গহিন পাহাড়ে পড়ে ছিল হাতির মরদেহ, মুখ দিয়ে ঝরছিল রক্ত
Published: 18th, September 2025 GMT
কক্সবাজারের উখিয়ায় গহিন পাহাড়ে একটি পুরুষ বন্য হাতির মৃত্যু হয়েছে। হাতিটির আনুমানিক বয়স ৩৫ বছর। তবে হাতিটির মৃত্যু কীভাবে হয়েছে, তা নিশ্চিত করতে পারেনি বন বিভাগ। গতকাল বুধবার দুপুরে উখিয়ার দোছড়ি রফিকের ঘোনা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্র জানায়, গতকাল হাতিটির মরদেহ পড়ে থাকতে দেখার পর বন বিভাগকে খবর দেন তাঁরা। পরে বন বিভাগ হাতিটিকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য আলামত সংগ্রহ করে। স্থানীয় বাসিন্দারা যখন হাতিটি দেখতে পান, তখন এটির মুখ দিয়ে রক্ত ঝরছিল। তাঁদের ধারণা, বিদ্যুৎস্পৃষ্টে অথবা শিকারির আক্রমণে হাতিটির মৃত্যু হয়েছে।
জানতে চাইলে দোছড়ি বিট কর্মকর্তা ইমদাদুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, স্থানীয় লোকজনের খবর পেয়ে প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের ভেটেরিনারি সার্জন ঘটনাস্থলে গিয়ে হাতির ময়নাতদন্ত করেন। পরে ময়নাতদন্তের এসব আলামত সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হয়। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে হাতির মৃত্যু স্বাভাবিক, নাকি দুর্ঘটনা, এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে। গতকাল রাতেই হাতিটিকে বন বিভাগের তত্ত্বাবধানে মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
চকরিয়া থানার ওসিসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা
কক্সবাজারের চকরিয়া থানাহাজতে যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), চকরিয়া সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষকসহ ৯ জনের নামে মামলা হয়েছে। আদালতের নির্দেশের পর গতকাল বুধবার এ মামলা হয়। মামলার বাদী হয়েছেন নিহত যুবক দুর্জয় চৌধুরীর বাবা কমল চৌধুরী। এর আগে গত রোববার শুনানি শেষে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক (ভারপ্রাপ্ত) মো. মামুনুর রশীদ চকরিয়া থানার ওসিকে মামলা নিতে নির্দেশ দেন।
মামলার বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেন চকরিয়া থানার ওসি তৌহিদুল আনোয়ার। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, আদালতের নির্দেশের নথি থানায় পৌঁছার পর মামলা নেওয়া হয়েছে।
মামলার আসামিরা হলেন চকরিয়া থানার তৎকালীন ওসি মো. শফিকুল ইসলাম, থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) হানিফ মিয়া, কনস্টেবল মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও ইশরাত হোসেন, চকরিয়া সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রাবেয়া খানম, সহকারী শিক্ষক জসিম উদ্দিন ও মোস্তফা কামাল, অফিস সহায়ক মো. পারভেজ ও প্রহরী নুর মোহাম্মদ। এ ছাড়া এ ঘটনায় পাঁচজনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বাদী কমল চৌধুরী উল্লেখ করেন, আসামিদের যোগসাজশে থানাহাজতে দুর্জয় চৌধুরীকে শারীরিক নির্যাতনের পর শ্বাস রোধ করে হত্যা করা হয়েছে। জানতে চাইলে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘নানা চাপ ও আর্থিক প্রলোভনে নত না হয়ে আমি ছেলের হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করেছি। আমি আসামিদের শাস্তি চাই।’
গত ২২ আগস্ট সকালে চকরিয়া থানাহাজত থেকে চকরিয়া সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর দুর্জয় চৌধুরীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। বিদ্যালয়ের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে আগের দিন রাত ১০টার দিকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রাবেয়া খানম দুর্জয় চৌধুরীকে থানায় সোপর্দ করেছিলেন।
লাশ উদ্ধারের এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর সনাতন সম্প্রদায়ের লোকজন ক্ষুব্ধ হন। তাঁরা চকরিয়া থানা ঘেরাও, মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক অবরোধ করেন। পরে চকরিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার অভিজিৎ দাস ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রূপায়ণ দেবের আশ্বাসে আন্দোলন স্থগিত করা হয়। এ ঘটনায় ওসি মো. শফিকুল ইসলামকে কক্সবাজার পুলিশ নিয়ন্ত্রণকক্ষের ইনচার্জ পদে বদলি করা হয়। এ ছাড়া চকরিয়া থানা থেকে প্রত্যাহার করা হয় এএসআই হানিফ মিয়া, কনস্টেবল মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও ইশরাত হোসেনকে। এ ছাড়া চকরিয়া সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রাবেয়া খানমকে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়।