চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে প্যানেল ঘোষণা করেছে ছাত্রদল। তাঁদের প্যানেল থেকে সহসভাপতি (ভিপি) পদে লড়বেন দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী সাজ্জাদ হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছেন ক্রীড়াবিজ্ঞান বিভাগের মো. শাফায়াত হোসেন। আজ বৃহস্পতিবার বেলা দুইটায় ক্যাম্পাসের বুদ্ধিজীবী চত্বরে প্যানেল ঘোষণা করেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন।

লিখিত বক্তব্যে নাছির উদ্দিন বলেন, ‘চাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে জেনে আমরা খুবই আনন্দিত। চাকসু চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে, এমনটাই প্রত্যাশা করি।’

নাছির বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের কিছু সমস্যা রয়েছে। যেমন আবাসনসংকট, পর্যাপ্ত শাটল ট্রেন সার্ভিস না থাকা, ক্যাম্পাসের বাইরে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা। এ ছাড়া খাবারের সমস্যা সমাধান এবং একাডেমিক কার্যক্রমে গতিশীলতা আনা প্রয়োজন। এসব বিষয়ে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে প্রশাসনের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে সমাধান বের করার জন্য চাকসু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। আর চাকসু নির্বাচন নিয়মিত অনুষ্ঠিত হলে এখানে যাঁরা নির্বাচিত হবেন, তাঁরা ভবিষ্যতে জাতীয় পর্যায়ে নেতৃত্ব দেবেন বলে আমরা আশা রাখি।’

নির্বাচনে শিক্ষার্থীরা প্যানেলের প্রার্থীদের মনোনীত করলে তাঁরা শিক্ষার্থীদের পক্ষে কাজ করবেন উল্লেখ করে নাছির বলেন, ছাত্রদল সব সময় শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে কাজ করেছে। এ ছাড়া ছাত্রদল বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ, ভাষা আন্দোলন, ১৯৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থান, ১৯৭৫-এর ৭ নভেম্বর, ১৯৯০ ও ২০২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানের চেতনায় উদ্ভাসিত হয়ে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের ভাবধারার সাংস্কৃতিক চর্চা বেগবান করবে। ছাত্রদল সবার জন্য ধর্মীয় স্বাধীনতা এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে বিশ্বাসী। মোরাল পুলিশিংয়ের বিরুদ্ধে এবং নারীদের স্বাধীনতার পক্ষে আমাদের অবস্থান। মুক্ত, স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক ক্যাম্পাস বিনির্মাণ করা আমাদের অঙ্গীকার।’

চাকসু নির্বাচনে ছাত্রদল ঘোষিত প্যানেলের প্রার্থীরা। আজ বেলা দুইটায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্বরে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ছ ত রদল

এছাড়াও পড়ুন:

৮ বছরেও শুরু হয়নি কুবির ২ বিভাগের কার্যক্রম

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) দীর্ঘ ৮ বছর আগে অনুমোদন পাওয়া দুটি বিভাগ এখনো চালু হয়নি। অনুমোদন সত্ত্বেও প্রয়োজনীয় শিক্ষক নিয়োগ, অবকাঠামোগত প্রস্তুতি এবং প্রশাসনিক কার্যক্রমের ধীরগতির কারণে বিভাগ দুটি কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

জানা গেছে, ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বিজ্ঞান অনুষদের অধীনে ‘বন ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ’ এবং ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের অধীনে ‘মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগ’ চালুর অনুমোদন দেওয়া হয়। ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ থেকেই বিভাগ দুটি চালু হওয়ার কথা থাকলেও, তখন বিশ্ববিদ্যালয়ে অবকাঠামোগত ও শ্রেণিকক্ষ সংকটের কারণে তা সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে নতুন অ্যাকাডেমিক ভবন নির্মাণের পরে বিভাগ দুটি চালুর পরিকল্পনা করা হয়। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে নতুন ভবন নির্মাণ হয়নি।

আরো পড়ুন:

শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় কুবি প্রক্টরের জরুরি নির্দেশনা 

সিএনজি চালকের বিরুদ্ধে কুবি শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ

এছাড়া, তৎকালীন অর্গানোগ্রামে ৩১টি বিভাগের মধ্যে এই দুইটি বিভাগ অন্তর্ভুক্ত ছিল না, যা পরবর্তীতে চালু করা নিয়ে জটিলতা তৈরি করে।

সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সঙ্গে বৈঠক করে এই বিষয়ে পুনরায় আলোচনা করে। ইউজিসি নির্দেশনা অনুযায়ী, নতুন অর্গানোগ্রামে বিভাগের অন্তর্ভুক্তি ও নতুন বিভাগের প্রস্তাব রাখা হয়েছে।

সে অনুযায়ি ১৫ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত কুবির ৮৯তম অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল মিটিংয়ে পূর্বের ‘মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগ’ এর পরিবর্তে ‘লজিস্টিক্স ও মার্চেন্ডাইজিং বিভাগ’ এবং ‘বন ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ’-এর পরিবর্তে ‘পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ’ নামে অন্তর্ভুক্তির সুপারিশ করা হয়। এছাড়াও অর্গানোগ্রামে নতুন আরও ১৮টি বিভাগের নাম অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে।

তৎকালীন বন ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের প্রস্তাবক রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সৈয়দুর রহমান বলেন, “২০১৭ সালে অনুমোদন থাকলেও জায়গা সংকটের কারণে বিভাগ চালু করা সম্ভব হয়নি। পরে প্রশাসন পাল্টালেও কেউ উদ্যোগ নেয়নি।”

এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, “অর্গানোগ্রামে অন্তর্ভুক্তি মানে এখনই চালু হবে না। অনুমোদন থাকলেও তৎকালীন সময়ে চালু করা সম্ভব হয়নি। এখন ইউজিসি নির্দেশনায় নতুন করে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী বলেন, “তৎকালীন প্রশাসন বলতে পারবে কেন বিভাগ চালু হয়নি। আমরা সবার সঙ্গে আলোচনা মাধ্যমে নতুন করে উদ্যোগ নিয়েছি। আগামী ২ বছরের মধ্যে আশা করি বিভাগ চালু করা সম্ভব হবে, তখন নতুন ক্যাম্পাসও প্রস্তুত থাকবে।”

ঢাকা/এমদাদুল/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ