বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকেন্দ্রিক ভাটারা থানার হত্যাচেষ্টা মামলায় টাঙ্গাইল-৫ আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) ছানোয়ার হোসেনসহ ৩ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুমা রহমান শুনানি শেষে জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে এ আদেশ দেন।

কারাগারে যাওয়া অন্য আসামিরা হলেন-আওয়ামী লীগ নেতা সাদেক ঢালী ওরফে সালাউদ্দিন সাদেক ঢালী ও বি-বাড়িয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো.

আবু মুসা আনসারী।

এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ভাটারা থানার সাব-ইন্সপেক্টর মো. ফরহাদ কালাম সুজন তাদের ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। রিমান্ড শুনানির জন্য সোমবার রেখেছেন।

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১১টা থেকে দিবাগত রাত সাড়ে ৩টা পর্যন্ত ভাটারা থানা এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

মামলার সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় গত ৫ আগস্ট রাজধানীর ভাটারা থানাধীন বারিধারা এলাকায় ছাত্র-জনতার সঙ্গে আন্দোলনে অংশ নেন মিঠুন ফকির। পরে আসামিদের ছিটা গুলিতে আহত হয়ে কুর্মিটোলা হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে ১১ আগস্ট বাসায় ফেরেন। এ ঘটনায় গত ১৯ ডিসেম্বর ভিকটিম মিঠুন ফকির ৮৮ জনকে এজাহারনামীয় ও ২০০ থেকে ৩০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে ভাটারা থানায় মামলা করেন।

ছানোয়ার টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-৫ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে নৌকা প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী মুরাদ সিদ্দীকিকে পরাজিত করে ৬৭,৯৫৯ ভোটে প্রথমবারের মত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি একই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হন।

ঢাকা/মামুন/এসবি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

পৌরসভা নির্বাচনে ভোট কেনার অভিযোগে ব্রাজিল ফুটবলপ্রধানের অফিস ও বাসায় তল্লাশি

ব্রাজিলের উত্তরাঞ্চলের শহর রোরাইমায় ভোটে অনিয়ম তদন্তে বুধবার ‘অপারেশন কাইজা প্রেতা’ (ব্ল্যাক বক্স) শুরু করেছে দেশটির পুলিশ। ইএসপিএন ব্রাজিল জানিয়েছে, এই তদন্তে ব্রাজিল ফুটবল কনফেডারেশনের (সিবিএফ) সভাপতি সামির সাউদ অন্যতম সন্দেহভাজন।

২০২৪ সালে রোরাইমা পৌরসভা নির্বাচনে ভোট ক্রয়ের অভিযোগের তদন্তে নেমেছে ব্রাজিলের পুলিশ। সেখানকার ফেডারেল ডেপুটি হেলেনা লিমা এই তদন্তের কেন্দ্রবিন্দু, যা শুরু হয় গত বছর। তাঁর স্বামী ও ব্যবসায়ী রেইনালদো লিমা রোরাইমায় পৌরসভা নির্বাচনের আগে ৫ লাখ ব্রাজিলিয়ান রিয়ালসহ গ্রেপ্তার হন। সাউদ হেলেনা লিমার সহযোগী এবং তাঁরা একই রাজনৈতিক (এমডিবি) দলের সদস্য।

আরও পড়ুনরোনালদোর যে ‘খিদে কখনো কমে না’২ ঘণ্টা আগে

সামির সাউদ, হেলেনা লিমা, রেইনালদো লিমা ও রোরাইমার যোগাযোগ অবকাঠামোর (ডিএনআইটি) সুপারিনটেনডেন্ট ইগো ব্রাসিল ছাড়াও আরও ৬ জন পুলিশের এই অভিযানের লক্ষ্যবস্তু। সিবিএফ সদর দপ্তর ছাড়াও সাউদের বাসায়ও অভিযান পরিচালনা করে পুলিশ।

সিবিএফ নিশ্চিত করেছে, ‘সকাল ৬টা ২৪ মিনিট থেকে ৬টা ৫২ মিনিটের মধ্যে সদর দপ্তরে পুলিশ এসেছে এবং এই অভিযান রোরাইমা নির্বাচনী আদালতের নির্দেশে শুরু হওয়া তদন্তের অংশ।’ সিবিএফ এটাও নিশ্চিত করেছে, ‘এই অভিযানের সঙ্গে সিবিএফ ও ব্রাজিলিয়ান ফুটবলের কোনো সম্পর্ক নেই।’ পাশাপাশি ‘সভাপতি সামির সাউদ তদন্তের কেন্দ্রবিন্দু নন’—এই কথাও জানানো হয়েছে সিবিএফের পক্ষ থেকে।

সিবিএফ সদরদপ্তরেও অভিযান চালায় ব্রাজিলের পুলিশ

সম্পর্কিত নিবন্ধ