বসন্ত উৎসবে রঙিন স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ
Published: 13th, February 2025 GMT
‘ফাগুনের রঙে রাঙিয়ে দেই প্রাণ, গানে আর আনন্দে বরণ করি বসন্তের আহ্বান!’—এই প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ (এসইউবি)-এর কালচারাল ক্লাবের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো ‘বসন্ত উৎসব ১৪৩১’।
বুধবার রাজধানীর পূর্বাচলে অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে বসন্তবরণ উৎসবের আয়োজন করা হয়। ঋতুরাজ বসন্তকে স্বাগত জানাতে শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় নৃত্য, সংগীত ও আবৃতিতে প্রাণচঞ্চল হয়ে ওঠে ক্যাম্পাস।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন স্টেট ইউনিভার্সিটির উপাচার্য (মনোনীত) অধ্যাপক ড.
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. আহমেদ হুসাইন এবং সিনিয়র ডেপুটি রেজিস্ট্রার ফারহানা শারমিন।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন জার্নালিজম, কমিউনিকেশন অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের প্রভাষক, কথা নাহিয়ান।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে ভিসি স্যার বলেন, ‘আজকের এই উৎসব আমাদের শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা ও ঐক্যবদ্ধতাকে তুলে ধরে। এই আনন্দময় অনুষ্ঠানে প্রত্যক্ষ করা যায়, কিভাবে আমাদের ক্যাম্পাস সংস্কৃতি ও শৈল্পিক উৎকর্ষতায় সর্বদা অগ্রসর। বসন্তের এই মাধুর্যে আমাদের ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্যম ও সৃজনশীলতা অনন্য, যা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের গর্ব।’
রেজিস্টার স্যারেরও উক্তি ছিল উদ্দীপনাময়। তিনি বলেন, ‘এই উৎসবে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মচারীদের একত্রিত অংশগ্রহণ আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক জীবনের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে। শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিভা ও সৃজনশীলতার মাধুর্যে এই অনুষ্ঠানের প্রতিটি মুহূর্তকে স্বর্ণছড়া করে তুলেছে।’
সকাল থেকেই শিক্ষার্থীরা বাহারি রঙের পোশাকে সেজে উৎসবস্থলে ভিড় জমাতে শুরু করে। নাচ, গান, কবিতা আবৃতিসহ নানা আয়োজনে পুরো ক্যাম্পাস প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে ছিল আদিবাসী শিক্ষার্থীদের মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা, যা উপস্থিত দর্শকদের মুগ্ধ করে।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের সদস্য, ডিন, বিভাগীয় প্রধান, কর্মকর্তা ও প্রায় দুই হাজার শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
এই আনন্দদায়ক অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিরাও প্রশংসা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড ও শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা, যা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাফল্যের অন্যতম মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হয়।
স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল বিকাশে সর্বদা অগ্রণী ভূমিকা রাখছে।
ঢাকা/এনএইচ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ট ট ইউন ভ র স ট অন ষ ঠ ন স জনশ ল আম দ র বসন ত
এছাড়াও পড়ুন:
নিজের সিনেমা দেখারও টিকিট পাননি জয়া আহসান
ঢাকার ছবি নিয়ে অভিনেত্রী জয়া আহসানের এমন দৌড়ঝাপ বহুদিন দেখা যায়নি। কেবল কলকাতার ছবি নিয়ে তাঁর সাফল্য ও দৌড়ঝাপ বিগত কয়েক বছর দেখেছেন দর্শক। এবার চিত্র বদলেছে। ঈদুল আজহায় দেশের সিনেমা হলে একসঙ্গে দুটি সিনেমা নিয়ে হাজির হয়েছেন গুণী এই অভিনেত্রী। একটি রায়হান রাফীর ‘তাণ্ডব, অন্যটি তানিম নূরের ‘উৎসব। ঈদের সকাল থেকে শুরু করে আজও, দর্শকদের সঙ্গে সিনেমা হলে ছুটে চলেছেন জয়া। ছবির সঙ্গে দর্শকের হৃদয়ের সংযোগটা যেন নিজ চোখেই দেখছেন তিনি।
ঈদুল আজহার সপ্তাহখানেক আগে থেকেই তাণ্ডবের প্রচারণায় দেখা গেছে জয়াকে। সিনেমা মুক্তির পর সে প্রচারণা বাড়িয়েছেন বহুগুণ। ‘তাণ্ডব-এর প্রচারে গিয়ে জয়া বলেন, ঈদে যখন কোনো সিনেমা মুক্তি পায়, তখন ঈদের আবহটাই যেন সেই সিনেমাকে ঘিরে তৈরি হয়। ঈদের সকাল থেকেই সবাই খবর নেয়, সিনেমাটি কেমন চলছে। জানলাম, তাণ্ডব দেখতে সকাল থেকেই হলে দর্শকের ভিড় লেগে আছে। সিনেমাটি নিয়ে মানুষ রীতিমতো উন্মাদ হয়ে উঠেছে। এটাই তো আমাদের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির জন্য সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।”
তাণ্ডব সিনেমার মাধ্যমে দীর্ঘ এক দশকেরও বেশি সময় পর শাকিব খানের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করেছেন জয়া। অ্যাকশন ঘরানার এই সিনেমাটিতে তিনি অভিনয় করেছেন এক সাংবাদিকের চরিত্রে। ছবিতে আরও রয়েছেন আফজাল হোসেন, শহীদুজ্জামান সেলিম, রোজী সিদ্দিকী, এজাজুল ইসলাম, সুমন আনোয়ার ও মুকিত জাকারিয়ার মতো দক্ষ অভিনয়শিল্পীরা।
দর্শকের সঙ্গে একত্রে বসে সিনেমা দেখার অভিজ্ঞতা নিয়ে জয়া বলেন, ‘আমি নিজেই দর্শকের সঙ্গে সিনেমাটি উপভোগ করছি। একজন দর্শক হিসেবে বলতে পারি, পুরো টাকাটা উসুল! সিনেমা হলে যখন চারদিক থেকে শিস ও হাততালির শব্দ উঠছিল, তখনই বুঝে গেছি, তাণ্ডব মানুষের মনে জায়গা করে নিচ্ছে।”
তিনি আরও যোগ করেন, তাণ্ডব-এর মূল শক্তি তার গল্প। আমাদের টিম ছিল অসাধারণ। পর্দার সামনেও যেমন, তেমনি পেছনেও সবাই একদম হৃদয় দিয়ে কাজ করেছে। আমরা নিজেরাও ভীষণ আনন্দ নিয়ে ছবিটি করেছি। এরই মধ্যে দর্শকদের যে সাড়া পাচ্ছি, তাতে মন ভরে গেছে।”
অন্যদিকে, ‘উৎসব’সিনেমার প্রচারেও পিছিয়ে নেই জয়া আহসান। এ ছবিটিও দর্শকের সঙ্গে দেখার জন্য গেছেন তিনি। তাদের সঙ্গে বিনিময় করেছেন কুশল, শুনেছেন ভালো লাগা-মন্দলাগা।
জয়া বলেন, উৎসব দেখার পর দর্শকেরা নিজেরাই বলছেন– এই সিনেমাটি অনেক দিন মানুষের মনে থাকবে। ছবিটিতে যে শিল্পীরা কাজ করেছেন, তাদের সবাইকে একসঙ্গে পাওয়া ছিল সবচেয়ে কঠিন কাজ। আমি নিজে দেশের বাইরে ও দেশের ভেতরে ছুটে চলা একজন শিল্পী; চঞ্চল ব্যস্ত একজন মানুষ, আর অপি তো যে কোনো কাজ করেন না-যতক্ষণ না সেটা তাঁর পছন্দ হয়। এতগুলো ভিন্নধর্মী শিল্পীকে এক ফ্রেমে আনা গেছে কেবল পরিচালকের মুনশিয়ানায়। আমার বিশ্বাস, সিনেমাটির যাত্রা আরও দীর্ঘ হবে।’
জয়ার দুই ছবি দেখতেই দর্শকরা হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন। টিকিট পাচ্ছেন না বলেও জানিয়েছেন। প্রসঙ্গটি সামনে এনে জয়া বলেন, আমি নিজেই সিনেমা দেখতে গিয়ে টিকিট পাইনি। সেটা মনে হলে লজ্জাও লাগে। আশা করি, নির্মাতারা দর্শকদের জন্য টিকিট পাওয়ার সুযোগ আরও সহজ করে তুলবেন।’
ঈদের দুই ভিন্ন স্বাদের ছবি ‘তাণ্ডব’ ও ‘উৎসব’দুটোতেই জয়াকে দেখা যাচ্ছে ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে, ভিন্ন ভিন্ন আবহে। অথচ, প্রতিটি চরিত্রেই যেন তাঁর এক নিজস্ব ছাপ, এক অনবদ্য সত্তা। সিনেমা হলে ঢুকলেই দেখা যাচ্ছে, তাণ্ডবের ভরপুর দর্শকদের উপস্থিতি। আর ধীরে ধীরে জমে উঠছে উৎসব সিনেমাটিও।