নারায়ণগঞ্জ মহানগরী ও জেলা জামায়াতের আয়োজনে আসছে ৭ ফেব্রুয়ারি করতে যাচ্ছে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় গণসমাবেশ। হাসিনা সরকারের পতনের পর জামায়াতের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে যে উজ্জীবন এসেছে, তা এই সমাবেশের মধ্য দিয়ে আরেক ধাপ এগিয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জামায়াতের নেতৃবৃন্দ ।

জামায়াতে নেতারা জানান, এই সমাবেশ একটি ঐতিহাসিক উপলক্ষ। এক দশকের বেশি সময় ধরে রাজনৈতিক সংকট, নিপীড়ন, এবং অধিকার হরণ মোকাবিলা করার পর, দলটি জনগণের মাঝে আবার তাদের পুরোনো গ্রহণযোগ্যতা ফিরিয়ে আনতে সফল হয়েছে।

এই সমাবেশের মাধ্যমে দেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিবর্তনের পটভূমি তুলে ধরা হবে এবং জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ভবিষ্যত কৌশল নিয়ে আলোচনা করা হবে। সমাবেশে নারায়ণগঞ্জের সাধারণ জনগণের পাশাপাশি বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

মহানগরী ও জেলা জামায়াতের নেতৃবৃন্দ জানায়, জামায়াতের বিভিন্ন স্তরের কর্মীরা দিনরাত পরিশ্রম করছেন এই সমাবেশ সফল করার জন্য। সমাবেশের স্থানে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক দল কাজ করছে। নারায়ণগঞ্জের কেন্দ্রস্থলে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে ১ লাখের বেশি মানুষের অংশগ্রহণের আশা করা হচ্ছে।

সমাবেশে নারায়ণগঞ্জ মহানগরী জামায়াতের আমীর মুহাম্মদ আবদুল জব্বার এর সভাপতিত্বে দেশের শীর্ষস্থানীয় নেতা ও জামায়াতের আমীর ডা: শফিকুর রহমান সহ কেন্দ্রেীয় নেতারা বক্তব্য রাখবেন। পাশাপাশি, বিভিন্ন সামাজিক এবং রাজনৈতিক ইস্যুতে দলটির অবস্থান স্পষ্ট করা হবে। বিশেষ করে, সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কীভাবে জামায়াত ভূমিকা রাখতে চায় তা বিস্তারিতভাবে উপস্থাপন করা হবে এই গণসমাবেশে।

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ব ল দ শ জ ম য ত ইসল ম ন র য়ণগঞ জ ন র য়ণগঞ জ র জন ত ক

এছাড়াও পড়ুন:

বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে ঐকমত্য না হলে গণভোট ছাড়া উপায় নেই: এবি পার্টি

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে অংশ নিয়ে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেছেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্যে পৌঁছাতে না পারলে গণভোট ছাড়া উপায় নেই।

জুলাই সনদ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া নিয়ে আজ বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক হয়। বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এবি পার্টির চেয়ারম্যান এ কথা বলেন।

ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে মজিবুর রহমান বলেছেন, ‘সংবিধান পরিবর্তন, সংস্কার, সংশোধন, নতুন করে লেখা বা বাতিলের চূড়ান্ত ক্ষমতা জনগণের। আমরা ঐক্যবদ্ধ মতামতের ভিত্তিতে জুলাই সনদ তৈরি করেছি, হয়তো কয়েকটি বিষয়ে কারও কারও “নোট অব ডিসেন্ট” (দ্বিমত) আছে। কিন্তু চূড়ান্ত কোনটা হবে, তা নির্ধারণের মূল ক্ষমতা জনগণের।’

কমিশনের আজকের প্রস্তাবে জুলাই ঘোষণাপত্রের ২২ নম্বর অনুচ্ছেদকে রেফারেন্স আকারে উল্লেখ করায় কোনো কোনো রাজনৈতিক দল ও নেতা জুলাই ঘোষণাপত্রের বৈধতা নিয়ে মন্তব্য করেন। এ বিষয়ে এবি পার্টির চেয়ারম্যান সাংবাদিকদের বলেন, জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে যাঁরা আজ প্রশ্ন তুলছেন, কাল তাঁরা সংসদে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করবেন এবং এই সনদকে প্রশ্নবিদ্ধ করবেন না, তার নিশ্চয়তা কী?

এবি পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সানী আবদুল হক বলেন, সংবিধানে এটা নেই, ওটা নেই বলে সংবিধান সংস্কার করা যাবে না—এই ধারণা অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষাপরিপন্থী। রাজনৈতিক দলগুলো যদি জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতির প্রশ্নে নিজেদের অবস্থান থেকে নমনীয় না হয়, তবে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পুরো প্রচেষ্টা মুখ থুবড়ে পড়বে।

আশঙ্কা প্রকাশ করে এবি পার্টির এই নেতা বলেন, এমন পরিস্থিতি জাতিকে এক গভীর সংকটের দিকে ঠেলে দেবে। সুতরাং জাতীয় স্বার্থে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা জরুরি; অন্যথায় গণভোট ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।

আরও পড়ুনবর্ধিত মেয়াদের আগেই জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতি চূড়ান্ত করতে চায় কমিশন: আলী রীয়াজ৪ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ট্রাম্পকে ইউক্রেনের পাশে থাকার আহ্বান রাজা চার্লসের
  • জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি এখন ১৮ কোটি মানুষের দাবি: জামায়াত
  • ‘ভোটারদের আস্থা নিশ্চিত করা বিএনপির দায়িত্ব’
  • পটুয়াখালীতে সালিস বৈঠকে অংশ নিলে নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে বিএনপি
  • জুলাই সনদের বাস্তবায়নে দেরি হলে জনগণ আবারও রাস্তায় নামবে: জামায়াত নেতা রফিকুল
  • বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে ঐকমত্য না হলে গণভোট ছাড়া উপায় নেই: এবি পার্টি
  • রোহিঙ্গা সমস্যায় রাজনৈতিক সমাধান খুঁজে বের করতে হবে
  • জামায়াত কীভাবে জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধ করার দাবি তোলে: আনিসুল ইসলাম মাহমুদ
  • ফরিদপুরে সীমানা নিয়ে ডিসির চিঠি, এলাকাবাসীর ৫ দাবি
  • নির্বাচনের আগেই জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিতে হবে