সোনারগাঁয়ে সরকারি ক্যানেল দখল করে সেট নির্মাণ
Published: 17th, February 2025 GMT
সোনারগাঁ উপজেলার সাদীপুর ইউনিয়নের আমগাঁও এলাকায় সরকারি ক্যানেলের দখল করে সেট নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে।
স্বৈরাচারী সরকারের পতনের পর বিভিন্ন মহল বিভিন্ন ভাবে লুটপাট, দখলদারিত্বের বানিজ্য শুরু হয়েছিল।তারই ধারাবাহিকতায় উপজেলার সাদীপুর ইউনিয়নের আমগাঁও এলাকায় সরকারি ক্যানেল দখল করে সেট নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার ১৩ ফেব্রুয়ারি সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বেড়িবাঁধের পর আমগাঁও এলাকায় একটি সরকারি খাল চলমান ছিল যা আমগাঁও বাজার পর্যন্ত গিয়ে সীমাবদ্ধ হয়।
এইখানে সরকারি ক্যানেলের উপর প্রভাবশালী একটি মহল সিমেন্টের পিলার দিয়ে সেট নির্মাণ করা হয়েছে। এই বিষয়ে এলাকার কেউই মুখ খুলতে রাজি হননি। শুধু এইটুকু জানা যায় যে স্থানে সেটি টি নির্মাণ করা হয়েছে এটি একটি সরকারি খালের উপর।
এই বিষয়টি জানতে চেয়ে সাদিপুর ইউনিয়ন ভুমি অফিসে যোগাযোগ করলে জানাযায় এইখানে একটি ক্যানেল রয়েছে।
উপজেলা সহকারী ভূমি অফিসার কাঁচপুর সার্কেল সাগুফতা মেহনাজ বলেন, তথ্য পেয়েছি বিস্তারিত জেনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স ন রগ ও ন র য়ণগঞ জ সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
লাকসামে অস্ত্রের মুখে এতিমখানার ৫ গরু লুট, আহত ৮
কুমিল্লার লাকসামে একটি এতিমখানার খামার থেকে গত শুক্রবার পাঁচটি গরু লুট করে নিয়ে গেছে ডাকাত দল। এ সময় তাদের হামলায় মাদরাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ আটজন আহত হন। মাদরাসা কর্তৃপক্ষ থানায় মামলা করেছে।
গত শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) ভোরে উপজেলার আজগরা ইউনিয়নের বড়বাম আল-জামিয়াতুল ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদরাসা ও এর সংলগ্ন এতিমখানার খামারে ঘটনাটি ঘটে। তিন মাস আগেও এই খামারের সাতটি গরু লুট করেছিল ডাকাতরা।
আরো পড়ুন:
খুলনায় বিএনপি নেতার অফিসে বোমা-গুলি, শিক্ষক নিহত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রতিপক্ষের হামলা: গুলিবিদ্ধ যুবকের মৃত্যু
সোমবার (৩ নভেম্বর) সকালে ঘটনাটি জানাজানি হয়।
এলাকাবাসী জানান, মাদরাসার আয় এই খামারের মাধ্যমে হয়। তিন মাসের ব্যবধানে দুই দফা ডাকাতি হওয়ায় শিক্ষক ও ছাত্রদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। খামারের বড় গরুগুলো লুট হয়ে যাওয়ায় এক পাশ ফাঁকা পড়ে আছে। বর্তমানে খামারে ১১টি গরু অবশিষ্ট রয়েছে।
খামারের সামনে পড়ে আছে ডাকাত দলের ব্যবহৃত তুষের বস্তা, যা দিয়ে গরুগুলো পিকআপ ভ্যানে তোলে তারা। গরু উদ্ধার এবং ডাকাত দলের সদস্যদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
মামলার বাদী এবং মাদরাসার শিক্ষক ইমরান হোসাইন জানান, গত শুক্রবার ভোরে একদল ডাকাত দুটি পিকআপ ভ্যান নিয়ে এসে অস্ত্রের মুখে মাদরাসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে। শিক্ষকদের মারধর করে তাদের মোবাইল ফোন নিয়ে যায় ডাকাতরা। তারা খামারে ঢুকে কেয়ারটেকার উৎসব হোসেনকে বেঁধে একে একে পাঁচটি গরু পিকআপ ভ্যানে তুলে নেয়। শিক্ষক ও ছাত্রদের চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে আসলে ডাকাতরা পালিয়ে যায়।
মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা শরীফুল আলম খন্দকার জানান, খামারের আয়ের ওপর ভিত্তি করে মাদরাসার কার্যক্রম চলে। তিন মাস আগেও এই খামারের সাতটি গরু নিয়ে যায় ডাকাতরা।
লাকসাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাজনীন সুলতানা বলেন, “লুট হওয়া গরু উদ্ধার এবং ডাকাতদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে। মাদরাসার শিক্ষক ইমরান হোসাইন বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন।”
ঢাকা/রুবেল/মাসুদ