চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ সীমান্তে এক বাংলাদেশি কৃষককে পিটিয়ে হত্যার পর লাশ নিয়ে গেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।  

শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) ভোরে উপজেলার রঘুনাথপুর-ফতেপুর সীমান্তের আন্তর্জাতিক পিলার ১০ এর ২ এসএস ও ১০ এর ৪ এসএস-এ ঘটনাটি ঘটে। যা আন্তর্জাতিক সীমানা থেকে বাংলাদেশের প্রায় ২৫০ গজ অভ্যন্তরে বলে জানিয়েছেন উপজেলার দুর্লভপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সাইদুর রহমান।

নিহত বারিকুল ইসলাম (৩৬) একই ইউনিয়নের নামোজগনাথপুর স্কুলছাম গ্রামের সেতাউর রহমানের ছেলে। 

আরো পড়ুন:

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হত্যা: আ.

লীগ নেতা গ্রেপ্তার

নারায়ণগঞ্জে ২১ মামলার আসামি সাদ্দাম গ্রেপ্তার

ইউপি সদস্য সাইদুর রহমান বলেন, “আজ ভোরে রঘুনাথপুর সীমান্তের কৃষি জমিতে সেচ দিতে যান বারিকুল ইসলামসহ পাঁচ থেকে ছয়জন কৃষক। এ সময় ভারতের মুর্শিদাবাদ জেলার সুতি থানার বাজিতপুর ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা তাদের ধাওয়া করে। বাকিরা চলে আসলেও বারিকুল ইসলামকে আটক করে বিএসএফ সদস্যরা। পরে তারা তাকে পিটিয়ে হত্যা করে ভারতের অভ্যন্তরে বাজিতপুর ক্যাম্পের একটি নদীর তীরে নিয়ে বালুর ওপর লাশ ফেলে রাখে।”

নিহতের ভাই সুমন আলী বলেন, “বারিকুল ইসলাম জমিতে সেচ দেওয়ার সময় বিএসএফ সদস্যরা তাকে ধরে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে লাশ নিয়ে যায়। লাশ আনার জন্য বিজিবির সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।”

চাঁপাইনবাবগঞ্জ ৫৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মনির-উজ-জামান বলেন, “এ ঘটনার তথ্য আমাদের কাছে নেই। তাছাড়া পরিবারের সদস্যরা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। ঘটনাটির বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে।”

ঢাকা/মেহেদী/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এসএফ ব র ক ল ইসল ম ব এসএফ সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

জঙ্গি সন্দেহে কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি যুবক

জঙ্গি সন্দেহে কলকাতা পুলিশের বিশেষ টাস্ক ফোর্সের (এসটিএফ) হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে এক বাংলাদেশি নাগরিক। মুফতি আবদুল্লাহ আল মাসুদ নামে ওই বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয় পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার গয়েশপুর পুলিশ ফাঁড়ি এলাকা থেকে। এরপর তাকে ফাঁড়িতে নিয়ে এসে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ চলে। বৃহস্পতিবার এই ঘটনাটি ঘটেছে। 

ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও ভারত থেকে নিজের দেশে ফিরে যাননি মাসুদ। তিনি অবৈধভাবে পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার কাটাগঞ্জ এলাকায় বসবাস করতেন। সম্প্রতি তার বেশ কিছু কর্মকান্ডে সন্দেহ প্রকাশ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এর পরই মাসুদকে ইসলামী উগ্রপন্থী বলে দাবি করে পুলিশে অভিযোগ করা হয়। যেহেতু তার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, তাই পুলিশ তাকে একজন অবৈধ অভিবাসী হিসেবে বিবেচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভারতীয় আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করা হয়েছে। 

বিষয়টি সামনে আসার পরই যথেষ্ট উত্তেজনা ছড়িয়েছে। যদিও এ ব্যাপারে কলকাতা পুলিশের পক্ষে কিছুই জানানো হয়নি। 

অন্যদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় ভারত বাংলাদেশের দিনাজপুর সীমান্ত ও ভোমরা ঘোজাডাঙা সীমান্তে এলাকায় অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন আরো ১১ জন বাংলাদেশি নাগরিক। 

পুলিশ ও বিএসএফের যৌথ অভিযানে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় এক বাংলাদেশি নাগরিককে। আটককৃতে ওই ব্যক্তির নাম পঞ্চানন পাল। তিনি বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গা থানার বাসিন্দা। ভারতে তিনি পরিচয় বদল করে রূপায়ণ পাল নামে বসবাস করছিলেন বলে অভিযোগ। তার কাছ থেকে বাংলাদেশি পাসপোর্ট ছাড়াও ভারতের আধার কার্ড, ভোটার কার্ড ও এমনকি ভারতীয় পাসপোর্ট পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে। 

একইদিনে ভারত থেকে অবৈধ পথে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময়ে ঘোজাডাঙ্গা ভোমরা সীমান্তের কাছে সরুপনগর এলাকার তারালি সীমান্ত থেকে বিএসএফের ১৪৩নম্বর ব্যাটালিয়নের হাতে আটক হয়েছেন আরো বাংলাদেশি নাগরিক। 

সীমান্তরক্ষী বাহিনী জানিয়েছে আটকের পর তাদের স্বরূপনগর থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে রয়েছে তিন শিশু, তিনজন পুরুষ ও চারজন নারী। এর সবাই বাংলাদেশের সাতক্ষীরা এবং খুলনার বাগেরহাটের বাসিন্দা।

সুচরিতা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সিলেট সীমান্তে বাংলাদেশে ঢুকে খুঁটি উপড়ে ফেলে বিএসএফ, স্থানীয়দের প্রতিবাদ
  • পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনে কর্মকর্তা নিয়োগ, বেতন ৫১,০০০ টাকা
  • জঙ্গি সন্দেহে কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি যুবক