জয়পুরহাটে সম্মেলন পণ্ডের ঘটনায় ছাত্রদলের নেতাসহ সাতজনকে বহিষ্কার
Published: 18th, September 2025 GMT
জয়পুরহাট সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রদলের সম্মেলন পণ্ড করার ঘটনায় সংগঠনটির জেলা পর্যায়ের এক নেতাসহ সাতজনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটি দপ্তর সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিটি ছাত্রদলের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজেও প্রচার করা হয়েছে।
বহিষ্কৃত নেতারা হলেন ছাত্রদলের জয়পুরহাট জেলা শাখার সহসাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, জয়পুরহাট সরকারি কলেজ শাখার সদস্যসচিব পিয়াস আহম্মেদ, যুগ্ম আহ্বায়ক সাগর চৌধুরী ও আহাদ হোসেন, জয়পুরহাট শহর শাখার সদস্যসচিব হাসানুল বান্না ও যুগ্ম আহ্বায়ক সোহরাফ হোসেন এবং শহীদ জিয়া কলেজ শাখার সভাপতি রাকিবুল করিম।
আরও পড়ুনজয়পুরহাটে ছাত্রদলের কাউন্সিল ঘিরে সংঘর্ষ, সাত নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ১৭ আগস্ট ২০২৫ওই সাত নেতাকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্তটি অনুমোদন করেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন। তাঁদের সঙ্গে কোনো ধরনের সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার জন্য ছাত্রসংগঠনটির সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন পর গত ১৫ আগস্ট বিকেলে জয়পুরহাট সরকারি কলেজে শাখা ছাত্রদলের সম্মেলনের আয়োজনের কথা ছিল। এ উপলক্ষে আগেই ৫৪৬ জনের একটি ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়। ওই তালিকায় ছাত্রদলের কয়েকজনের নাম না থাকার অভিযোগ তোলা হয়। পরে ৫৫৩ জনের একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়।
বিষয়টি নিয়ে ছাত্রদলের একটি পক্ষ সম্মেলন বয়কটের ডাক দিয়ে ১৪ আগস্ট রাতে শহরে মশালমিছিল বের করে। সম্মেলনের দিন বেলা ১১টা থেকে ওই কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাগর চৌধুরী ও আহাদ হোসেনের নেতৃত্বে একটি পক্ষ কলেজটির ফটকে অবস্থান নেন। এ কারণে বেলা তিনটায় নির্ধারিত সময়ে সম্মেলন করতে পারেননি কেন্দ্রীয় নেতারা। ওই দিন বিকেল সাড়ে চারটার দিকে শাখা ছাত্রদলের নেতা হাবিবুর রহমান একটি মিছিল নিয়ে কলেজ ফটকের দিকে যান। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হয়। এতে এক পুলিশ সদস্যসহ সাতজন আহত হন।
ওই ঘটনার পর সংগঠনটির কলেজ শাখার সম্মেলন হয়নি। এ ঘটনায় ছাত্রদলের সাত নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। এরপর গতকাল সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে ওই সাতজনকে বহিষ্কার করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে জয়পুরহাট জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মামুন প্রধান ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রাইসুল ইসলামের মুঠোফোনে কল করা হলে তাঁরা কেউই ধরেননি। তবে রাইসুল ইসলাম আগেই জানিয়েছিলেন, গত ১৫ আগস্ট বিকেলে জয়পুরহাট সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রদলের কাউন্সিল আয়োজন করা হয়। সেখানে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটায় সংগঠনটির সাত নেতা-কর্মীকে কেন্দ্র থেকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ছ ত রদল র ক ছ ত রদল র স স গঠনট র কল জ শ খ ল ইসল ম আগস ট
এছাড়াও পড়ুন:
এনসিপির জাতীয় ছাত্রশক্তির কমিটি ঘোষণা, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে জাহিদ–বাকের
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সহযোগী সংগঠন জাতীয় ছাত্রশক্তির কেন্দ্রীয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। কেন্দ্রে সভাপতি হয়েছেন জাহিদ আহসান, সাধারণ সম্পাদক আবু বাকের মজুমদার। আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কমিটিতে তাহমিদ আল মুদ্দাসসির চৌধুরীকে সভাপতি ও আল আমিন সরকারকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে।
আজ শুক্রবার রাত ১০টায় এই দুই কমিটি ঘোষণা করা হয়। বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ (বাগছাস) থেকে নাম বদলে জাতীয় ছাত্রশক্তি হওয়ার এক সপ্তাহের মাথায় সংগঠনটির চার সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করা হলো। আর সংগঠনটির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নতুন কমিটি তিন সদস্যের।
জাতীয় ছাত্রশক্তির নতুন কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদ আহসান ও সাধারণ সম্পাদক আবু বাকের মজুমদার—দুজনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। জাহিদ এর আগে বাগছাসের কেন্দ্রীয় সদস্যসচিব আর বাকের সংগঠনটির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। চার সদস্যের আংশিক কমিটিতে সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েছেন দুজন। সাংগঠনিক সম্পাদক (উত্তরাঞ্চল) পদে দায়িত্ব পেয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু তৌহিদ মো. সিয়াম আর সাংগঠনিক সম্পাদক (দক্ষিণাঞ্চল) করা হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মহির আলমকে। সাত কার্যদিবসের মধ্যে তাঁদের পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রকাশিত হবে।
ছাত্রশক্তির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি তাহমিদ আল মুদ্দাসসির চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আল আমিন সরকারও বাগছাসের রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন। এই কমিটিতে সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়েছে মো. সাইফুল্লাহকে। তাঁদেরও সাত কার্যদিবসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করতে বলা হয়েছে।
তাহমিদ আল মুদ্দাসসির