ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে যুক্তরাজ্যে
Published: 18th, September 2025 GMT
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের যুক্তরাজ্য সফর শেষে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে পারে লন্ডন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমসের দাবি, সপ্তাহান্তেই আনুষ্ঠানিকভাবে এ সংক্রান্ত ঘোষণা আসতে পারে।
টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ট্রাম্প তার সফর শেষ করলে ওই ঘোষণা দিতে পারে ব্রিটেন।
আরো পড়ুন:
ট্রাম্পকে ইউক্রেনের পাশে থাকার আহ্বান রাজা চার্লসের
লন্ডন পৌঁছেছেন ট্রাম্প
এই বিষয়ে ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। খবর রয়টার্সের।
গাজায় চলমান সামরিক আগ্রাসনের জন্য ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিতে লেবার পার্টির ভেতর থেকেই চাপে রয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। গত জুলাইয়ে তিনি গাজায় মানবিক পরিস্থিতি উন্নতিতে ইসরায়েল কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার ইঙ্গিত দেন।
আগামী সপ্তাহে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশন শুরু হবে। ব্রিটেন, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া ও কানাডাসহ কয়েকটি দেশ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রত্যাশিত তালিকায় রয়েছে। স্যার কেয়ার নিজে সেখানে উপস্থিত থাকবেন না। যুক্তরাজ্যের প্রতিনিধিত্ব করবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইভেট কুপার ও বিচারমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিতে নারাজ। ইউরোপীয় মিত্রদের কাছে যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যে স্পষ্ট করেছে যে, এ ধরনের পদক্ষেপে তাদের সমর্থন নেই।
ইসরায়েলের অভিযোগ, ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়া মানে হামাসকে পুরস্কৃত করা।
যুক্তরাজ্যে দীর্ঘদিন ধরে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন দ্বন্দ্ব নিরসনে দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের নীতি সমর্থন করে আসছে। তবে সব সময় তারা বলে এসেছে, উপযুক্ত সময়ে এ স্বীকৃতি দেওয়া সম্ভব।
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য ক তর জ য য ক তর জ য ইসর য় ল
এছাড়াও পড়ুন:
নীল সমুদ্রে দক্ষিণ আফ্রিকার নীল বেদনা, ভারত বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন
অনুমিত চিত্রনাট্যই যেন অনুসরণ করল মুম্বাইয়ের ফাইনাল ম্যাচ। ভারতের জার্সি গায়ে দর্শকে ঠাসা গ্যালারি রূপ নিল নীল সমুদ্রে। ২২ গজে আরও একবার ভারতের আধিপত্য, শাসন। যেন শিরোপার পায়চারি অনেক আগের থেকেই।
ব্যাটিংয়ে পর্বত ছুঁই-ছুঁই রান। এরপর স্পিনে ফুল ফোটালেন স্পিনাররা। দক্ষিণ আফ্রিকা লড়াই করল সাধ্যের সবটুকু দিয়ে। ব্যাটে-বলে সহজে হাল ছাড়ল না তারাও। হৃদয় জিতলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পাত্তাই পেল না। ভারতের শক্তি-সামর্থ্যের গভীরতার কাছে হার মানতেই হলো প্রোটিয়া নারীদের।
আরো পড়ুন:
৪১১ রানের টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৯ রানে হারল জিম্বাবুয়ে
কেন বিপিএল থেকে বাদ পড়ল চিটাগং কিংস
মুম্বাইয়ের নাভি স্টেডিয়ামের নীল সমুদ্রে সব আতশবাজি আজ রাতে ফুটল ভারতের বিশ্বকাপ উদ্যাপনে। প্রথমবার ভারতের নারী ক্রিকেট দল ওয়ানডেতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। ৫২ রানের বিশাল জয় বুঝিয়ে দেয় হারমানপ্রীত কৌর, জেমিমা রদ্রিগেজ, দীপ্তি শর্মা কিংবা শেফালি বার্মা, স্মৃতি মান্ধানা, রিচা ঘোষরা ২২ গজকে কতটা আপন করে নিয়েছেন। শিরোপা জয়ের মঞ্চে ছাড় দেননি একটুও। ২০০৫ ও ২০১৭ বিশ্বকাপে যে ভুলগুলো হয়েছিল...সেগুলো আজ ফুল হয়ে ঝরল।
বৃষ্টি বাঁধায় বিঘ্ন ম্যাচে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেটে ২৯৮ রানের স্কোর পায় ভারত। ৪৫.৩ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে ২৪৬ রান করতে পারে প্রোটিয়া নারীরা। নাডিন ডি ক্লার্ক শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে যখন আউট হলেন, স্টেডিয়ামের প্রায় ষাট হাজার ভারতীয় সমর্থকদের মুখে একটাই স্লোগান, চাক দে ইন্ডিয়া।
ওই জনসমুদ্রের স্লোগান, ‘ভারত মাতা কি জয়’, ‘বন্দে মাতরম’।
বিস্তারিত আসছে …
ঢাকা/ইয়াসিন