সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী ও তাঁর স্ত্রী রুকমিলা জামানের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের ‘রেড নোটিশ’ জারির জন্য অনুমতি চেয়ে আদালতে আবেদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ (ভারপ্রাপ্ত) মো. আবদুর রহমানের আদালতে এই আবেদন করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদকের আইনজীবী মোকাররম হোসাইন প্রথম আলোকে বলেন, আগামী রোববার শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছেন আদালত। গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান সাইফুজ্জামান চৌধুরী।

চলতি বছরের ১৭ এপ্রিল ২০ কোটি টাকা ঋণ জালিয়াতির অভিযোগে সাইফুজ্জামান ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়। সাইফুজ্জামান ও তাঁর স্ত্রীর নামে যুক্তরাজ্যে ৩৪৩টি, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ২২৮টি এবং যুক্তরাষ্ট্রে ৯টি সম্পত্তিসহ অন্যান্য দেশে স্থাবর সম্পদ জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া গত ৫ মার্চ তাঁদের নামে থাকা ৩৯টি ব্যাংক হিসাব জব্দের আদেশ দেন আদালত। এসব হিসাবে ৫ কোটি ২৬ লাখ টাকার বেশি জমা আছে। একই সঙ্গে তাঁদের নামে থাকা ১০২ কোটি টাকার শেয়ার ও ৯৫৭ বিঘা জমি জব্দের আদেশও দেওয়া হয়েছে। ২০২৪ সালের ৭ অক্টোবর আদালত সাইফুজ্জামান চৌধুরী ও রুকমিলা জামানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞাও জারি করেন।

ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবি) থেকে ভুয়া প্রতিষ্ঠানের নামে কোটি কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগে সাইফুজ্জামান চৌধুরী ও তাঁর স্ত্রী রুকমিলা জামানের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা করেছে দুদক। ৪ সেপ্টেম্বর নগরের কোতোয়ালি থানায় সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রায় ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে তাঁদের দুজনের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা করেছিল পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সর্বশেষ ১৬ সেপ্টেম্বর ‘ভুয়া তথ্য’ দিয়ে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবি) থেকে প্রায় ২১ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে ‘আত্মসাতের’ অভিযোগেও দুজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল দুদক। দেশে-বিদেশে সাইফুজ্জামানের নামে–বেনামে থাকা অবৈধ সম্পদের এখনো অনুসন্ধান করছে দুদক।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

নেহাল ফেরায় কাবিলার জন্য ভালো নাকি মন্দ হলো, কী বলছেন পলাশ

আসল নামটাই যেন তাঁর বদলে গেছে। ভক্তদের কাছে তিনি সাত বছর ধরে ‘কাবিলা’ নামে পরিচিত। যেখানেই যান, সবাই কাবিলা বলেই সম্বোধন করে। অনেক সময় এই অভিনেতার জিয়াউল হক পলাশ নামটিই আড়ালে পড়ে যায়। তবে পর্দার নামটিও তাঁর কাছে গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়। এটাকে দর্শকদের উপহার হিসেবে নেন ‘ব্যাচেলর পয়েন্টের’ এই কাবিলা খ্যাত অভিনেতা।

হাবু, পাশা, রোকেয়া, বোরহান চরিত্রের মধ্যে আলাদা করে সাড়া জাগিয়েছেন কাবিলা। এই ধারাবাহিক পলাশকে জনপ্রিয়তা দেওয়ার অন্যতম কারণ তাঁর ভাষা নোয়াখালী অঞ্চলের। একই সঙ্গে গল্পে ব্যাচেলরদের জীবনের নানান চিত্র তুলে ধরার কারণে, এটি দর্শক পছন্দ করেন। সিরিজগুলোতে আলাদা করে আসে পলাশের চরিত্রের পরিসর, যা দর্শক বেশির ভাগ সময়ই গ্রহণ করেন। তারপরও এই অভিনেতাকে তেমন কোনো ধারাবাহিকে দেখা যায় না। এর কারণ কী?

অভিনেতা পলাশ। ছবি: ফেসবুক থেকে

সম্পর্কিত নিবন্ধ