বন্ধুত্ব করতে চাইলে তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা বুঝিয়ে দেন
Published: 17th, February 2025 GMT
তিস্তার পানিবন্টন চুক্তি ও মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে ‘জাগো বাহে, তিস্তা বাঁচাই’ স্লোগানে ৪৮ ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে।
রংপুরের কাউনিয়া রেল সেতু পয়েন্টে সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টার দিকে ‘তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন’ আয়োজিত দুই দিনব্যাপী এই অবস্থান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে উদ্বোধন করা হয় এই কর্মসূচি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তিস্তা নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ে বিগত সরকারের ব্যর্থতা ও উদাসীনতার সমালোচনা করেছেন।
আরো পড়ুন:
খুলনা মহানগর বিএনপির সম্মেলন: ১২ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র সংগ্রহ
নড়াইল জেলা বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর, সম্পাদক মনিরুল
তিনি বলেন, “গত ১৫ বছর তিস্তাকে বাঁচাবে বলে পতিত হাসিনা তিস্তা পাড়ের মানুষকে নিয়ে খেলেছেন। তিস্তা পাড়ের মানুষের দুঃখ ঘোচাতে কাজ করেনি আওয়ামী লীগ। হাসিনা বাংলাদেশেকে বিক্রি করেছেন, কিন্তু পানি আনতে পারেননি। এছাড়াও ৫৪টি নদীকে ধ্বংস করেছে তারা। ফলস্রুতিতে ৩৬ দিনের লড়াইয়ে পালিয়েছেন স্বৈরাচার হাসিনা। ভারত আমাদের পানির ন্যায্য হিস্যা না দিয়ে, হাসিনাকে উল্টো রাজার হালে রেখেছে। সেখানে বসে আমাদের দেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করছেন তিনি।”
ভারতকে উদ্দেশ্য করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “ভারত যদি আমাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে চায়, তবে আগে তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা দিতে হবে। একই সঙ্গে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে তিস্তা ইস্যুতে নিরপেক্ষ সুর বাদ দিয়ে অধিকার আদায়ে কথা বলতে হবে।” দেশের শান্তি রক্ষায় নির্বাচনের দাবি করেন তিনি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, “মজলুম নেতা মাওলানা ভাসানীর ফারাক্কা আন্দোলনের পর দ্বিতীয়বার তিস্তা রক্ষার এমন বড় আন্দোলনের আয়োজন করেছে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলের প্রধান সমন্বয়ক আসাদুল হাবিব দুলু।”
তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের আয়োজনে দুই দিনব্যাপী জনতার সমাবেশের উদ্বোধনী দিনে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন-বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু এবং দলটির কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক ও বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু।
ঢাকা/আমিরুল/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ নদ ব এনপ র
এছাড়াও পড়ুন:
মানুষের প্রয়োজনে না এলে সেই সংস্কার কাজে আসবে না: মির্জা ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কার্যক্রম যদি মানুষের প্রয়োজনে না আসে, শিশুদের ভবিষ্যৎ নির্মাণ করতে না পারে, শিশুদের জন্য নিরাপদ জীবন গড়ে দিতে না পারে, তাহলে সে সংস্কার কোনো কাজে আসবে না।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর বনানীর কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউ মাঠে ‘গণতান্ত্রিক পদযাত্রায় শিশু’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে এ কথা বলেন মির্জা ফখরুল।
আমরা বিএনপি পরিবার আর মায়ের ডাক যৌথভাবে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে। ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা সরকারের সময়ে গুমের শিকার বিভিন্ন ব্যক্তি ও জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে শহীদ হওয়া শিশুদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা আশা করেছিলাম, পরিবর্তনের পর অন্তর্বর্তী সরকার শিশুদের (গুমের শিকার ব্যক্তিদের সন্তান) পুনর্বাসনের জন্য একটি স্পেশাল সেল গঠন করবে। অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, কাজটি হয়নি। আশা করব, দেরিতে হলেও অন্তর্বর্তী সরকার তাদের জন্য কিছু করবে।’
অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত গুম কমিশনের কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ‘একটি কমিশন করা হয়েছে। এই কমিশন এখন পর্যন্ত একটা রিপোর্ট নাকি করেছে। কিন্তু তাদের এই যে খোঁজ করা, এ বিষয়ে খুব বেশি কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে মনে হয় না।’
গুমের শিকার ব্যক্তিদের নিয়ে আয়োজিত কোনো অনুষ্ঠানে এলে ‘ভারাক্রান্ত হন’ উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এ পরিবারগুলো যে ত্যাগ স্বীকার করেছে, আমরা কিন্তু সেই ত্যাগ অনেকেই করতে পারিনি। যখন মঞ্চে দাঁড়িয়ে শিশুদের বলতে শুনি যে আমি আমার বাবাকে দেখতে চাই, বাবার হাত ধরে স্কুলে যেতে চাই, ঈদের মাঠে নামাজ পড়তে যেতে চাই, তখন আমি আমার আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না।’
গুমের শিকার বিভিন্ন ব্যক্তি ও জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে শহীদ হওয়া শিশুদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রাজধানীর বনানীর কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউ মাঠে, ২৯ জুলাই