অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, ‘সংস্কারের নামে আর বিলম্ব না করে ম্যাপ দিয়েছেন, রাস্তাটাও দেখিয়ে দেন, কেমনে কেমনে যাব। জনগণ অপেক্ষা করছে ধানের শীষকে ভোট দেওয়ার জন্য। দয়া করে মঈন-ফখরুদ্দিন হবেন না।’ 

মঙ্গলবার বিকেলে কুমিল্লা নগরীর কান্দিরপাড়ে দক্ষিণ জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। 

জয়নাল আবদিন ফারুক বলেন, ‘শেখ হাসিনাকে আয়নাঘরের চেয়ারে একদিন বসতে হবে। হাসিনা তুমি দিল্লিতে থাকলেও একদিন না একদিন তোমাকে আয়নাঘরের চেয়ারে আমরা বসাব। কোথায় কাউয়া কাদের? কোথায় খেলা হবে শামীম ওসমান? কোথায় সেই পালোয়ানরা? খেলা হবে বলে কোথায় পালিয়ে গেলেন?’ তিনি বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের বলেছেন আমি পালাই না। শামীম ওসমান বলেছে আসুন খেলা করি। চট্টগ্রামের হাছান (হাছান মাহমুদ) বলেছেন বাংলাদেশে বিএনপির অস্তিত্ব রাখব না। কিন্তু এখন তোমরা কোথায়?’

জয়নুল আবদিন ফারুক আরও বলেন, শয়তান ধর, ডেভিল হান্ট এখন কেন? যখন সচিবালয়ে আগুন লাগল, যখন হাসিনা উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে গাজীপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের আক্রান্ত করল। সেদিনের অপেক্ষায় কেন ছিলেন? এজন্য আমাদের নেতা তারেক রহমান স্পষ্ট বলে দিয়েছেন, যত দেরি করবেন, ষড়যন্ত্র ততই পাকাপোক্ত হবে।’

জনসভায় সভাপতিত্ব করেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় বিএনপির কর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক জাকারিয়া তাহের সুমন। প্রধান বক্তা ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া। সঞ্চালনা করেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিম। 

আরও বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় বিএনপির ত্রাণ ও পুনর্বাসন সম্পাদক হাজী আমিনুর রশিদ ইয়াছিন, শিল্পবিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী মোস্তাক মিয়া, কুমিল্লা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক উৎবাতুল বারী আবু ও সদস্য সচিব ইউসুফ মোল্লা টিপু প্রমুখ।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এনপ ব এনপ র

এছাড়াও পড়ুন:

‘ফিরিয়ে দাও’ থেকে ‘ধূসর সময়’: সিডনিতে একই মঞ্চে মাইলস ও আর্টসেল

সিডনির বসন্তের সন্ধ্যা। লিভারপুলের হুইটল্যাম লেজার সেন্টারের বাইরে তখন লম্বা লাইন—হাতে পতাকা, কাঁধে ব্যাগ, চোখে প্রত্যাশা। সাউন্ডচেকের শব্দ ভেসে আসছে বাইরে। ভেতরে যেন উন্মুখ এক ‘সাগর’, যেখানে মিশে আছে দুই প্রজন্মের মুখ, কণ্ঠ আর স্মৃতি। শনিবার রাতটি হয়ে উঠেছিল প্রবাসী বাঙালিদের জন্য এক ব্যতিক্রমী উৎসব—বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতের দুই যুগের দুই প্রতীক, মাইলস ও আর্টসেল; প্রথমবারের মতো একই মঞ্চে গান করল সিডনিতে।
‘গ্রিনফিল্ড এন্টারটেইনমেন্ট’ আয়োজিত এই ‘মিউজিক ফেস্ট’ ঘিরে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে যে উচ্ছ্বাস তৈরি হয়েছিল, তা যেন উপচে পড়ল সেই রাতে। টিকিট বিক্রি শুরু হওয়ার পরপরই সব শেষ। অনুষ্ঠান শুরুর ঘণ্টাখানেক আগে থেকেই সিডনির দক্ষিণ-পশ্চিম উপশহর লিভারপুলের রাস্তাগুলো ভরে গেল গানের ভক্তে।

আয়োজনের আগে ভিডিও বার্তায় মাইলস জানায় তাদের উচ্ছ্বাস। ব্যান্ডের অন্যতম সদস্য হামিন আহমেদ বলেন, ‘সিডনি বরাবরই আমাদের কাছে বিশেষ কিছু। সম্ভবত ১৯৯৬ সালে আমরাই প্রথম বাংলাদেশি ব্যান্ড হিসেবে অস্ট্রেলিয়ায় পারফর্ম করি। এরপর এ নিয়ে অন্তত পঞ্চমবারের মতো সিডনিতে এলাম। এখানকার দর্শকদের ভালোবাসা সব সময়ই অবিশ্বাস্য।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা জানতাম এটি স্মরণীয় একটি আয়োজন হতে যাচ্ছে। আমরা চেয়েছি সবাই একসঙ্গে গাইবে, চিৎকার করবে—ভক্তরা সেটাই করেছেন।’ গিটারিস্ট তুজো যোগ করেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার পাঁচটি শহরে ট্যুর করছি, কিন্তু সিডনির আবহ একেবারেই আলাদা। দর্শকেরা আমাদের রাতটিকে স্মরণীয় করে দিয়েছেন।’

মঞ্চে আর্টসেল

সম্পর্কিত নিবন্ধ