স্মার্টফোন কেনার পর বিক্রয়োত্তর সেবা নিয়ে কমবেশি উদ্বেগ সব ক্রেতার মধ্যেই লক্ষ্য করা যায়। দুশ্চিন্তা লাঘবে প্রযুক্তি ব্র্যান্ড ইনফিনিক্সের নিজস্ব পরিষেবা অংশীজন কার্লকেয়ার চালু করেছে ফ্রি সার্ভিস ডে, যা চালু থাকবে প্রতি শনিবার।
স্মার্টফোন ব্যবহারকে সহজবোধ্য, সাশ্রয়ী ও সহজ করার উদ্দেশ্যে চালু হওয়া এমন উদ্যোগ গ্রাহকসেবায় দেবে নতুন অভিজ্ঞতা।
কার্লকেয়ারের সাপ্তাহিক ফ্রি সার্ভিস দিনে থাকছে ডিভাইস ক্লিনআপ, প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার আপডেট ও মেরামতের সুবিধা। গ্রাহককে দেবে পেশাদার ও
সহজলভ্য সেবা।
সারাদেশে কার্লকেয়ারের ৭৪টি সার্ভিস পয়েন্ট রয়েছে, যার মধ্যে ১৪টি ফ্লাগশিপ সার্ভিস সেন্টার। রাজধানীতে সেবা দেবে ৯টি সেবাকেন্দ্র। ঢাকায় কার্লকেয়ারের মানোন্নত সেবাকেন্দ্রের মধ্যে রয়েছে বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্স, বাড্ডা ও মিরপুরে।
প্রতি শনিবার পাবেন একাধিক বিশেষ সুবিধা, যার মধ্যে বিনামূল্যে স্মার্টফোন ক্লিনআপ ও ফ্রি সফটওয়্যার আপডেট অন্যতম। বিক্রয়োত্তর সেবার বাইরে থাকা মেরামতকৃত যে কোনো পরিষেবায় পাওয়া যাবে বিশেষ ছাড়।
শনিবার মেরামতের ক্ষেত্রে সার্ভিস চার্জ সম্পূর্ণ বিনামূল্যে দেওয়া হবে, যা গ্রাহককে বাড়তি সাশ্রয় দেবে। ফ্রি সার্ভিসের দিনে আসা সবাইকে দেওয়া হবে উপহার।
বিশেষ সেবা কার্যক্রমের মাধ্যমে গ্রাহকের জন্য সহজ, নির্ভরযোগ্য ও ঝামেলামুক্ত সেবা নিশ্চিত করতে চায় ব্র্যান্ডটি। ব্যস্ত শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে কর্মজীবী পেশাজীবী– সবাই যেন তাদের দৈনন্দিন ব্যস্ততায় নির্বিঘ্নে নির্ভরযোগ্য বিক্রয়োত্তর সেবা পেতে পারেন, সেটিই এমন উদ্যোগের প্রধান লক্ষ্য।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: গ র হক
এছাড়াও পড়ুন:
বদলি নীতিমালা সংশোধনের দাবি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের
বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের সুপারিশপ্রাপ্ত এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলির সুযোগ দাবি করেছে বাংলাদেশ শিক্ষক ঐক্য পরিষদ।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে নীতিমালা ২০২৪ এর আওতাভুক্ত জেনারেল শিক্ষকদের নিজ বিষয় ও পদের অনুকূলে যেকোনো অধিদপ্তরে স্বয়ংক্রিয় সফটওয়্যার আপগ্রেডেশনের মাধ্যমে এ বদলির দাবি জানান তারা
বর্তমানে দেশে প্রায় ৩৮ হাজার ৩২২টি স্কুল-কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ২ হাজার ৫৭টি, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১৬ হাজার ৫১৬ টি এবং স্কুল অ্যান্ড কলেজ রয়েছে অন্তত ৪ হাজার।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের শূন্যপদে বদলি নীতিমালা ২০২৪ প্রকাশিত হয়েছে। এ জন্য অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। বদলি নীতিমালার মাধ্যমে জেনেছি, স্ব স্ব অধিদপ্তর স্বয়ংক্রিয় সফটওয়্যারের মাধ্যমে বদলি কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে। কিন্তু আমাদের প্রথম থেকেই দাবি ছিল অধিদপ্তর নির্বিশেষে শূন্যপদে বদলি চালু করা। স্কুল-কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি অধিদপ্তরের সাধারণ শিক্ষকদের প্রয়োজনীয় তথ্য (ইনডেক্স) বদলি সিস্টেমের সঙ্গে ইন্টিগ্রেশন করে সফটওয়্যার আপগ্রেডেশনের মাধ্যমে ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের সমপদ/সমস্কেলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যেকোনো অধিদপ্তরের প্রতিষ্ঠানে আবেদনের সুযোগ দেওয়া অতীব জরুরি।
তারা বলেন, প্রায় ৩৮ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মাদরাসা ও কারিগরির জেনারেল শিক্ষকদের শুধু নিজস্ব অধিদপ্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বদলি করলে জেনারেল শিক্ষকদের সঙ্গে চরম বৈষম্য করা হবে। কারণ মাদরাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানের (মাত্র ১২ হাজারের মত) সংখ্যা স্কুল-কলেজের তুলনায় চার ভাগের এক ভাগ। মাদরাসা/কারিগরির জেনারেল শিক্ষকদের সঙ্গে এমন বৈষম্য বর্তমান বৈষম্যবিরোধী সরকারের নীতির পরিপন্থি।
বক্তারা আরও বলেন, এনটিআরসিএর মাধ্যমে সুপারিশপ্রাপ্ত ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের শূন্যপদের বদলি নীতিমালা-২০২৪ সংশোধন করে সব বৈষম্য দূর করে মাদরাসা ও কারিগরি থেকে স্কুল-কলেজে এবং স্কুল-কলেজ থেকে মাদরাসা ও কারিগরিতে যাওয়ার জন্য একই সফটওয়্যারের অথবা ইনডেক্স ট্রান্সফারিং মাধ্যমে দ্রুত বদলির ব্যবস্থা চালুর দাবি জানাচ্ছি।
মানবন্ধনে সংগঠনের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন সহকারী শিক্ষক সাকিবুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম, মো. শরিফুল, মো. আজাদ, প্রভাষক হুসাইন আলী, মো. আজিজুল হক প্রমুখ।
ঢাকা/রায়হান/মেহেদী