চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে বাসের ধাক্কায় ব্যাংক কর্মকর্তাসহ দু’জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও দুজন। আজ বুধবার সকাল ৯টার দিকে চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়কে হাটহাজারী পৌরসভা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। 

নিহত কামরুল ইবনে হাসান (৩৮) নগরীর ডাচ বাংলা ব্যাংকের ইপিজেড শাখার কর্মকর্তা। তিনি ফটিকছড়ি উপজেলার হাসান মাস্টারের ছেলে। আর ইমাম হোসেন (৩০) পাইন্দং ইউনিয়ন এলাকার সিরাজুল হকের ছেলে। তিনি ব্যবসায়ী ছিলেন। তবে আহত দুজনের পরিচয় জানা যায়নি।

স্থানীয় ও রাউজান হাইওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ফটিকছড়িগামী বাস হাটহাজারীমুখী সিএনজিচালিত অটোরিকশাকে ধাক্কা দেয়। এতে অটোরিকশার ৪ যাত্রী আহত হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক কামরুলকে মৃত ঘোষণা করেন। সেখান থেকে আহত দু’জনকে চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। পথে ইমাম মারা যান।

রাউজান হাইওয়ে পুলিশের এসআই সফিক বলেন, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। কামরুল ও ইমাম নিহত হয়েছেন। বাসচালক পালিয়েছে। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব য ক কর মকর ত

এছাড়াও পড়ুন:

লাকসামে অস্ত্রের মুখে এতিমখানার ৫ গরু লুট, আহত ৮

কুমিল্লার লাকসামে একটি এতিমখানার খামার থেকে গত শুক্রবার পাঁচটি গরু লুট করে নিয়ে গেছে ডাকাত দল। এ সময় তাদের হামলায় মাদরাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ আটজন আহত হন। মাদরাসা কর্তৃপক্ষ থানায় মামলা করেছে।

গত শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) ভোরে উপজেলার আজগরা ইউনিয়নের বড়বাম আল-জামিয়াতুল ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদরাসা ও এর সংলগ্ন এতিমখানার খামারে ঘটনাটি ঘটে। তিন মাস আগেও এই খামারের সাতটি গরু লুট করেছিল ডাকাতরা।

আরো পড়ুন:

খুলনায় বিএনপি নেতার অফিসে বোমা-গুলি, শিক্ষক নিহত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রতিপক্ষের হামলা: গুলিবিদ্ধ যুবকের মৃত্যু

সোমবার (৩ নভেম্বর) সকালে ঘটনাটি জানাজানি হয়।

এলাকাবাসী জানান, মাদরাসার আয় এই খামারের মাধ্যমে হয়। তিন মাসের ব্যবধানে দুই দফা ডাকাতি হওয়ায় শিক্ষক ও ছাত্রদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। খামারের বড় গরুগুলো লুট হয়ে যাওয়ায় এক পাশ ফাঁকা পড়ে আছে। বর্তমানে খামারে ১১টি গরু অবশিষ্ট রয়েছে।

খামারের সামনে পড়ে আছে ডাকাত দলের ব্যবহৃত তুষের বস্তা, যা দিয়ে গরুগুলো পিকআপ ভ্যানে তোলে তারা। গরু উদ্ধার এবং ডাকাত দলের সদস্যদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

মামলার বাদী এবং মাদরাসার শিক্ষক ইমরান হোসাইন জানান, গত শুক্রবার ভোরে একদল ডাকাত দুটি পিকআপ ভ্যান নিয়ে এসে অস্ত্রের মুখে মাদরাসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে। শিক্ষকদের মারধর করে তাদের মোবাইল ফোন নিয়ে যায় ডাকাতরা। তারা খামারে ঢুকে কেয়ারটেকার উৎসব হোসেনকে বেঁধে একে একে পাঁচটি গরু পিকআপ ভ্যানে তুলে নেয়। শিক্ষক ও ছাত্রদের চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে আসলে ডাকাতরা পালিয়ে যায়।

মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা শরীফুল আলম খন্দকার জানান, খামারের আয়ের ওপর ভিত্তি করে মাদরাসার কার্যক্রম চলে। তিন মাস আগেও এই খামারের সাতটি গরু নিয়ে যায় ডাকাতরা।

লাকসাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাজনীন সুলতানা বলেন, “লুট হওয়া গরু উদ্ধার এবং ডাকাতদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে। মাদরাসার শিক্ষক ইমরান হোসাইন বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন।”

ঢাকা/রুবেল/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ