সিদ্ধিরগঞ্জে ব্যবসায়ীর উপর সন্ত্রাসী হামলা ও লুটপাটের প্রতিবাদে সমাবেশ, বিক্ষোভ
Published: 18th, February 2025 GMT
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি মিতালী মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সহ-দপ্তর সম্পাদক রাজুর উপর সন্ত্রাসী হামলা ও লুটপাটের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে মিতালী মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ। মঙ্গলবার (১৮ ফেবব্রুয়ারি) বিকালে মিতালী মার্কেট চত্ত্বরে এ বিক্ষোভ সমাবেশ করে ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ।
মিতালী মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সহ-সভাপতি আবু সাঈদ ভূঞার সভাপতিত্বে ও সিনিয়র যুগ্ম-সম্পাদক জাফর ইকবাল বকুলের পরিচালনায় উক্ত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মিতালী মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ও জাতীয়তাবাদী দল গনতান্ত্রিক আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আমির হোসেন বাদশা।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, মিতালী মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সহ-সভাপতি আবুল হোসেন, দেলোয়ার হোসেন, ইয়াসিন মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান হোসেন, ক্যাশিয়ার আব্দুর রহিম সাজু, মিতালী মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির ১০নং ভবনের সভাপতি আঃ সালাম, সহ-সভাপতি নুর আলম, সাধারণ সম্পাদক সেলিম ও ১নং ভবনের সাধারণ সম্পাদক মোরশেদুর রহমান প্রমূখ।
এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্য মিতালী মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আমির হোসেন বাদশা বলেন, আপনাদের কে ঐক্যবন্ধ থাকতে হবে, এই সন্ত্রাস, নৈরাজ্যর প্রতিবাদ জানাতে হবে। আপনারা জানেন গত ১৩ ফেব্রুয়ারি মিতালী মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সহ-দপ্তর সম্পাদক রাজুর উপর সন্ত্রাসীরা হামলা ও লুটপাট করেছে।
তিনি আরো বলেন, আমি এই সন্ত্রাসীদের হুশিয়ার করে বলে দিতে চাই, আমি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সৈনিক, আমি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সৈনিক, আমি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জননেতা তারেক রহমানের সৈনিক, আমার এক বিন্দু রক্ত থাকতে এই মিতালী মার্কেট কে কোন সন্ত্রীদের হাতে তুলে দিব না। আপনারা ঐক্যবন্ধ থাকেন।
বাদশা আরো বলেন, আমাদের ব্যবসায়ী রাজুকে কুপিয়ে আহত করেছে সন্ত্রাসীরা, আমাদের সমিতির ক্যাশের উপর হামলা করে নগদ অর্থসহ মিতালী মার্কেটের জামে মসজিদের আপনাদের সম্পদ প্রায় ১৪ লক্ষ টাকার মতো তারা লুটপাট করেছে।
আপনারা জানেন ঐদিন সন্ত্রাসীরা আমাদের মার্কেট ভাংচুর করে, আমাদের মার্কেট থেকে অনেক মালামাল লুট করেছে।
আমি এই সন্ত্রাসীদের বলে দিতে চাই, কোন চাঁদা বাজের আস্তানা, কোন সন্ত্রাসীদের আস্তানা এই মিতালী মার্কেটে রাখবোনা।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ব যবস য় ন র য়ণগঞ জ ম র ক ট ব যবস য় আম দ র র উপর
এছাড়াও পড়ুন:
ওয়াগ্গাছড়া চা বাগানে হাতির তাণ্ডব
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ পাড়ে সীতা পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত ওয়াগ্গাছড়া চা বাগানে বিগত এক মাস ধরে অবস্থান করছেন একদল বন্যহাতি। ১৭ (সতের) দলের এই বন্যহাতির তাণ্ডবে এরইমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাগান শ্রমিকদের ঘরবাড়ি, গাছপালা এবং বাগানের অভ্যন্তরে অবস্থিত কাঁচা সড়ক।
এদের তাণ্ডবে বাগানের ২নং সেকশনে বসবাসকারী চা শ্রমিকরা এরইমধ্যে নিজ নিজ বসতবাড়ি ছেড়ে কর্ণফুলি নদীর উত্তর পাড়ে অবস্থান নিয়েছে। এই সেকশনে থাকা বহু ঘর হাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ওয়াগ্গা টি লিমিটেডের পরিচালক খোরশেদুল আলম কাদেরী বলেন, “হাতির তাণ্ডবে মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ৩টায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাগানের নিজস্ব বোট চালক সানাউল্লাহর বসতবাড়ি। এসময় তিনিসহ তার স্ত্রী-সন্তানেরা ঘর হতে বের হয়ে কোনরকমে প্রাণে রক্ষা পেয়েছে।”
বোট চালক সানাউল্লাহ বলেন, “সোমবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে আমি হাতির গর্জন শুনতে পাই। এসময় একটি বড় হাতি আমার ঘর ভাঙার চেষ্টা চালায়। আমি হতবিহ্বল হয়ে যাই। সেসময় স্ত্রী-পুত্রকে নিয়ে ঘরের পেছন দিয়ে কোন রকমে পালিয়ে বোটে করে এপারে চলে আসি।”
চা বাগানের টিলা বাবু চাথোয়াই অং মারমা বলেন, “বিগত এক মাস ধরে ১৭টি হাতির একটি দল বাগানে অবস্থান করছে। মাঝে মাঝে দলটি সীতা পাহাড়ে চলে গেলেও হঠাৎ বাগানে চলে এসে আসে এবং বাগানের গাছপালা, বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত করে। আমাদের চা শ্রমিকরা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।”
ওয়াগ্গা চা বাগানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক আমিনুর রশীদ কাদেরী বলেন, “বিগত এক মাস ধরে হাতির একটি দল ওয়াগ্গা চা বাগানে অবস্থান নিয়েছে। তাদের দলে সদস্য সংখ্যা সতেরো ১৭টি। সম্প্রতি দুটি নতুন শিশু জন্ম নিয়েছে। শিশু হস্তী শাবককে আশীর্বাদ করার জন্য সীতা পাহাড়ের গভীর অরণ্য থেকে আরো একদল হাতি যোগদান করেছে।”
হাতি খুবই শান্তিপ্রিয় জীব। নিরিবিলি পরিবেশ পছন্দ করে। অনেকে বলে থাকেন, মামারা বেরসিক বাদ্য বাজনা, বাঁশির সুর, গলাফাটা গান, গোলা বারুদ, ড্রামের শব্দ পছন্দ করে না। তারা কোলাহল এড়িয়ে চলে।
গতকাল সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) স্বচক্ষে দেখা হলো। আমাদের টিলা বাবু চাই থোয়াই অং মারমা শ্রমিকদের নিয়ে পাহাড়ের উপর বাঁশির সুর তুলেছে। সুর ও বাদ্য বাজনা এড়িয়ে মামারা (হাতি) চা বাগান পেরিয়ে সদলবলে বাঁশবনের গভীর থেকে গভীরে হারিয়ে গেলো। হয়তো আবার ফিরে আসবে।
কাপ্তাই বন বিভাগের কাপ্তাই রেঞ্জ অফিসার ওমর ফারুক স্বাধীন বলেন, “দিন দিন হাতির আবাসস্থল ধ্বংস হওয়ার ফলে হাতি খাবারের সন্ধানে প্রায়ই লোকালয়ে এসে হানা দিচ্ছে। আমাদের উচিত হাতির আবাসস্থল ধ্বংস না করা।”
ঢাকা/রাঙামাটি/এস