজলিস এবং জমিয়ত উলামায়ে ইসলামকে নিয়ে জোট করার আলাপ চালাচ্ছে জামায়াত। যদিও খেলাফত মজলিস বিএনপির সঙ্গে ঐক্যমতে পৌছেছে দ্রুত নির্বাচনের দাবিতে।
এমন প্রেক্ষাপটে ইসলামী আন্দোলন ও বাংলাদেশ খেলাফতের বৈঠক হলো। রোববার রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই বৈঠকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রত্যেক আসনে ইসলামী দলগুলোর একক প্রার্থী করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। ইসলামী ও দেশপ্রেমিক দলগুলোর ঐক্যবদ্ধ প্লাটফর্ম তৈরিতে সবাই একমত হয়।
ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ মুহাম্মাদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানীর সভাপতিত্বে এতে বাংলাদেশ খেলাফতের মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দিন, যুগ্ম মহাসচিব আতাউল্লাহ আমীন, শরাফ উদ্দীনসহ জ্যেষ্ঠ নেতারা অংশগ্রহণ করেন। ইসলামী আন্দোলনের পক্ষে ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী আকনসহ জ্যেষ্ঠ নেতারা।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
লাকসামে অস্ত্রের মুখে এতিমখানার ৫ গরু লুট, আহত ৮
কুমিল্লার লাকসামে একটি এতিমখানার খামার থেকে গত শুক্রবার পাঁচটি গরু লুট করে নিয়ে গেছে ডাকাত দল। এ সময় তাদের হামলায় মাদরাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ আটজন আহত হন। মাদরাসা কর্তৃপক্ষ থানায় মামলা করেছে।
গত শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) ভোরে উপজেলার আজগরা ইউনিয়নের বড়বাম আল-জামিয়াতুল ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদরাসা ও এর সংলগ্ন এতিমখানার খামারে ঘটনাটি ঘটে। তিন মাস আগেও এই খামারের সাতটি গরু লুট করেছিল ডাকাতরা।
আরো পড়ুন:
খুলনায় বিএনপি নেতার অফিসে বোমা-গুলি, শিক্ষক নিহত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রতিপক্ষের হামলা: গুলিবিদ্ধ যুবকের মৃত্যু
সোমবার (৩ নভেম্বর) সকালে ঘটনাটি জানাজানি হয়।
এলাকাবাসী জানান, মাদরাসার আয় এই খামারের মাধ্যমে হয়। তিন মাসের ব্যবধানে দুই দফা ডাকাতি হওয়ায় শিক্ষক ও ছাত্রদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। খামারের বড় গরুগুলো লুট হয়ে যাওয়ায় এক পাশ ফাঁকা পড়ে আছে। বর্তমানে খামারে ১১টি গরু অবশিষ্ট রয়েছে।
খামারের সামনে পড়ে আছে ডাকাত দলের ব্যবহৃত তুষের বস্তা, যা দিয়ে গরুগুলো পিকআপ ভ্যানে তোলে তারা। গরু উদ্ধার এবং ডাকাত দলের সদস্যদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
মামলার বাদী এবং মাদরাসার শিক্ষক ইমরান হোসাইন জানান, গত শুক্রবার ভোরে একদল ডাকাত দুটি পিকআপ ভ্যান নিয়ে এসে অস্ত্রের মুখে মাদরাসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে। শিক্ষকদের মারধর করে তাদের মোবাইল ফোন নিয়ে যায় ডাকাতরা। তারা খামারে ঢুকে কেয়ারটেকার উৎসব হোসেনকে বেঁধে একে একে পাঁচটি গরু পিকআপ ভ্যানে তুলে নেয়। শিক্ষক ও ছাত্রদের চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে আসলে ডাকাতরা পালিয়ে যায়।
মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা শরীফুল আলম খন্দকার জানান, খামারের আয়ের ওপর ভিত্তি করে মাদরাসার কার্যক্রম চলে। তিন মাস আগেও এই খামারের সাতটি গরু নিয়ে যায় ডাকাতরা।
লাকসাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাজনীন সুলতানা বলেন, “লুট হওয়া গরু উদ্ধার এবং ডাকাতদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে। মাদরাসার শিক্ষক ইমরান হোসাইন বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন।”
ঢাকা/রুবেল/মাসুদ