কুষ্টিয়ায় কোটি টাকার অস্ত্র-মাদকসহ আটক ৫
Published: 16th, August 2025 GMT
কুষ্টিয়ায় অস্ত্র, মাদক ও বিভিন্ন চোরাই পণ্যসহ পাঁচজনকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়ন (৪৭ বিজিবি)। ধারাবাহিক মাদক ও চোরাচালানবিরোধী অভিযানে জব্দ করা এসব মালামালের দাম কোটি টাকার বেশি।
শনিবার (১৬ আগস্ট) বেলা ১২টায় সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন ৪৭ বিজিবির কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো.
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ১৬ আগস্ট ভোরে দৌলতপুর সীমান্তবর্তী মুন্সীগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে দুজনকে আটক করা হয়। তাদের কাছ থেকে দুটি বিদেশি পিস্তল, দুই রাউন্ড গুলি, দুটি ম্যাগজিন, ৯০ বোতল ফেন্সিডিল ও ২০ বোতল এসএসডি উদ্ধার করা হয়।
আরো পড়ুন:
কলমাকান্দায় ভারতীয় মদসহ যুবক আটক
বরিশালে ১১ মামলার আসামি রাসেল গ্রেপ্তার
আটক ব্যক্তিরা হলেন— দৌলতপুর উপজেলার পুরাতন ঠোটার পাড়া গ্রামের ছম্মাত আলী ছেলে সিনবাদ আলী (২৭) ও মোহাম্মাদপুর গ্রামের সওকত মন্ডলের ছেলে মিন্টু হোসেন (২৯)। সিনবাদ সাম্প্রতিক এক হত্যা মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি এবং কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী বলে নিশ্চিত করেছে বিজিবি।
এর আগে ১৫ আগস্ট দিন ও রাতে পৃথক অভিযানে আরো তিনজনকে আটক করা হয়। এ সময় ৫৪ বোতল ফেন্সিডিল, মোবাইল ফোন, ৫ হাজার ৩৬০ প্যাকেট নকল বিড়ি, ৪০০ কেজি কারেন্ট জাল, ১ হাজার ৯৮০ পিস সিলডেনাফিল ট্যাবলেট এবং ১৫০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়।
এ সময় আটক হন দৌলতপুর উপজেলার চরুইকুরি মরার পাড়া এলকার গাজী মন্ডল ছেলে স্বপন মন্ডল (২৩), একই এলকার মৃত দুল্লুক মন্ডলের ছেলে শরিফুল ইসলাম (৩৫) ও মুন্সিপাড়া এলাকার খলিলুর রহমান ছেলে মো. রাসেল (২০)। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং জব্দ করা মালামাল যথাযথভাবে ধ্বংসের জন্য সংরক্ষণ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়েছে, সীমান্তে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিজিবি কঠোর অবস্থানে আছে। এ ধরনের মাদক ও চোরাচালানবিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে।
ঢাকা/কাঞ্চন/রফিক
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
টেকনাফে অস্ত্র-মাদকসহ ২৮ মামলার আসামি ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার
কক্সবাজারের টেকনাফের হ্নীলায় অভিযান চালিয়ে অস্ত্র, মাদক, অপহরণসহ ২৮ মামলার পলাতক আসামি ও ইউপি সদস্য নুরুল হুদাকে ( ৪৬) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার রাতে হ্নীলা ইউনিয়নের লেদা গ্রামে এ অভিযান চালানো হয়। গ্রেপ্তার নুরুল হুদা হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য এবং ওই ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সভাপতি।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জায়েদ মো. নাজমুন নূর প্রথম আলোকে বলেন, ইউপি সদস্য নুরুল হুদা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত মাদক পাচারকারী। টেকনাফে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণকারী ১০২ জন মাদক পাচারকারীর মধ্যে নুরুল হুদাও ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় ১৬টি মাদক, একটি অপহরণ, ৩টি অস্ত্র, একটি বিশেষ ক্ষমতা আইন, চারটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর হামলাসহ মোট ২৮টি মামলা রয়েছে। ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল হুদা দীর্ঘদিন আত্মগোপনে ছিলেন। সম্প্রতি তিনি এলাকায় এসে সরকারবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন। গোপন সংবাদের ভিত্তিকে গতকাল রাতে পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
পুলিশ জানায়, আজ শনিবার বিকেলে ইউপি সদস্য নুরুল হুদাকে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে গত বুধবার রাতে পুলিশ টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের রাজারছড়া গ্রামের বাসিন্দা ও একই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রশিদ মিয়াকে (৩৫) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ইউপি সদস্য রশিদ মিয়ার বিরুদ্ধে হত্যা, অপহরণ, মানব পাচার, বিস্ফোরক ও নাশকতার পাঁচটি মামলা রয়েছে। তিনি টেকনাফ উপজেলার যুবলীগের সদস্য ছিলেন।
পৃথক অভিযানে টেকনাফের দুই ইউপি সদস্যকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানোর সত্যতা নিশ্চিত করেন জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) অলক বিশ্বাস। তিনি বলেন, সরকার মাদক চোরাচালান দমনে কঠোর অবস্থানে। মাদক ও মানব পাচারকারীদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে।