বড় পর্দার কাজে আমার ভাগ্য ভালো না: প্রভা
Published: 9th, February 2025 GMT
‘বড় পর্দার কাজে আমার ভাগ্য ভালো না। যতবার আমার কাছে বড় পর্দায় কোনো কাজের প্রস্তাব এসেছে, কাজটা আর শেষমেশ হয়ে ওঠেনি। এই করতে করতে আমারা পুরো অভিনয় জীবন পার হয়ে গেছে। সেজন্য এখন আর কিছু বলি না। যদি ভাগ্যে থাকে তাহলে কাজ হবে।’ বড় পর্দায় অভিনয় প্রসঙ্গে এমনটাই বললেন অভিনেত্রী সাদিয়া জাহান প্রভা।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে সম্প্রতি দেশে এসেছেন প্রভা। শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় একটি অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে গিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। সেখানেই নিজের অভিনয়, ক্যারিয়ার প্রসঙ্গে কথা বলেন এই অভিনেত্রী।
সাদিয়া জাহান প্রভা বলেন, ‘অভিনয়শিল্পীদের নিয়ে অনেকের অনেক ধরনা। অনেকে মনে করেন, অভিনয়ে করতে কোনো কষ্টই হয় না। শুধু মেকাপ নিয়ে সুন্দরভাবে সেজে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে গেলাম আর অভিনয় হয়ে গেলো। আসলে বিষয়টা এমন না। আমাদের অনেক কষ্ট করে কাজ করতে হয়। এটা যারা সামনে থেকে দেখা না তারা বুঝতে পারে না। কষ্ট করে একটি কাজ করার পর যদি তার স্বীকৃতি পাওয়া যায় তাহলে আমাদের দায়িত্ববোধ আরও বেড়ে যায়।’
অভিনয়ের পাশাপাশি বর্তমানে মেকআপ আর্টিস্ট হিসেবে কাজ করছেন প্রভা। যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত ‘দ্য মেকআপ একাডেমি’ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে কাজও করছেন তিনি। তবে অভিনয়কে জীবনে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে চান তিনি।
প্রভার কথায়, ‘আমার আবেগ, অনুভূতি বা ভালোবাসা যেটাই বলি না কেন সেটা হল অভিনয়। এছাড়া মেকআপ আর্টিস্ট হিসেবেও নিজেকে সু-প্রসন্ন প্রসন্ন করা চেষ্টা করছি। সেই সঙ্গে যেকোনো ক্রিয়েটিভ কাজই আমার পছন্দ।’
এসময় শাকিব খানের প্রতি ভালোলাগার কথাও জানা প্রভা। তিনি বলেন, ‘আমার আগে শাকিব খানের কোনো সিনেমা দেখা হতো না। তবে সর্বশেষ তাঁর তিনটা সিনেমাই দেখা হয়েছে। আর ছবিগুলো দেখে আমি তাঁর ভক্ত হয়ে গেছি। বিশেষ করে রাজকুমার সিনেমা, যেটা দেখে মনে হয়েছে শাকিব খান অনেক পরিশ্রম করেছেন।’
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
‘ফিরিয়ে দাও’ থেকে ‘ধূসর সময়’: সিডনিতে একই মঞ্চে মাইলস ও আর্টসেল
সিডনির বসন্তের সন্ধ্যা। লিভারপুলের হুইটল্যাম লেজার সেন্টারের বাইরে তখন লম্বা লাইন—হাতে পতাকা, কাঁধে ব্যাগ, চোখে প্রত্যাশা। সাউন্ডচেকের শব্দ ভেসে আসছে বাইরে। ভেতরে যেন উন্মুখ এক ‘সাগর’, যেখানে মিশে আছে দুই প্রজন্মের মুখ, কণ্ঠ আর স্মৃতি। শনিবার রাতটি হয়ে উঠেছিল প্রবাসী বাঙালিদের জন্য এক ব্যতিক্রমী উৎসব—বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতের দুই যুগের দুই প্রতীক, মাইলস ও আর্টসেল; প্রথমবারের মতো একই মঞ্চে গান করল সিডনিতে।
‘গ্রিনফিল্ড এন্টারটেইনমেন্ট’ আয়োজিত এই ‘মিউজিক ফেস্ট’ ঘিরে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে যে উচ্ছ্বাস তৈরি হয়েছিল, তা যেন উপচে পড়ল সেই রাতে। টিকিট বিক্রি শুরু হওয়ার পরপরই সব শেষ। অনুষ্ঠান শুরুর ঘণ্টাখানেক আগে থেকেই সিডনির দক্ষিণ-পশ্চিম উপশহর লিভারপুলের রাস্তাগুলো ভরে গেল গানের ভক্তে।
আয়োজনের আগে ভিডিও বার্তায় মাইলস জানায় তাদের উচ্ছ্বাস। ব্যান্ডের অন্যতম সদস্য হামিন আহমেদ বলেন, ‘সিডনি বরাবরই আমাদের কাছে বিশেষ কিছু। সম্ভবত ১৯৯৬ সালে আমরাই প্রথম বাংলাদেশি ব্যান্ড হিসেবে অস্ট্রেলিয়ায় পারফর্ম করি। এরপর এ নিয়ে অন্তত পঞ্চমবারের মতো সিডনিতে এলাম। এখানকার দর্শকদের ভালোবাসা সব সময়ই অবিশ্বাস্য।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা জানতাম এটি স্মরণীয় একটি আয়োজন হতে যাচ্ছে। আমরা চেয়েছি সবাই একসঙ্গে গাইবে, চিৎকার করবে—ভক্তরা সেটাই করেছেন।’ গিটারিস্ট তুজো যোগ করেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার পাঁচটি শহরে ট্যুর করছি, কিন্তু সিডনির আবহ একেবারেই আলাদা। দর্শকেরা আমাদের রাতটিকে স্মরণীয় করে দিয়েছেন।’
মঞ্চে আর্টসেল