১১দিন পর বাংলাদেশির মরদেহ ফেরত দিল বিএসএফ
Published: 18th, February 2025 GMT
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার রঘুনাথপুর সীমান্তে বিএসএফের নির্যাতনে মারা যাওয়া বাংলাদেশি মো. বারিকুল ইসলামের মরদেহ ১১দিন পর ফেরত দিয়েছে বিএসএফ।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সোনামসজিদ বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকা দিয়ে তার পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।
বারিকুল ইসলামের মরদেহ গ্রহণ করে তার চাচা মো.
বারিকুল ইসলাম চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার দুর্লভপুর ইউনিয়নের জিগরিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তার বাবার নাম মো. সেতাবুল ইসলাম।
চলতি বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি সীমান্ত পিলার ১০/২ থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার অভ্যন্তরে প্রবেশ করে বারিকুল ইসলাম। এসময় ভারতীয় বাজিতপুর বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা তাকে আটক করে মাথায় আঘাত করে। এতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার। বিএসফের হেফাজতে এতদিন মরদেহটি ছিল।
এ ঘটনার ১১দিন পর পরিবারের কাছে মরদেহ ফেরত দেয় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।
মরদেহ ফেরত পাবার তথ্যটি নিশ্চিত করে নিহতের চাচা ইকবাল হোসেন বলেন বলেন, “মঙ্গলবার বিকেলে ভাতিজার মরদেহ ফেরত পেয়েছি। এদিন রাত ৭টায় জামাজে জানাজা শেষে তাকে স্থানীয় গোরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে।”
ঢাকা/শিয়াম/এস
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব র ক ল ইসল ম র মরদ হ ব এসএফ বগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
নওগাঁয় ১০ জনকে ঠেলে দিল বিএসএফ
নওগাঁর ধামইরহাট সীমান্ত দিয়ে ১০ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) ভোরে ধামইরহাট উপজেলার আগ্রাদ্বিগুন সীমান্ত পিলার ২৫৬/৭ এস কাছ দিয়ে বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়া হলে বিজিবির সদস্যরা তাদেরকে আটক করেন। তাদের মধ্যে দুজন পুরুষ এবং আটজন নারী।
বৃহস্পতিবার দুপুরে এসব তথ্য জানিয়েছেন পত্নীতলা ১৪ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন।
আরো পড়ুন:
গাংনী সীমান্ত দিয়ে ১৮ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে বিএসএফ
বড়লেখা সীমান্ত দিয়ে ১০ রোহিঙ্গাকে ঠেলে দিয়েছে বিএসএফ
আটকরা হলেন—আছমা বেগম (৪০), খাদিজা বেগম (৩৪), পাখি বেগম (২৪), রুমা বেগম (২৫), কাকলি আক্তার (২৭), রুজিনা আক্তার (৩৩), কোহিনুর বেগম (২৬), নাসরিন বেগম (৩৩), মঞ্জুরুল ইসলাম (৩৬), সুমন হোসেন (২৭)। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তারা প্রত্যেকেই বাংলাদেশের নাগরিক।
বিজিবি জানিয়েছে, আগ্রাদ্বিগুন বিওপির টহল কমান্ডার জেসিও সুবেদার মো. জিহাদ আলীর নেতৃত্বে একটি টহল দল সীমান্তের শূন্য লাইন থেকে আনুমানিক এক কিলোমিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মহেষপুরে ওই ১০ জনকে ঘোরাঘুরি করতে দেখে আটক করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, তারা বিভিন্ন সময়ে অবৈধভাবে ভারতে যান। মুম্বাই শহরে পুরুষ দুজন রাজমিস্ত্রি হিসেবে এবং নারী আটজন গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতেন। সেখানে তাদেরকে আটক করে ভারতীয় পুলিশ। গত ২৯ জুলাই ভারতের হরিবংশীপুর বিএসএফ ক্যাম্পে তাদেরকে হস্তান্তর করা হয়। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে বিএসএফ ওই ১০ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দিলে বিজিবি টহল দল তাদের আটক করে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
ঢাকা/সাজু/রফিক