চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার রঘুনাথপুর সীমান্তে বিএসএফের নির্যাতনে মারা যাওয়া বাংলাদেশি মো. বারিকুল ইসলামের মরদেহ ১১দিন পর ফেরত দিয়েছে বিএসএফ। 

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সোনামসজিদ বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকা দিয়ে তার পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।

বারিকুল ইসলামের মরদেহ গ্রহণ করে তার চাচা মো.

ইকবাল হোসেন। এসময় সোনামসজিদ ইমিগ্রেশন পুলিশ, বিজিবি ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

বারিকুল ইসলাম চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার দুর্লভপুর ইউনিয়নের জিগরিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তার বাবার নাম মো. সেতাবুল ইসলাম।

চলতি বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি সীমান্ত পিলার ১০/২ থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার অভ্যন্তরে প্রবেশ করে বারিকুল ইসলাম। এসময় ভারতীয় বাজিতপুর বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা তাকে আটক করে মাথায় আঘাত করে। এতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার। বিএসফের হেফাজতে এতদিন মরদেহটি ছিল। 

এ ঘটনার ১১দিন পর পরিবারের কাছে মরদেহ ফেরত দেয় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।

মরদেহ ফেরত পাবার তথ্যটি নিশ্চিত করে নিহতের চাচা ইকবাল হোসেন বলেন বলেন, “মঙ্গলবার বিকেলে ভাতিজার মরদেহ ফেরত পেয়েছি। এদিন রাত ৭টায় জামাজে জানাজা শেষে তাকে স্থানীয় গোরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে।”

ঢাকা/শিয়াম/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব র ক ল ইসল ম র মরদ হ ব এসএফ বগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

কড়া নজরদারি সুন্দরবন সীমান্তে

দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবন জলসীমানা প্রায় দেড়শো কিলোমিটার। ভারতীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, এ সীমানা দিয়ে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বাড়তি তৎপরতা নেওয়া হচ্ছে। খবর আনন্দবাজারের।

খবরে বলা হয়েছে, নদী ও বনভূমি এলাকায় সীমান্ত বরাবর বিএসএফ মোতায়েন আছে। ভাসমান বর্ডার আউটপোস্ট, বঙ্গোপসাগর অংশে কোস্ট গার্ডের নজরদারি চলছে। ড্রোন, সেন্সর ও ক্যামেরা, কিছু জায়গায় নাইট ভিশন ক্যামেরা ব্যবহার করা হচ্ছে। পাশাপাশি, পুলিশের তরফেও উপকূল এলাকায় দিনরাত নজরদারি চলছে।

উপকূল থানাগুলোর পক্ষ থেকে নদীপথে নিয়মিত টহল দেওয়া হচ্ছে। রাতেও উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে নজর রাখা হচ্ছে। নদীপথে কোনো জলযান দেখলেই তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। মৎস্যজীবীদের পরিচয়পত্রও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নদী বা সমুদ্রে এখন মাছ ধরার উপরে নিষেধাজ্ঞা চলছে। মৎস্যজীবীদের জলযান চলাচল করার কথা নয়। তাই জলযান দেখলেই তল্লাশি চলছে। বাংলাদেশি জাহাজগুলোতেও পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে।

সুন্দরবন পুলিশ জেলার সুপার কোটেশ্বর রাও নালাভাট বলেন, আগেও উপকূলবর্তী এলাকায় পুলিশের নজরদারি চলত। এখন বাড়তি জোর দেওয়া হচ্ছে। দু’বেলা নদী ও স্থলপথে পুলিশের টহল বৃদ্ধি পেয়েছে। নাকা চেকিং হচ্ছে। চলছে তল্লাশিও।

উত্তর ২৪ পরগনাতেও উপকূল এলাকায় নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। নিরাপত্তা বেড়েছে জল ও স্থলসীমান্তে। জল, ভূমি ও আকাশে অত্যাধুনিক ইজ়রাইল রাডারের মাধ্যমে নজরদারি চালাচ্ছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী।

ইতোমধ্যে ভারতীয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দফতর জানিয়েছে, বাংলাদেশের আকাশ ব্যবহার করে ভারতকে আক্রমণ করতে পারে সশস্ত্র সংগঠনগুলো। ফলে সুরক্ষা বাড়াতে বিএসএফের তৎপরতা শুরু হয়েছে। বসিরহাট মহকুমার স্বরূপনগর থেকে হিঙ্গলগঞ্জের হেমনগর কোস্টাল থানা পর্যন্ত ৯৪ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। তার মধ্যে ৫০ কিলোমিটার জলসীমান্ত। স্থলসীমান্ত ৪৪ কিলোমিটার। সীমান্ত সুরক্ষায় অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কড়া নজরদারি সুন্দরবন সীমান্তে
  • ভুলে সীমানায় পা, বিএসএফ সদস্যকে আটক করল পাকিস্তান
  • স্বাস্থ্য ব্যয়ের চাপ দারিদ্র্য নিরসনে অন্যতম বাধা