তাজিকিস্তানে কারাগারে দাঙ্গায় ৫ বন্দি নিহত
Published: 4th, February 2025 GMT
তাজিকিস্তানের ভাহদাত শহরের একটি কারাগার থেকে পালানোর চেষ্টার সময় সৃষ্ট দাঙ্গায় কমপক্ষে পাঁচ বন্দি নিহত হয়েছেন। আর এ ঘটনায় আহত হয়েছেন কারাগারটির তিন কর্মচারী।
দেশটির নিরাপত্তা সংস্থার দুটি সূত্র মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছে।
বার্তা সংস্থাটি বলছে, সোমবার নয়জন বন্দি ‘ঘরে তৈরি ছুরি’ নিয়ে কারারক্ষীদের উপর হামলা চালায়। তারা রক্ষীদের হত্যা করে দুশানবে থেকে ২০ কিলোমিটার (১২ মাইল) পূর্বে অবস্থিত পেনাল কলোনি থেকে পালানোর চেষ্টা করেছিল বলে জানিয়েছে দেশটির বিচার বিষয়ক মন্ত্রণালয়। এ ঘটনায় কমপক্ষে পাঁচ বন্দি নিহত হয়েছেন।
মন্ত্রণালয় আরো জানিয়েছে, হামলার ফলে তিনজন কর্মচারী গুরুতর আহত হয়েছেন। তবে তাদের অবস্থা এখন স্থিতিশীল রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র রয়টার্সকে বলেছে, আহতদের মধ্যে কারা প্রশাসনের প্রধানও ছিলেন। তাকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয়।
এই অঞ্চলের একজন বিশ্লেষক আন্দ্রেই সেরেঙ্কো বলেছেন, ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সমর্থকরা পালানোর চেষ্টা করেছিল। তারা কারাগারের উপরে কিছুক্ষণের জন্য আইএসের পতাকা উড়িয়েছে।
এই দাবির সত্যতা যাচাই করতে পারেনি রয়টার্স।
সোমবারের দাঙ্গার ঘটনায় একটি ফৌজদারি তদন্ত শুরু করা হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রসিকিউটরের কার্যালয়।
এর আগে, ২০১৯ সালে পেনাল কলোনি কারাগারে দাঙ্গায় ২৯ জন বন্দী এবং তিনজন রক্ষী নিহত হন। তাজিকিস্তান কর্তৃপক্ষ সে সময় বলেছিল, দাঙ্গাটি চরমপন্থি গোষ্ঠীর সদস্যদের প্ররোচনায় হয়েছিল। পরে ইসলামিক স্টেট এর দায় স্বীকার করে।
২০১৮ সালে তাজিকিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় শহর খুজান্দের একটি কারাগারে দাঙ্গায় ২১ জন বন্দী এবং দুইজন রক্ষী নিহত হন।
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
কেনিয়ায় ভূমিধসে নিহত ২১, নিখোঁজ ৩০
কেনিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় রিফ্ট ভ্যালি অঞ্চলের এলগেয়ো-মারাকওয়েট কাউন্টির চেসোঙ্গোচে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে রাতারাতি ভূমিধস ঘটেছে। কর্মকর্তাদের তথ্য অনুযায়ী, এতে অন্তত ২১ জন নিহত এবং এক হাজারেরও বেশি বাড়িঘর ধ্বংস হয়েছে।
রবিবার (২ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।
আরো পড়ুন:
কক্সবাজারে পাহাড়ধস: কারণ ও করণীয়
বহু জাতি-সংস্কৃতির অন্তর্ভুক্তিমূলক বাস্তবতা দেখতে পাচ্ছি না: সন্তু লারমা
শনিবার (১ নভেম্বর) কেনিয়ার স্বরাষ্ট্রসচিব কিপচুম্বা মুরকোমেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ এক বিবৃতি বলেন, গুরুতর আহত কমপক্ষে ২৫ জনকে এলগেয়ো-মারাকওয়েট কাউন্টি থেকে চিকিৎসার জন্য এলডোরেট শহরে বিমানযোগে স্থানান্তর করা হয়েছে। এছাড়া কমপক্ষে ৩০ জন এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।
তিনি জানান, সেনাবাহিনী ও পুলিশের সহায়তায় রবিবার থেকে উদ্ধার অভিযান পুনরায় শুরু করা হবে।
স্বরাষ্ট্রসচিব আরো জানান, ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে আরো ত্রাণ সামগ্রী সরবরাহের প্রস্তুতি চলছে। এ কাজে সামরিক ও পুলিশের হেলিকপ্টারগুলো প্রস্তুত রাখা রয়েছে।
কেনিয়ার রেড ক্রস পাহাড়ি এলাকা চেসোঙ্গোচের আকাশ থেকে তোলা ছবি শেয়ার করেছে, যেখানে ব্যাপক কাদা ধস ও আকস্মিক বন্যা ছড়িয়ে পড়ার দৃশ্য দেখা গেছে।
সংস্থাটি জানিয়েছে, তারা সরকারের সঙ্গে উদ্ধার প্রচেষ্টা সমন্বয় করছে, যার মধ্যে আহতদের বিমানযোগে স্থানান্তরও রয়েছে।
রেড ক্রস সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘এক্স’-এ এক বিবৃতি বলেছে, বন্যা ও অবরুদ্ধ সড়কের কারণে কিছু ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পৌঁছানো খুবই কঠিন।
চেসোঙ্গোচের পাহাড়ি এলাকা আগেও ভূমিধসের ঝুঁকিতে ছিল। ২০১০ ও ২০১২ সালে কয়েক ডজন মানুষ মারা গিয়েছিল এবং ২০২০ সালে প্রচণ্ড বন্যায় একটি শপিং সেন্টার ভেসে গিয়েছিল।
ঢাকা/ফিরোজ