সাজেকে যাওয়ার পথে চান্দের গাড়ি পাহাড়ের খাদে পড়ে নিহত খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী মোছা. রুবিনা আফসানা রিংকীর (২৩) মরদেহ গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধায় পাঠানো হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে খাগড়াছড়ি সেনানিবাস থেকে মরদেহটি নিয়ে গাইবান্ধার উদ্দেশ্যে রওনা হয় একটি হেলিকপ্টার।

সেনাবাহিনীর সূত্রে জানা গেছে, মরদেহটি নিয়ে আজ বেলা ৩টা ১৫ মিনিটে গাইবান্ধার উদ্দেশ্যে রওনা হয় বেসামরিক এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি। এতে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী খাগড়াছড়ি রিজিয়ন। এর আগে আজ দুপুরে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতাল থেকে মরদেহটি গ্রহণ করেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক মো.

রাশেদুর রহমান ও শিক্ষার্থী রনজিত রায়। রুবিনার মরদেহ হস্তান্তরের সময় খাগড়াছড়ি রিজিয়ন ও সদর দপ্তর ২০৩ পদাতিক ব্রিগেডের জিটু-আই মেজর কাজী মোস্তফা আরেফিন ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রুমানা আক্তার উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুনসাজেকে গাড়ি খাদে পড়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী নিহত, আহত ১১১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

রুবিনা খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তাঁর বাড়ি গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার ভবানীপুর গ্রামে। আজ বিকেল ৫টা ২৫ মিনিটের দিকে সেখানে পৌঁছায় মরদেহ বহনকারী হেলিকপ্টারটি।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: মরদ হ

এছাড়াও পড়ুন:

চকরিয়া থানার ওসিসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা

কক্সবাজারের চকরিয়া থানাহাজতে যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), চকরিয়া সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষকসহ ৯ জনের নামে মামলা হয়েছে। আদালতের নির্দেশের পর গতকাল বুধবার এ মামলা হয়। মামলার বাদী হয়েছেন নিহত যুবক দুর্জয় চৌধুরীর বাবা কমল চৌধুরী। এর আগে গত রোববার শুনানি শেষে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক (ভারপ্রাপ্ত) মো. মামুনুর রশীদ চকরিয়া থানার ওসিকে মামলা নিতে নির্দেশ দেন।

মামলার বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেন চকরিয়া থানার ওসি তৌহিদুল আনোয়ার। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, আদালতের নির্দেশের নথি থানায় পৌঁছার পর মামলা নেওয়া হয়েছে।

মামলার আসামিরা হলেন চকরিয়া থানার তৎকালীন ওসি মো. শফিকুল ইসলাম, থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) হানিফ মিয়া, কনস্টেবল মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও ইশরাত হোসেন, চকরিয়া সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রাবেয়া খানম, সহকারী শিক্ষক জসিম উদ্দিন ও মোস্তফা কামাল, অফিস সহায়ক মো. পারভেজ ও প্রহরী নুর মোহাম্মদ। এ ছাড়া এ ঘটনায় পাঁচজনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে বাদী কমল চৌধুরী উল্লেখ করেন, আসামিদের যোগসাজশে থানাহাজতে দুর্জয় চৌধুরীকে শারীরিক নির্যাতনের পর শ্বাস রোধ করে হত্যা করা হয়েছে। জানতে চাইলে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘নানা চাপ ও আর্থিক প্রলোভনে নত না হয়ে আমি ছেলের হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করেছি। আমি আসামিদের শাস্তি চাই।’

গত ২২ আগস্ট সকালে চকরিয়া থানাহাজত থেকে চকরিয়া সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর দুর্জয় চৌধুরীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। বিদ্যালয়ের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে আগের দিন রাত ১০টার দিকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রাবেয়া খানম দুর্জয় চৌধুরীকে থানায় সোপর্দ করেছিলেন।

লাশ উদ্ধারের এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর সনাতন সম্প্রদায়ের লোকজন ক্ষুব্ধ হন। তাঁরা চকরিয়া থানা ঘেরাও, মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক অবরোধ করেন। পরে চকরিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার অভিজিৎ দাস ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রূপায়ণ দেবের আশ্বাসে আন্দোলন স্থগিত করা হয়। এ ঘটনায় ওসি মো. শফিকুল ইসলামকে কক্সবাজার পুলিশ নিয়ন্ত্রণকক্ষের ইনচার্জ পদে বদলি করা হয়। এ ছাড়া চকরিয়া থানা থেকে প্রত্যাহার করা হয় এএসআই হানিফ মিয়া, কনস্টেবল মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও ইশরাত হোসেনকে। এ ছাড়া চকরিয়া সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রাবেয়া খানমকে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ