বান্দরবানে আলীকদম সীমান্ত হয়ে বাংলাদেশে আনুপ্রবেশকালে শিশুসহ ৩৩ মিয়ানমারের নাগরিককে আটক করেছে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী।

শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলা সদরের আমতলী এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। এদের মধ্যে ৯ জন নারী, ১০ জন পুরুষ ও ১৪ জন শিশু। তারা সবই রোহিঙ্গা। 

স্থানীয়রা জানান, গোপন সংবাদের ভত্তিতে আলীকদম উপজেলা সদরের আমতলী এলাকায় অভিযান চালায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের আলীকদম ব্যাটালিয়ন (৫৭ বিজিবি)। এসময় আমতলী আশ্রয়ণ প্রকল্পের অফিস তল্লাশি করে নারী-পুরুষ ও শিশুসহ মোট ৩৩ জন মিয়ানমারের নাগরিককে আটক করে তারা।

আরো পড়ুন:

খুলনায় মাদক ও জাল টাকার চালান জব্দ, রোহিঙ্গাসহ আটক ২

পশ্চিমবঙ্গে ৪ রোহিঙ্গা গ্রেপ্তার

তারা আরো জানান, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করছে মিয়ানমারের নাগরিকরা। মোটা অর্থের বিনিময়ে তাদের এই অনুপ্রবেশে সহযোগিতা করছে সংঘবদ্ধ একটি দালাল চক্র। বাংলাদেশি দালাল চক্রের সহায়তায় জনপ্রতি ৮ হাজার টাকার বিনিময়ে প্রথমে পাহাড় ভাঙা পাড়া ও মাছকুম পাড়া হয়ে মেনলে পাড়া এলাকায় পৌঁছানো হয় তাদের। সেখান থেকে সিন্দু ও নিন্দু পাড়া হয়ে পোয়ামুহুরীতে পৌঁছে সবাইকে বাংলাদেশিদের মতো কাপড় পরিধান করানো হয়। পরে পোয়ামুহুরী হয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি বাইশারী হয়ে কুতুপালং রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্পে পৌঁছে দেওয়া হয় এসব মিয়ানমারের নাগরিকদের।

আলীকদম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মুমিন বলেন, “আটক রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।”

ঢাকা/চাইমং/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আটক

এছাড়াও পড়ুন:

আলীকদমে নিখোঁজ আরেক পর্যটকের লাশ উদ্ধার

বান্দরবানের আলীকদমে নিখোঁজ হওয়া তিন পর্যটকের মধ্যে আরেকজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার করা লাশটি স্মৃতি আক্তারের (২৪) বলে তাঁর সঙ্গী পর্যটকেরা শনাক্ত করেছেন।

আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আলীকদম উপজেলা সদর থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে তৈনখালের আমতলি ঘাট এলাকায় ভাসমান অবস্থায় লাশটি পাওয়া যায়। গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে এ নিয়ে দুজনের লাশ উদ্ধার করা হলো।

আলীকদম ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা আবদুর রহিম জানিয়েছেন, সকালে স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে লাশের সংবাদ পাওয়া যায়। আমতলি ঘাট থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। বেঁচে ফিরে আসা ১৯ পর্যটককে আলীকদম থানায় রাখা হয়েছে।

পর্যটকদের মধ্যে রাহাত হোসেন নামের একজন জানান, আজকে উদ্ধার হওয়া লাশটি স্মৃতি আক্তারের। তাঁর বাড়ি ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলায়। স্মৃতি আক্তার ও মো. হাসান পর্যটন ব্যবস্থাপনা সংস্থা ট্যুর এক্সপার্টের সহপরিচালক। তাঁদের ব্যবস্থাপনায় এই ভ্রমণ আয়োজিত হয়।

৮ জুন দুটি দলে ৩৩ জন পর্যটক আলীকদম ও থানচি উপজেলার মধ্যবর্তী দুর্গম ক্রিস্টং পাহাড়ে গিয়েছিলেন। পাঁচ দিনের ভ্রমণে এক দলে ১১ জন ও তিন দিনের ভ্রমণের আরেক দলে ২২ জন পর্যটক ছিলেন। গত বুধবার তিন দিনের ভ্রমণ শেষে ২২ জনের দলটি ফিরে আসার পথে প্রবল বৃষ্টিতে হঠাৎ শামুকঝিরি ঝরনায় পাহাড়ি ঢল নামে। তাঁদের মধ্যে ১৯ জন ফিরে এলেও জুবাইরুল, হাসান ও স্মৃতি পেছনের দিকে থাকায় নিখোঁজ হন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল করিম প্রথম আলোকে বলেন, নিখোঁজ তিন পর্যটকের মধ্যে আজ স্মৃতি আক্তার ও গতকাল জুবাইরুল ইসলামের লাশ পাওয়া গেছে। লাশ দুটি বান্দরবান সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। মো. হাসানের লাশ এখনো পাওয়া যায়নি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নিখোঁজ তিনজনকে শনাক্তের জন্য মানবিক কারণে ১৯ জন পর্যটককে থানায় রাখা হয়েছে। তাঁরা না হলে নিখোঁজ তিনজনকে শনাক্ত করার কেউ থাকবে না।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আলীকদমে নিখোঁজ আরেক পর্যটকের লাশ উদ্ধার