তিস্তার পানিবন্টন চুক্তি ও মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে ‘জাগো বাহে, তিস্তা বাঁচাই’ স্লোগানে ৪৮ ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে।

রংপুরের কাউনিয়া রেল সেতু পয়েন্টে সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টার দিকে ‘তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন’ আয়োজিত দুই দিনব্যাপী এই অবস্থান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে উদ্বোধন করা হয় এই কর্মসূচি। 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তিস্তা নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ে বিগত সরকারের ব্যর্থতা ও উদাসীনতার সমালোচনা করেছেন। 

আরো পড়ুন:

খুলনা মহানগর বিএনপির সম্মেলন: ১২ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র সংগ্রহ

নড়াইল জেলা বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর, সম্পাদক মনিরুল 

তিনি বলেন, “গত ১৫ বছর তিস্তাকে বাঁচাবে বলে পতিত হাসিনা তিস্তা পাড়ের মানুষকে নিয়ে খেলেছেন। তিস্তা পাড়ের মানুষের দুঃখ ঘোচাতে কাজ করেনি আওয়ামী লীগ। হাসিনা বাংলাদেশেকে বিক্রি করেছেন, কিন্তু পানি আনতে পারেননি। এছাড়াও ৫৪টি নদীকে ধ্বংস করেছে তারা। ফলস্রুতিতে ৩৬ দিনের লড়াইয়ে পালিয়েছেন স্বৈরাচার হাসিনা। ভারত আমাদের পানির ন্যায্য হিস্যা না দিয়ে, হাসিনাকে উল্টো রাজার হালে রেখেছে। সেখানে বসে আমাদের দেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করছেন তিনি।”

ভারতকে উদ্দেশ্য করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “ভারত যদি আমাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে চায়, তবে আগে তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা দিতে হবে। একই সঙ্গে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে তিস্তা ইস্যুতে নিরপেক্ষ সুর বাদ দিয়ে অধিকার আদায়ে কথা বলতে হবে।” দেশের শান্তি রক্ষায় নির্বাচনের দাবি করেন তিনি।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, “মজলুম নেতা মাওলানা ভাসানীর ফারাক্কা আন্দোলনের পর দ্বিতীয়বার তিস্তা রক্ষার এমন বড় আন্দোলনের আয়োজন করেছে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলের প্রধান সমন্বয়ক আসাদুল হাবিব দুলু।”

তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের আয়োজনে দুই দিনব্যাপী জনতার সমাবেশের উদ্বোধনী দিনে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন-বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু এবং দলটির কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা।

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক ও বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু।

ঢাকা/আমিরুল/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ নদ ব এনপ র

এছাড়াও পড়ুন:

রাউজানে যুবদল কর্মীকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় তাঁর সহযোগী গ্রেপ্তার

চট্টগ্রামের রাউজানে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফেরার পথে যুবদল কর্মী আলমগীর আলমকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় এক যুবককে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তার যুবক আলমগীর আলমের সহযোগী ছিলেন। গতকাল শনিবার রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার যুবকের নাম মুহাম্মদ রাজু (২৮)। তিনি পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের রহমতপাড়ার মৃত নুর নবীর ছেলে। পুলিশ জানিয়েছে, আলমগীর আলমকে গুলি করার সময় তাঁর পেছনে একটি মোটরসাইকেলে ছিলেন মুহাম্মদ রাজু।

গত ২৫ অক্টোবর বিকেলে রাউজান পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের চারাবটতল বাজারসংলগ্ন কায়কোবাদ জামে মসজিদের সামনে গুলি করে হত্যা করা হয় আলমকে। এ সময় তাঁর স্ত্রী ও সন্তান পেছনে একটি অটোরিকশায় ছিলেন। পাশের গ্রামের এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে দাওয়াত খেয়ে বাড়িতে ফিরছিলেন তাঁরা। আলমের বাড়ি পার্শ্ববর্তী ঢালারমুখ এলাকায়।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কবরস্থানে লুকিয়ে থাকা আটজন অস্ত্রধারী আলমকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। এ সময় মোটরসাইকেলে থাকা আলম ঘটনাস্থলেই নিহত হন। অস্ত্রধারীরা তাঁকে হত্যার পর রাঙামাটি সড়ক দিয়ে অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলে পালিয়ে গেছেন। নিহত আলমের শরীরে পাঁচটি গুলির চিহ্ন পাওয়া যায়।

রাউজান থানা-পুলিশ জানায়, আলম নিহত হওয়ার দুই দিন পর তাঁর বাবা আবদুস সাত্তার বাদী হয়ে ২১ জনের নামোল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৬ থেকে ৭ জনকে আসামি করে রাউজান থানায় মামলা করেন। মামলার এজাহারে রাজুর নাম নেই। তবে ঘটনার তদন্তে হত্যাকাণ্ডে তাঁর সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়া গেছে।

এর আগে এ মামলায় এজাহারভুক্ত দুই আসামি গ্রেপ্তার হয়েছেন। তাঁরা হলেন রাউজান কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মুহাম্মদ রাসেল খান (৩২) ও পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের রহমতপাড়ার বাসিন্দা ও যুবদল কর্মী মুহাম্মদ হৃদয় (৩০)।

রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, যখন অস্ত্রধারীরা আলমগীর আলমকে গুলি করার জন্য কবরস্থানে লুকিয়ে ছিলেন, তখন আলমগীর আলমের পেছনে একটি মোটরসাইকেলে ছিলেন রাজু। তিনি আলমগীরের সহযোগী হিসেবে পরিচিত। তবে হত্যাকাণ্ডে তাঁর সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়া গেছে। রোববার তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অস্ত্র-মাদকসহ বিভিন্ন মামলায় ১২ বছর কারাগারে ছিলেন আলম। তিনি গত বছরের ৫ আগস্টের পর জামিনে মুক্তি পান। চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি গোলাম আকবর খন্দকারের অনুসারী হিসেবে পরিচিত তিনি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পরিকল্পিতভাবে প্রচারণা চলছে যে বিএনপি সংস্কারের বিরোধী: মির্জা ফখরুল
  • কাঁচাপাট রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না করলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি বিজেএ চেয়ারম্যানের
  • বাবাকে না পেয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে সড়কে যায় শিশু, মুহূর্তে ট্রাকচাপায় নিহত
  • রাউজানে যুবদল কর্মীকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় তাঁর সহযোগী গ্রেপ্তার
  • ক্ষুব্ধ-বিরক্ত আঁখি বললেন, ভণ্ডামি থেকে মুক্তি চাই
  • ‘বয়স বাড়ছে, বুঝে ফেলি কে মিথ্যা বলে’—ফেসবুকে আঁখি আলমগীর