গাজার বাসিন্দাদের ‘দক্ষিণ সুদানে স্থানান্তরে আলোচনা চালাচ্ছে’ ইসরায়েল
Published: 16th, August 2025 GMT
যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার বাসিন্দাদের দক্ষিণ সুদানে স্থানান্তরের লক্ষ্যে একটি চুক্তি করতে আলোচনা চালাচ্ছে ইসরায়েল। শনিবার সূত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
তবে ফিলিস্তিনি নেতারা এ পরিকল্পনাকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ আখ্যা দিয়ে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
বিষয়টি সম্বন্ধে অবগত নাম-পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক তিনটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে এখনো পর্যন্ত কোনো চুক্তি হয়নি, তবে দক্ষিণ সুদান ও ইসরায়েলের মধ্যে আলোচনা চলছে।
এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে ইসরায়েলের সঙ্গে প্রায় দুই বছর ধরে চলা যুদ্ধে বিধ্বস্ত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডটির বাসিন্দাদের এমন এক দেশে যেতে হবে, যেটি বহু বছর ধরে চলমান রাজনৈতিক ও জাতিগত সহিংসতায় কাবু হয়ে পড়েছে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের এক মুখপাত্র বলেন, “আমরা অনানুষ্ঠানিক কূটনৈতিক আলোচনার বিষয়ে কিছু বলি না।”
চলতি মাসে নেতানিয়াহু গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর সামরিক নিয়ন্ত্রণ বাড়ানোর ঘোষণা দেন। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে তিনি ফিলিস্তিনিদের স্বেচ্ছায় গাজা ছেড়ে চলে যাওয়া উচিত বলে বারবার মন্তব্য করেছেন।
আরব দেশগুলোসহ বিশ্বের সিংহভাগ দেশের নেতারাই গাজার বাসিন্দাদের অন্যত্র স্থানান্তরের ধারণা প্রত্যাখ্যান করে আসছেন। ফিলিস্তিনিরা বলছেন, এমন কিছু হলে তা হবে আরেকটি ‘নাকবা’। ১৯৪৮ সালের নাকবায় আরব-ইসরায়েল যুদ্ধে লাখো ফিলিস্তিনিকে দেশছাড়া হতে হয়।
গত মাসে দক্ষিণ সুদানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মান্ডে সেমায়া কুম্বার ইসরায়েল সফরের সময় আফ্রিকার দেশটিতে ফিলিস্তিনিদের পুনর্বাসনের প্রসঙ্গটি উত্থাপিত হয় বলে জানিয়েছে ওই তিন সূত্র।
দক্ষিণ সুদানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বুধবার এক বিবৃতিতে এ ধরনের পরিকল্পনার খবরকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে।
ইসরায়েল-দক্ষিণ সুদানের আলোচনার খবর প্রথম প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি)। মঙ্গলবার তারা বিষয় সম্বন্ধে অবগত ছয়টি সূত্রের বরাত দিয়ে খবরটি দেয়।
এ পরিকল্পনার ব্যাপার প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশনের (পিএলও) নির্বাহী কমিটির সদস্য ওয়াসেল আবু ইউসুফ বলেছেন, “আমাদের জনগণকে দক্ষিণ সুদান বা অন্য কোথাও সরিয়ে নেওয়ার যেকোনো পরিকল্পনা ফিলিস্তিনি নেতৃত্ব ও জনগণ প্রত্যাখ্যান করছে।”
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পরর ষ ট র ইসর য় ল
এছাড়াও পড়ুন:
গাজার বাসিন্দাদের ‘দক্ষিণ সুদানে স্থানান্তরে আলোচনা চালাচ্ছে’ ইসরায়েল
যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার বাসিন্দাদের দক্ষিণ সুদানে স্থানান্তরের লক্ষ্যে একটি চুক্তি করতে আলোচনা চালাচ্ছে ইসরায়েল। শনিবার সূত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
তবে ফিলিস্তিনি নেতারা এ পরিকল্পনাকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ আখ্যা দিয়ে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
বিষয়টি সম্বন্ধে অবগত নাম-পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক তিনটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে এখনো পর্যন্ত কোনো চুক্তি হয়নি, তবে দক্ষিণ সুদান ও ইসরায়েলের মধ্যে আলোচনা চলছে।
এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে ইসরায়েলের সঙ্গে প্রায় দুই বছর ধরে চলা যুদ্ধে বিধ্বস্ত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডটির বাসিন্দাদের এমন এক দেশে যেতে হবে, যেটি বহু বছর ধরে চলমান রাজনৈতিক ও জাতিগত সহিংসতায় কাবু হয়ে পড়েছে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের এক মুখপাত্র বলেন, “আমরা অনানুষ্ঠানিক কূটনৈতিক আলোচনার বিষয়ে কিছু বলি না।”
চলতি মাসে নেতানিয়াহু গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর সামরিক নিয়ন্ত্রণ বাড়ানোর ঘোষণা দেন। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে তিনি ফিলিস্তিনিদের স্বেচ্ছায় গাজা ছেড়ে চলে যাওয়া উচিত বলে বারবার মন্তব্য করেছেন।
আরব দেশগুলোসহ বিশ্বের সিংহভাগ দেশের নেতারাই গাজার বাসিন্দাদের অন্যত্র স্থানান্তরের ধারণা প্রত্যাখ্যান করে আসছেন। ফিলিস্তিনিরা বলছেন, এমন কিছু হলে তা হবে আরেকটি ‘নাকবা’। ১৯৪৮ সালের নাকবায় আরব-ইসরায়েল যুদ্ধে লাখো ফিলিস্তিনিকে দেশছাড়া হতে হয়।
গত মাসে দক্ষিণ সুদানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মান্ডে সেমায়া কুম্বার ইসরায়েল সফরের সময় আফ্রিকার দেশটিতে ফিলিস্তিনিদের পুনর্বাসনের প্রসঙ্গটি উত্থাপিত হয় বলে জানিয়েছে ওই তিন সূত্র।
দক্ষিণ সুদানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বুধবার এক বিবৃতিতে এ ধরনের পরিকল্পনার খবরকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে।
ইসরায়েল-দক্ষিণ সুদানের আলোচনার খবর প্রথম প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি)। মঙ্গলবার তারা বিষয় সম্বন্ধে অবগত ছয়টি সূত্রের বরাত দিয়ে খবরটি দেয়।
এ পরিকল্পনার ব্যাপার প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশনের (পিএলও) নির্বাহী কমিটির সদস্য ওয়াসেল আবু ইউসুফ বলেছেন, “আমাদের জনগণকে দক্ষিণ সুদান বা অন্য কোথাও সরিয়ে নেওয়ার যেকোনো পরিকল্পনা ফিলিস্তিনি নেতৃত্ব ও জনগণ প্রত্যাখ্যান করছে।”
ঢাকা/শাহেদ