ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ১২৩ ফুট উচ্চতার দেশের বৃহত্তম শেখ মুজিব টাওয়ারের মুর‌্যালটি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা উপজেলার শমশেরনগরের সরকারি শেখ মুজিব মেমোরিয়াল কলেজের ম্যুরালটি ভাঙচুর চালায়। পরে বিক্ষুব্ধ জনতা ভাঙচুর করা ম্যুরালের অংশগুলোতে আগুনে পুড়িয়ে দেয়।

স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার কাষ্ঠভাঙ্গা ইউনিয়নের শমশেরনগর গ্রামে ২০২১ সালের দিকে কলেজসংলগ্ন স্থানে দেশের মধ্যে বৃহত্তম ১২৩ ফুট উচ্চতার শেখ মুজিবের নামে একটি টাওয়ার তৈরি করা হয়। এর নাম দেওয়া হয় ‘দ্য স্ট্যাচু অব স্পিচ অ্যান্ড ফ্রিডম’। ওই গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা ও উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ডা.

রাশেদ শমসের এটি তৈরি করেছিলেন। এর ১২৩ ফুট উপরে শেখ মুজিবের ম্যুরালটি স্থাপন করেন। ওই চত্বরেই টাওয়ারের বিভিন্ন পাশে আরও ২০টি ছোট ভাস্কর্য ছিল।

প্রত্যক্ষ্যদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা মিছিল সহকারে ওই স্থানে যায়। তারা টাওয়ারটিতে উঠে শেখ মুজিবের ম্যুরাল ও বিভিন্ন স্থাপনা ভাঙচুর চালায়। শেষে ওই ভাঙচুর করা ম্যুরালের কিছু অংশ বারবাজার শহরে এনে সড়কের উপরে আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে দেয়। 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঝিনাইদহ জেলা কমিটির অন্যতম সমন্বয়ক হোসাইন আহমেদ বলেন,  খুনি শেখ হাসিনার পরিবারের কোনো মুরাল স্থাপনা এ দেশে থাকবে না। সেইসঙ্গে বাংলার জমিনে কোনো ফ্যাসিবাদের চিহ্নও থাকবে না। এজন্য তারা শেখ মুজিবের ওই ম্যুরালগুলো ভেঙে পুড়িয়ে দিয়েছে। এ সময় তাদের সঙ্গে শত শত ছাত্র-জনতা অংশ নেয়।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ঝ ন ইদহ

এছাড়াও পড়ুন:

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর নাম মো. আরিফুল। শুক্রবার বেলা এগারোটার দিকে তিনি ভবন থেকে পড়ে যান বলে জানা গেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রের কর্তব্যরত চিকিৎসক নিংতম বলেন, বেলা এগারোটার দিকে কয়েকজন ওই শ্রমিককে নিয়ে আসেন। অবস্থা গুরুতর দেখে তখনই তাঁকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

নির্মাণাধীন ভবনটির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা মোমিনুল করিম শুক্রবার রাতে প্রথম আলোকে বলেন, ভবনটির নির্মাণকাজ বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। তবে কিছু শ্রমিক ওই ভবনে থাকেন। দুপুরের দিকে তিনি জানতে পারেন একজন শ্রমিক ভবন থেকে পড়ে গেছেন। তাঁকে এনাম মেডিকেলে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিলো। সন্ধ্যাবেলায় তাঁকে জানানো হয় ওই শ্রমিক মারা গেছেন।

তবে এনাম মেডিকেলের ডিউটি ম্যানেজার সুলতান প্রথম আলোকে বলেন, জাহাঙ্গীরনগর থেকে একজন রোগীকে আনা হয়েছিল। উনি ছাদ থেকে পড়ে গেছেন বলে জানানো হয়। মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই তিনি মারা যান।

শুক্রবার রাত পৌনে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক একেএম রাশিদুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি আধা ঘণ্টা আগে খবর পেয়েছি। সঙ্গে সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। এমন একটি ঘটনা আমাদের আগে জানানো হয়নি কেন, তা জিজ্ঞাসা করেছি। বিষয়টি প্রো-ভিসি (এডমিন) দেখছেন।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু
  • বাংলাদেশে নতুন প্রজাতির ব্যাঙ
  • ‘বিচার প্রক্রিয়া ও সংস্কারের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে হবে’
  • জুলাই ডকুমেন্টরিতে ‘ফুটেজ’ না থাকায় জাবি ছাত্রদল নেতার হট্টগোল