দলীয় কার্যক্রম শেষে ফেরার পথে দুর্ঘটনায় আহত বিএনপি নেতার মৃত্যু
Published: 10th, February 2025 GMT
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে দলীয় কার্যক্রম শেষে ফেরার পথে ভ্যানের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে আহত এক বিএনপি নেতা মারা গেছেন। আজ সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
নিহত নেতার নাম মিজানুর রহমান শাহিন (৪৫)। তিনি উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য। এছাড়াও উপজেলার চাপড়া ইউনিয়ন বিএনপির সার্চ কমিটির সদস্য ও সাঁওতা এলাকার মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন। তিনি বলেন, দলীয় কার্যক্রম বেগবান করতে সম্প্রতি ইউনিয়ন ভিত্তিক সার্চ কমিটি গঠন করা হয়েছে। সকালে সার্চ কমিটির কার্যক্রমের জন্য ভাঁড়রা বাজার এলাকায় গিয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকে ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হন বিএনপি নেতা শাহিন। ঢাকা নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বিএনপি নেতা শাহিন মোটরসাইকেলে উপজেলার সান্দিয়ারা- লাহিনীপাড়া সড়কের ভাঁড়রা থেকে সাঁওতার দিকে যাচ্ছিলেন। পথে মাদুলিয়া এলাকায় পৌঁছালে মোটরচালিত ভ্যানের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখান থেকে দুপুর ২টার দিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন চিকিৎসক। সেখানে নেওয়ার পথেই তিনি মারা যান।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
বাড্ডায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে আহত ব্যবসায়ীর মৃত্যু
রাজধানীর বাড্ডায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে আহত ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন (৪০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। আজ রোববার বেলা সোয়া ১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। তবে এ ঘটনায় এখনো থানায় মামলা হয়নি।
আনোয়ারের স্বজনদের অভিযোগ, গত ৮ মে রাত আনুমানিক ১১টার দিকে বাড্ডার ভূঁইয়াবাড়ি টেকপাড়া এলাকায় নুরা পাগলা, শুটার সালাউদ্দিন, মাহিন, ইউসুফ, নয়নসহ কয়েকজন আনোয়ারকে পথরোধ করে মারধর করেন এবং পেটে গুলি করেন। গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে স্থানান্তর করে তাঁকে একাধিক বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবশেষে ১২ জুন আবার তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ মারা যান তিনি।
আনোয়ারের খালাতো ভাই আবদুল জব্বার বলেন, আনোয়ার আগে কাপড়ের ব্যবসা করতেন। পরে তিনি নির্মাণসামগ্রীর ঠিকাদারি শুরু করেন। সব সময় তাঁর সঙ্গে মোটা অঙ্কের টাকা থাকত।
বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, গুলির ঘটনার পর আনোয়ারের পরিবারকে মামলা করতে বলেছিলেন। তখন তাঁরা মামলা করেননি। মারা যাওয়ার পর এখন মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন।
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. ফারুক বলেন, মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহত আনোয়ার হোসেনের গ্রামের বাড়ি বরিশালের হিজলা উপজেলায়। তিনি পরিবারের সঙ্গে রাজধানীর বাড্ডার আনন্দনগর এলাকায় থাকতেন।