ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে বৈঠক করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া। তাতে যুক্ত করা হয়নি কিয়েভকে। ঠিক একই সময়ে তুরস্ক সফরে গেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। সেখানে দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন তিনি।

২০২২ সালে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো তুরস্ক সফরে গেলেন জেলেনস্কি। এরদোয়ানের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে স্থানীয় সময় আজ মঙ্গলবার বিকেল চারটায় যৌথ সংবাদ সম্মেলনে যোগ দেবেন তাঁরা। এ ছাড়া ইউক্রেন দূতাবাসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্ত্রী ওলেনা জেলেনস্কার সঙ্গে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে জেলেনস্কির।

গতকাল সোমবার সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে তুরস্কে পৌঁছান জেলেনস্কি। বার্তা আদান–প্রদানের অ্যাপ টেলিগ্রামে তিনি জানান, এরদোয়ানের সঙ্গে আলোচনায় বন্দী বিনিময়সহ অন্যান্য বিষয়ে কথা বলবেন তিনি। আর এরদোয়ানের সহযোগী ফারহেতিন আলতুন বলেছেন, দুই দেশের মধ্যে ‘সহযোগিতা’ আরও জোরদারের লক্ষ্যে এ আলোচনা হবে।

এরদোয়ানের সঙ্গে জেলেনস্কির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় রাজধানী আঙ্কারার প্রেসিডেন্টের প্রাসাদে। এর কয়েক ঘণ্টা আগে রিয়াদে ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে আলোচনায় বসেন ওয়াশিংটন ও মস্কোর প্রতিনিধিরা। এদিকে আজ ক্রেমলিন বলেছে, প্রয়োজন পড়লে জেলেনস্কির সঙ্গে আলোচনায় বসবেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

আরও পড়ুনইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে আলোচনার টেবিলে যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া২ ঘণ্টা আগে

তুরস্ক পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্য। রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইউক্রেনকে ড্রোন সরবরাহ করেছে আঙ্কারা। তবে পশ্চিমাদের নেতৃত্বে মস্কোর ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া থেকে দূরে থেকেছে তারা। এ ছাড়া রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে বন্দী বিনিময়ের ক্ষেত্রে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের পাশাপাশি ভূমিকা রেখেছে তুরস্ক।

আরও পড়ুনপ্রয়োজন হলে জেলেনস্কির সঙ্গে কথা বলবেন পুতিন: ক্রেমলিন৫২ মিনিট আগে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইউক র ন য দ ধ

এছাড়াও পড়ুন:

ইরানে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা বিভিন্ন দলের

ইরানে ইসরায়েলের হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিভিন্ন দল। অবিলম্বে এই হামলা ও গাজায় গণহত্যা বন্ধের দাবি জানিয়ে এ বিষয়ে দুনিয়ার শান্তিকামী দেশ ও বিশ্ববাসীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে তারা। গতকাল রোববার পৃথক বিবৃতিতে এসব দলের নেতারা এই দাবি জানান। তারা ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ঘোষণা এবং মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ-ইহুদিবাদী ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ ও ইরানের জনগণের পাশে দাঁড়াতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহমুদুল হাসান মানিক ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নুর আহমদ বকুল এক বিবৃতিতে বলেন, বর্তমান সময়ের সাম্রাজ্যবাদী শক্তি ও তার নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প ইহুদিবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘস্থায়ী সংকট সৃষ্টি করে রেখেছে। একতরফা যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়ে ইরানের রাজনৈতিক সামরিক অগ্রযাত্রাকে রুখতে চেষ্টা করছে। যুদ্ধবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে এখনই থামতে হবে। অন্যায়ভাবে ইরানের শিশু-নারী ও সাধারণ নাগরিকদের ওপর বোমা ও মিসাইল হামলা বন্ধ করতে হবে। 

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক পৃথক বিবৃতিতে বলেন, ইরানের পরমাণু স্থাপনাসহ গুরুত্বপূর্ণ সামরিক অঞ্চল লক্ষ্য করে ইসরায়েলের বেপরোয়া ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা রাষ্ট্রীয় ভয়ানক সন্ত্রাসী তৎপরতা। পরিকল্পিত এই হামলা আন্তর্জাতিক সব ধরনের বিধিবিধানকে  বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর শামিল। জাতিসংঘকেও এরা পুরোপুরি ঠুঁটো জগন্নাথে পরিণত করেছে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ