ভারতের মণিপুরে রাষ্ট্রপতির শাসন জারি
Published: 13th, February 2025 GMT
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্য মণিপুরে গতকাল বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় সরকার রাষ্ট্রপতির শাসন জারি করেছে। গত রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) সহিংসতাপ্রবণ রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং পদত্যাগ করেন।
প্রায় ২১ মাসের জাতিগত সংঘাতে মণিপুরে ২৫০ জনের বেশি মানুষ মারা যায়। শত শত বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ করা হয়। স্থানচ্যুত হয় হাজারো মানুষ।
এই পরিস্থিতিতে গত রোববার পদত্যাগের ঘোষণা দেন মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং। রোববার তিনি রাজ্যপাল অজয়কুমার ভাল্লার কাছে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন। পরের দিন সোমবার রাজ্যের বিধানসভায় সম্ভাব্য অনাস্থা প্রস্তাবের মুখোমুখি হওয়ার আগেই বিজেপির এই মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরে দাঁড়ান। বিজেপির বিধায়কেরাই অনাস্থা প্রস্তাবটি উত্থাপন করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছিল।
রোববার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে দেখা করতে দিল্লিতে তলব করা হয়েছিল বীরেন সিংকে। মন্ত্রীর বাসভবনে দুই নেতার মধ্যে প্রায় ১৫ মিনিটের একটি বৈঠক হয়। বৈঠকে বীরেনের সঙ্গে বিজেপি এবং নাগা পিপলস ফ্রন্টের (এনপিএফ) ১৪ জন বিধায়ক ছিলেন।
ধারণা করা হচ্ছিল, ৬০ সদস্যের মণিপুর বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছিলেন বীরেন সিং। সে কারণেই ১৪ জনের বেশি বিধায়ককে অমিত শাহর বাসভবনে নিয়ে যেতে পারেননি তিনি। বৈঠক থেকে বেরিয়ে বীরেন সিং সাংবাদিকদের জানান, তিনি মণিপুরে ফিরে পদত্যাগ করবেন।
ভারতের স্বাধীনতা–পরবর্তী ইতিহাসে বীরেন সিংয়ের সময়কালকে মণিপুরের অন্যতম রক্তক্ষয়ী সময় হিসেবে চিহ্নিত করতে শুরু করেছে ভারতের সাংবাদিক ও ইতিহাসবিদদের একাংশ।
আরও পড়ুনপদত্যাগ করলেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ম খ যমন ত র পদত য গ য গ কর
এছাড়াও পড়ুন:
যমুনা অভিমুখী বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষকদের মিছিল, পুলিশের বাধায় ছত্রভঙ্গ
জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলনরত বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের যমুনা অভিমুখী মিছিলটি পুলিশি বাধায় ছত্রভঙ্গ হয়ে গেছে। এ সময় পুলিশ আন্দোলনকারীদের ওপর সাউন্ড গ্রেনেড, কাঁদানের গ্যাসের শেল ও জলকামান থেকে পানি ছোড়ে।
আজ সোমবার বিকেল চারটার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার উদ্দেশে পদযাত্রা শুরু করেন শিক্ষকেরা। মিছিলটি হাইকোর্ট সংলগ্ন কদম ফোয়ারার সামনে পৌঁছালে পুলিশ তাদের আটকে দেয়। সেখানে শিক্ষকেরা পুলিশের ব্যারিকেড সরানোর চেষ্টা করলে পুলিশ তাঁদের ওপর সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে এবং জলকামানের পানি ছিটিয়ে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে। একপর্যায়ে আন্দোলনকারীরা পিছু হটেন।
তবে বাংলাদেশ বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সাধারণ শিক্ষক ঐক্য পরিষদের নেতা আব্দুর রহিম সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, হাইকোর্টের সামনে পুলিশ তাঁদের বাধা দেয় এবং লাঠিপেটা ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। এতে ১০-১২ জন শিক্ষক আহত হন।
বিকেল চারটার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার উদ্দেশে পদযাত্রা শুরু করেন শিক্ষকেরা