সংস্কারের নামে বিলম্ব না করে, রাস্তা দেখিয়ে দিন: বিএনপি নেতা ফারুক
Published: 18th, February 2025 GMT
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, ‘সংস্কারের নামে আর বিলম্ব না করে ম্যাপ দিয়েছেন, রাস্তাটাও দেখিয়ে দেন, কেমনে কেমনে যাব। জনগণ অপেক্ষা করছে ধানের শীষকে ভোট দেওয়ার জন্য। দয়া করে মঈন-ফখরুদ্দিন হবেন না।’
মঙ্গলবার বিকেলে কুমিল্লা নগরীর কান্দিরপাড়ে দক্ষিণ জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
জয়নাল আবদিন ফারুক বলেন, ‘শেখ হাসিনাকে আয়নাঘরের চেয়ারে একদিন বসতে হবে। হাসিনা তুমি দিল্লিতে থাকলেও একদিন না একদিন তোমাকে আয়নাঘরের চেয়ারে আমরা বসাব। কোথায় কাউয়া কাদের? কোথায় খেলা হবে শামীম ওসমান? কোথায় সেই পালোয়ানরা? খেলা হবে বলে কোথায় পালিয়ে গেলেন?’ তিনি বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের বলেছেন আমি পালাই না। শামীম ওসমান বলেছে আসুন খেলা করি। চট্টগ্রামের হাছান (হাছান মাহমুদ) বলেছেন বাংলাদেশে বিএনপির অস্তিত্ব রাখব না। কিন্তু এখন তোমরা কোথায়?’
জয়নুল আবদিন ফারুক আরও বলেন, শয়তান ধর, ডেভিল হান্ট এখন কেন? যখন সচিবালয়ে আগুন লাগল, যখন হাসিনা উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে গাজীপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের আক্রান্ত করল। সেদিনের অপেক্ষায় কেন ছিলেন? এজন্য আমাদের নেতা তারেক রহমান স্পষ্ট বলে দিয়েছেন, যত দেরি করবেন, ষড়যন্ত্র ততই পাকাপোক্ত হবে।’
জনসভায় সভাপতিত্ব করেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় বিএনপির কর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক জাকারিয়া তাহের সুমন। প্রধান বক্তা ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া। সঞ্চালনা করেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিম।
আরও বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় বিএনপির ত্রাণ ও পুনর্বাসন সম্পাদক হাজী আমিনুর রশিদ ইয়াছিন, শিল্পবিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী মোস্তাক মিয়া, কুমিল্লা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক উৎবাতুল বারী আবু ও সদস্য সচিব ইউসুফ মোল্লা টিপু প্রমুখ।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
জাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদের (জাকসু) নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। সে অনুযায়ী আগামী ৩১ জুলাই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
বুধবার (৩০ জুলাই) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপাচার্যের কাউন্সিল কক্ষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মো. মনিরুজ্জামান তফসিল ঘোষণা করেন।
নির্বাচনি তফসিল অনুযায়ী, আগামী ১২ মে খসড়া ভোটার তালিকা ও খসড়া আচরণবিধি প্রকাশ করা হবে। ২১ মে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোটার তালিকা সম্পর্কে আপত্তি ও মতামত গ্রহণ করা হবে। ৩০ জুন চূড়ান্ত হালনাগাদ ভোটার তালিকা ও চূড়ান্ত আচরণবিধি প্রকাশ করা হবে।
নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক প্রার্থীগণ ১ থেকে ৩ জুলাই বিকেল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে পারবেন। ১ থেকে ৭ জুলাই বিকেল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারবেন প্রার্থীগণ। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ও খসড়া প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে ৯ জুলাই।
মনোনয়নপত্রের বৈধতার বিষয়ে এবং বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল আবেদন গ্রহণ করা হবে ১১ জুলাই বিকেল ৫টা পর্যন্ত। আপিলের শুনানি গ্রহণ ও রায় ঘোষণা করা হবে ১৩ জুলাই বিকেল ৫টা পর্যন্ত।
মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৪ জুলাই বিকেল ৫টা পর্যন্ত। চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে ১৫ জুলাই। ১৬ থেকে ২৮ জুলাই রাত ১২টা পর্যন্ত চলবে নির্বাচনী প্রচারণা। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হবে ১৬ জুলাই।
১৯৯২ সালে সর্বশেষ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। দীর্ঘ ৩২ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এবারের জাকসু নির্বাচন।
ঢাকা/আহসান/রাজীব