সাড়ে ৩৭ কোটি টাকার শেয়ার কিনবেন এসিআইয়ের এমডি আরিফ দৌলা
Published: 10th, February 2025 GMT
শেয়ারবাজার থেকে প্রায় সাড়ে ৩৭ কোটি টাকার শেয়ার কেনার ঘোষণা দিয়েছেন এসিআই লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আরিফ দৌলা। আজ সোমবার দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাধ্যমে তিনি শেয়ার কেনার এই ঘোষণা দেন।
ডিএসইতে দেওয়া ঘোষণায় আরিফ দৌলা জানিয়েছেন, তিনি আগামী ৩০ দিনের মধ্যে শেয়ারবাজার থেকে এসিআইয়ের ২৫ লাখ শেয়ার কিনবেন। আজ ঢাকার বাজারে লেনদেন শুরুর প্রথম এক ঘণ্টার মধ্যে এসিআইয়ের প্রতিটি শেয়ারের বাজারমূল্য ছিল ১৫০ টাকা। সেই হিসাবে ২৫ লাখ শেয়ারের বাজারমূল্য দাঁড়ায় সাড়ে ৩৭ কোটি টাকা।
এর আগে গত মাসেও আরিফ দৌলা বাজার থেকে ছয় লাখ শেয়ার কিনেছিলেন। আর এখন নতুন করে ২৫ লাখ শেয়ার কেনা সম্পন্ন করলে এক মাসের মধ্যে তিনি কোম্পানিটির ৩১ লাখ শেয়ার নিজের নামে কেনা সম্পন্ন করবেন।
শুধু আরিফ দৌলা নয়, সম্প্রতি বাজার থেকে এসিআইয়ের উল্লেখযোগ্য পরিমাণ শেয়ার কিনেছেন কোম্পানিটির চেয়ারম্যান ও শিল্পোদ্যোক্তা আনিস উদ দৌলা, পরিচালক সুস্মিতা আনিস। এর মধ্যে আনিস উদ দৌলা ১৬ লাখ ও সুস্মিতা আনিস ১৫ লাখ ১৫ হাজার শেয়ার কিনেছেন। সব মিলিয়ে গত মাসে কোম্পানির তিন পরিচালক আনিস উদ দৌলা, আরিফ দৌলা ও সুস্মিতা আনিস মিলে এসিআইয়ের ৫০ কোটি টাকার বেশি মূল্যের শেয়ার বাজার থেকে কিনেছিলেন। এরপর নতুন করে আরও সাড়ে ৩৭ কোটি টাকার সমমূল্যের শেয়ার কেনার ঘোষণা দিলেন আরিফ দৌলা।
এদিকে কোম্পানির এমডির বড় অঙ্কের শেয়ার কেনার ঘোষণার পরও আজ বাজারে কোম্পানিটির শেয়ারের দামে কোনো ইতিবাচক প্রভাব পড়েনি। দিনের প্রথম এক ঘণ্টার লেনদেনে এসিআইয়ের শেয়ারের দাম ৭০ পয়সা কমে দাঁড়িয়েছে ১৪৯ টাকায়। প্রথম এক ঘণ্টায় কোম্পানিটির মাত্র ১০ হাজার শেয়ারের হাতবদল হয়।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সাবেক সচিব মিহির কান্তিসহ ১০ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
সাবেক সচিব ও উদ্দীপনের পরিচালনা পর্ষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিহির কান্তি মজুমদারসহ ১০ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা ও জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ব্লকের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
দুদকের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মো. তানজির আহমেদ এ তথ্য জানান।
নিষেধাজ্ঞা পাওয়া অন্যরা হলেন- উদ্দীপনের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান জাকিয়া কে হাসান, সাবেক কোষাধ্যক্ষ ড. মো. গোলাম আহাদ, সাবেক সদস্য মো. মাহবুবুর রহমান, সাবেক সদস্য, মো. নজরুল ইসলাম খান, নাহিদ সুলতান, ভবতোষ নাথ, ডা. আবু জামিন ফয়সাল, শওকত হোসেন ও সাবেক নির্বাহী পরিচালক বিদ্যুৎ কুমার বসু।
আবেদনে বলা হয়, দায়িত্ব পালনকালে পরস্পর যোগসাজশে ব্যক্তিগত লাভ ও আত্মসাতের উদ্দেশ্যে মাইক্রোক্রেডিট আইন (২০০৬)-এর ২৪/৩ ধারা ও বিধি (২০১০) এর বিধি ১৯(১) লঙ্ঘন করে আত্মসাতের উদ্দেশ্যে ক্ষুদ্রঋণ তহবিল হতে অনুমোদনহীন নামমাত্র ও স্বার্থসংশ্লিষ্ট গোল্ডব্রিকস ও ব্যাটারি প্রকল্পে যথাক্রমে প্রায় ৮ কোটি ৯৭ লাখ ৮১ হাজার ৩৭৭ টাকা ও ৪ কোটি ৪৮ লাখ ৪৬৬ টাকা বিনিয়োগ দেখিয়ে তহবিল হতে স্থানান্তর করেছেন। উক্ত জালিয়াতি সম্পর্কিত একটি মামলা দুর্নীতি দমন কমিশনে তদন্তাধীন।