কক্সবাজারের উখিয়ায় গহিন পাহাড়ে একটি পুরুষ বন্য হাতির মৃত্যু হয়েছে। হাতিটির আনুমানিক বয়স ৩৫ বছর। তবে হাতিটির মৃত্যু কীভাবে হয়েছে, তা নিশ্চিত করতে পারেনি বন বিভাগ। গতকাল বুধবার দুপুরে উখিয়ার দোছড়ি রফিকের ঘোনা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্র জানায়, গতকাল হাতিটির মরদেহ পড়ে থাকতে দেখার পর বন বিভাগকে খবর দেন তাঁরা। পরে বন বিভাগ হাতিটিকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য আলামত সংগ্রহ করে। স্থানীয় বাসিন্দারা যখন হাতিটি দেখতে পান, তখন এটির মুখ দিয়ে রক্ত ঝরছিল। তাঁদের ধারণা, বিদ্যুৎস্পৃষ্টে অথবা শিকারির আক্রমণে হাতিটির মৃত্যু হয়েছে।

জানতে চাইলে দোছড়ি বিট কর্মকর্তা ইমদাদুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, স্থানীয় লোকজনের খবর পেয়ে প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের ভেটেরিনারি সার্জন ঘটনাস্থলে গিয়ে হাতির ময়নাতদন্ত করেন। পরে ময়নাতদন্তের এসব আলামত সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হয়। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে হাতির মৃত্যু স্বাভাবিক, নাকি দুর্ঘটনা, এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে। গতকাল রাতেই হাতিটিকে বন বিভাগের তত্ত্বাবধানে মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ময়ন তদন ত বন ব ভ গ

এছাড়াও পড়ুন:

আফগানিস্তানে মধ্যরাতে শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাত

আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় হিন্দুকুশ অঞ্চলে ৬ দশমিক ৩ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। যুক্তরাষ্ট্র ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) এ তথ্য জানিয়েছে। দুই মাস আগেই দেশটিতে এক ভূমিকম্পে কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।

ইউএসজিএস জানায়, রোববার দিবাগত রাতে আফগানিস্তানের হিন্দুকুশ অঞ্চলে মাজার-ই-শরিফ শহরের কাছে খোলম এলাকায় ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। স্থানীয় সময় রাত ১২টা ৫৯ মিনিটে আঘাত হানা এই ভূমিকম্পের গভীরতা প্রথমে ১০ কিলোমিটার বলা হয়। পরে তা সংশোধন করে গভীরতা ২৮ কিলোমিটার বলে জানায় সংস্থাটি।

আফগানিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানিয়েছে, হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পরে জানানো হবে।

উল্লেখ্য, গত ৩১ আগস্ট আফগানিস্তানের সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে প্রাণঘাতী ভূমিকম্পটি আঘাত হেনেছিল। দেশটির পূর্বাঞ্চলে আঘাত হানা রিখটার স্কেলে ৬ মাত্রার ওই ভূমিকম্পে ২ হাজার ২০০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারান।

আরও পড়ুনআফগানিস্তানে ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ২২০৫, খোলা আকাশের নিচে মানুষ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আফগানিস্তানে প্রায়শই ভূমিকম্প আঘাত হানে। বিশেষ করে হিন্দুকুশ পর্বতমালা বরাবর, যেখানে ইউরেশীয় এবং ভারতীয় টেকটোনিক প্লেটগুলো মিলিত হয়েছে।

ব্রিটিশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার ভূমিকম্পবিদ ব্রায়ান ব্যাপটির দেওয়া তথ্য মতে, ১৯০০ সাল থেকে উত্তর-পূর্ব আফগানিস্তানে রিখটার স্কেলে ৭ মাত্রার বেশি ১২টি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।

আরও পড়ুন৩৫ বছরে আফগানিস্তানে ভয়াবহ যত ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ