যুক্তরাষ্ট্র–রাশিয়া যখন আলোচনার টেবিলে, জেলেনস্কি তখন এরদোয়ানের কাছে
Published: 18th, February 2025 GMT
ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে বৈঠক করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া। তাতে যুক্ত করা হয়নি কিয়েভকে। ঠিক একই সময়ে তুরস্ক সফরে গেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। সেখানে দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন তিনি।
২০২২ সালে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো তুরস্ক সফরে গেলেন জেলেনস্কি। এরদোয়ানের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে স্থানীয় সময় আজ মঙ্গলবার বিকেল চারটায় যৌথ সংবাদ সম্মেলনে যোগ দেবেন তাঁরা। এ ছাড়া ইউক্রেন দূতাবাসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্ত্রী ওলেনা জেলেনস্কার সঙ্গে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে জেলেনস্কির।
গতকাল সোমবার সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে তুরস্কে পৌঁছান জেলেনস্কি। বার্তা আদান–প্রদানের অ্যাপ টেলিগ্রামে তিনি জানান, এরদোয়ানের সঙ্গে আলোচনায় বন্দী বিনিময়সহ অন্যান্য বিষয়ে কথা বলবেন তিনি। আর এরদোয়ানের সহযোগী ফারহেতিন আলতুন বলেছেন, দুই দেশের মধ্যে ‘সহযোগিতা’ আরও জোরদারের লক্ষ্যে এ আলোচনা হবে।
এরদোয়ানের সঙ্গে জেলেনস্কির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় রাজধানী আঙ্কারার প্রেসিডেন্টের প্রাসাদে। এর কয়েক ঘণ্টা আগে রিয়াদে ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে আলোচনায় বসেন ওয়াশিংটন ও মস্কোর প্রতিনিধিরা। এদিকে আজ ক্রেমলিন বলেছে, প্রয়োজন পড়লে জেলেনস্কির সঙ্গে আলোচনায় বসবেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
আরও পড়ুনইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে আলোচনার টেবিলে যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া২ ঘণ্টা আগেতুরস্ক পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্য। রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইউক্রেনকে ড্রোন সরবরাহ করেছে আঙ্কারা। তবে পশ্চিমাদের নেতৃত্বে মস্কোর ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া থেকে দূরে থেকেছে তারা। এ ছাড়া রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে বন্দী বিনিময়ের ক্ষেত্রে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের পাশাপাশি ভূমিকা রেখেছে তুরস্ক।
আরও পড়ুনপ্রয়োজন হলে জেলেনস্কির সঙ্গে কথা বলবেন পুতিন: ক্রেমলিন৫২ মিনিট আগে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইউক র ন য দ ধ
এছাড়াও পড়ুন:
মাগুরায় শিশু ধর্ষণ-হত্যা মামলায় সাক্ষ্য ৩ চিকিৎসকের
মাগুরায় আট বছরের শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় চতুর্থ দিনের মতো সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল বুধবার জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসানের আদালতে সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।
এ দিন শিশুকে চিকিৎসা প্রদানকারী তিন চিকিৎসক সাক্ষ্য দেন। তারা হলেন– মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালের ডা. সোহাস হালদার, নাকিবা সুলতানা এবং ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডা. ইসরাত জাহান। তারা সবাই শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয়েছিল মর্মে সাক্ষ্য প্রদান করেন।
এর আগে সকালে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে মামলার ৪ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। বাদীপক্ষের আইনজীবী ও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি মনিরুল ইসলাম মুকুল জানান, বিগত চার কার্যদিবস একটানা সাক্ষ্য গ্রহণ চলেছে। এ নিয়ে মোট ১৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। মামলায় মোট ৩৭ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হবে। আগামী রোববার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাদে অন্য সব সাক্ষী সাক্ষ্য দেবেন। বুধবার আসামিপক্ষের আইনজীবী স্বাধীনভাবে সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন। তিনি আদালতে আসামিরা নির্দোষ বলে যুক্তি উপস্থাপন করেন। আসামিরাও নিজেদের নির্দোষ দাবি করেছেন।
বেড়াতে এসে ৬ মার্চ রাতে মাগুরা সদরের নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের শ্বশুর হিটু শেখের দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয় ৮ বছরের শিশুটি। এই ধর্ষণের ঘটনা দেশজুড়ে ক্ষোভের সৃষ্টি করে। মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ঘুরে ঢাকা সিএমএইচে তাকে ভর্তি করা হয়েছিল। ১৩ মার্চ শিশুটি সেখানে মারা যায়। এ ঘটনায় শিশুটির মা আয়েশা আক্তার বড় মেয়ের শ্বশুর হিটু শেখসহ চারজনকে আসামি করে মাগুরা সদর থানায় মামলা করেন। রিমান্ডে হিটু শেখ ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে।