সিদ্ধিরগঞ্জে সড়কের পাশে বিভিন্ন স্থানে ব্যানার-ফ্যাস্টুনে ছেয়ে গেছে সালাহউদ্দিন এর নেতৃত্বে বিটিভির বরেণ্য সংগীত পরিচালক জাকির হোসেন আখেরের উপর নৃশংস হামলার দৃশ্যপট। এ নিয়ে পুরো এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। চায়ের টেবিলে বইছে সমালোচনার ঝড়। 

ব্যানার-ফ্যাস্টুনে দেখা গেছে সালাহউদ্দিন, কামালসহ আরো কয়েক সন্ত্রাসী বাহিনী দেশীয় অন্ত্র দিয়ে হামলা করছে এবং ছবিতে আহত জাকির হোসেন আখের ও তার পরিবারসহ বিএনপির চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সাথে আরো অনেকে। 

খোঁজ নিয়ে জানা যায় যে, সিদ্ধিরগঞ্জে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা না দেওয়ায় সালাহউদ্দিনের নেতৃত্বে বাড়ির কাজ বন্ধ করে দিয়ে অতর্কিত হামলা চালিয়ে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম করে জাকির হোসেন আখের ও তার পরিবারের উপর।

ঘটনাটি ঘটেছে ২০১২ সালের ৪ই মার্চে সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি পূর্বপাড়া নুরু মেম্বারপুল এলাকায়। এঘটনায় ভুক্তভোগী জাকির হোসেন আখের সন্ত্রাসী বাহিনী সালাহউদ্দিনসহ সকলের বিচারের দাবী করেছেন। 

কেন্দ্রীয় কমিটির জিয়া সাংস্কৃতিক জোটের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বিটিভির বরেণ্য সংগীত পরিচালক জাকির হোসেন আখেরের উপর এ নৃশংস হামলা করে সালাহউদ্দিন ও তার ভাই কামালসহ একদল সন্ত্রাসী বাহিনী।

কে এই সালাহউদ্দিন :

সিদ্ধিরগঞ্জের নাসিক ১নং ওয়ার্ড বিএনপির সধারণ সম্পাদক। বিগত আওয়ামী সরকারের আমলে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি মজিবুর রহমানের সাথে আতাত করে এলাকায় বিশাল সাম্রাজ্য গড়ে তোলেছেন।

গত আওয়ামী সরকারের আমলে দেখা গেছে বিএপির নেতাকর্মীদের এলাকা পরিবার নিয়ে বসবাস করতে পারেনি আওয়ামী লীগের নেতা ও পুলিশের কারনে। 

আর এদিকে সালাহউদ্দিন আওয়ামী লীগের নেতাদের সাথে আতাত করে বিপুল পরিমান অর্থ বিত্তের মালিক বনে গেছেন। 

ভুক্তভোগীর কাছ থেকে জায় নায়, ২০১২ সালে সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি পূর্বপাড়া নুরু মেম্বারপুল এলাকার বাসিন্দা জাকির হোসেন তার জমিতে দোতলা ভবনের ছাদ নির্মাণের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। স্থানীয় চাঁদাবাজ সালাহউদ্দিন ওরফে ডাকাত সালাহউদ্দিন, তার ভাই কামাল, মোশারফ, তিতু মিয়াসহ একটি 'সংঘবদ্ধ চাঁদাবাজ চক্র ওই ভবনের ছাদ দেয়ার সময় চাঁদা দাবি করে। 

দাবিকৃত চাঁদা না দেয়ায় সালাহউদ্দিন ওরফে ডাকাত সালাহউদ্দিন, তার ভাই কামাল, মোশারফ, তিতু মিয়াসহ ৩০-৩৫ জন সন্ত্রাসী লাঠি, শাবল, হকিস্টিকসহ দেশীয় তৈরি অস্ত্র নিয়ে জাকিরের ওই বাড়িতে যায়। 

তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে জাকির হোসেন বাড়ির গেট বন্ধ করে দিলে সন্ত্রাসীরা কমান্ডো স্টাইলে ওয়াল টপকে বাড়িতে প্রবেশ করে। পরে সন্ত্রাসীরা তাদের ঘরের আসবাবপত্র তছনছ করে এবং নগদ ১ লাখ টাকা, ২০০ ভরি স্বর্ণালংকারসহ মূল্যবান মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। 

এ সময় সন্ত্রাসীরা জাকির হোসেন আখেরকে পিটাতে থাকে এবং ইট দিয়ে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে। সন্ত্রাসীরা এ সময় ওই সঙ্গীত পরিচালকের স্ত্রী শিরীনা আফরোজ ও কন্যা স্বর্ণালতাকে নির্মমভাবে পিটিয়ে আহত করে। এঘটনার কয়েক বছর পরে জাকির হোসেন আখের অন্য ব্যাক্তির কাছে বাড়িটি বিক্রি করে বর্তমানে তিনি ঢাকায় বসবাস করছেন। 

এঘটনার সংবাদ ঐসময় কালের কন্ঠ, বাংলাদেশ প্রতিদিন, আমার দেশ, যুগান্তর, মানবযমিন সহ উক্ত হামলার নিউজ জাতীয় দৈনিক পত্রিকা সমূহে ছাপা হয়।

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ব এনপ ন র য়ণগঞ জ স ল হউদ দ ন স দ ধ রগঞ জ আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

ঠিক কতটুকু ডিটারজেন্ট ব্যবহার করলে কাপড় হবে পরিষ্কার, অপচয়ও কমবে

ডিটারজেন্ট কতটুকু ব্যবহার করবেন

গড়পড়তা ২–৩ কেজি কাপড়ের জন্য ২ টেবিল চামচের বেশি ডিটারজেন্ট লাগে না।

ডিটারজেন্টের মাপার ক্যাপ কখনো পূর্ণ করবেন না। অধিকাংশ সময় এত কাপড় একসঙ্গে ধোওয়া হয় না।

একটি মাত্র পোশাক ভিজিয়ে রাখতে চাইলে প্রতি গ্যালন (৩ দশমিক ৭৮ লিটার)

পানিতে ১ চা–চামচ ডিটারজেন্ট যথেষ্ট।

অতিরিক্ত ডিটারজেন্ট ব্যবহারের লক্ষণ

কাপড়ে ডিটারজেন্টের আস্তর লেগে থাকবে।

কাপড় শক্ত, খসখসে বা আঠালো হয়ে যাবে।

রঙিন কাপড় ম্লান ও সাদা কাপড় ধূসর হয়ে যাবে।

ওয়াশিং মেশিন থেকে দুর্গন্ধ আসবে।

আরও পড়ুনধোয়ার পর কাপড়ের ক্ষতি হবে না, যদি মেনে চলেন এসব উপায়১৪ অক্টোবর ২০২৪কোন কোন বিষয়ের ওপর নির্ভর করবে ডিটারজেন্টের পরিমাণ

কাপড়ের পরিমাণ ও ধরন: তোয়ালে, বিছানার চাদরের মতো ভারী কাপড়ের জন্য ডিটারজেন্ট একটু বেশি দরকার হয়।

কাপড় কতটা নোংরা: দাগযুক্ত কাপড়ে সামান্য বাড়তি ডিটারজেন্ট দিন।

পানির খরতা: খর পানিতে ডিটারজেন্ট বেশি লাগে, মৃদু পানিতে কম।

হাতে কাপড় ধোওয়ার সময়

ছোট বালতি (৩–৮ লিটার পানি): ১ চা–চামচ

মাঝারি বালতি (৯–১৪ লিটার পানি): ২ চা–চামচ

বড় বালতি (১৫ লিটারের বেশি পানি): ১ টেবিল চামচ

কাপড় দেওয়ার আগে পানিতে ডিটারজেন্ট ভালোভাবে গুলিয়ে নিন। তাতে অবশিষ্টাংশ কাপড়ে আটকে থাকবে না।আরও পড়ুনধোয়া কাপড় থেকেও দুর্গন্ধ বেরোচ্ছে? জেনে রাখুন সমাধান০২ অক্টোবর ২০২৩কাপড়ের ধরন অনুযায়ী

সিল্ক ও পশমি কাপড়: ১/২–১ চা–চামচ (প্রতি ৩–৮ লিটার পানি)

সুতি ও সিনথেটিক কাপড়: ১ চা–চামচ (ময়লা বেশি হলে সামান্য বাড়ান)

খুব নোংরা কাপড়: আগে দাগ পরিষ্কার করে নিন, তারপর ১.৫ চা–চামচ পর্যন্ত ডিটারজেন্ট দিন।

দাগ দূর করার টিপস

কোনো দাগ সহজে না উঠলে তার ওপর সরাসরি সামান্য ডিটারজেন্ট লাগিয়ে আলতো করে ঘষুন।

পরে পানিতে ভিজিয়ে নিন।

এতে পুরো বালতিতে অতিরিক্ত ডিটারজেন্ট দিতে হবে না।

পর্যাপ্ত ডিটারজেন্ট ব্যবহার করছেন কি না বুঝবেন যেভাবে

কাপড় ধোয়ার পর সাবানের আস্তর বা গন্ধ থাকবে না।

কাপড় হবে নরম ও আরামদায়ক।

লন্ড্রি পড ব্যবহার করলে

ছোট লোড: ১ পড

মাঝারি লোড: ২ পড

বড় লোড: ৩ পড

সূত্র: গুড হাউসকিপিং

আরও পড়ুনবডি স্প্রে নাকি পারফিউম—কখন, কোথায়, কোনটা ব্যবহার করবেন২ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ