বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রে উৎপাদন বন্ধ
Published: 19th, February 2025 GMT
যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে দিনাজপুরের পার্বতীপুরে অবস্থিত কয়লাভিত্তিক বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের তিনটি ইউনটে উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে পুরোপুরি উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে এই কেন্দ্রটি থেকে।
কর্তৃপক্ষ বলছে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে একটি এবং দুই সপ্তাহের মধ্যে অপর একটি ইউনিট থেকে আবারও বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করা সম্ভব হবে।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বিষয়টি জানিয়েছেন বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মো.
তিনি জানান, বড়পুকুরিয়ায় উৎপাদিত কয়লা ব্যবহার করে কেন্দ্রের ৫২৫ মেগাওয়াটের তিনটি ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন কার্যক্রম পরিচালিত হয়। তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের তিনটি ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ৫২৫ মেগাওয়াট। এর মধ্যে ১ নম্বর এবং ২ নম্বর ইউনিট মিলে মোট ২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন আর ৩ নম্বর ইউনিটটি ২৭৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন।
এর মধ্যে ২ নম্বর ইউনিট যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে দীর্ঘদিন ধরেই বন্ধ রয়েছে। শুধুমাত্র সচল ছিল ১ নম্বর ও ৩ নম্বর ইউনিট। যা থেকে প্রায় ২৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়ে জাতীয় গ্রিডে সংযোগ করা হয়।
তবে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ৩ নম্বর ইউনিট বন্ধ করে দেয়া হয়। শুধুমাত্র চাল ছিল এক নম্বর ইউনিটটি। সেই ইউনিটে বয়লারে লিকেজ হওয়ায় যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। পরে গত মঙ্গলবার বিকেলে ১ নম্বর ইউনিটটিও বন্ধ করা হয়। ফলে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায় বিদ্যুৎ কেন্দ্রের তিনটি ইউনিটের উৎপাদন কার্যক্রম।
প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, “গত মঙ্গলবার বিকেলে চলমান ১২৫ মেগাওয়াটের ১ নম্বর ইউনিটের বয়লারের পাইপ ফেটে লিকেজ হওয়ার কারণে বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর আগে ১৫ ফেব্রুয়ারি তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের সচল ৩ নম্বর ইউনিটিও একই কারণে বন্ধ করে দেওয়া হয়।”
তিনি আরও বলেন, “১ নম্বর ইউনিট আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে আমরা সচল করতে পারব এবং ৩ নম্বর ইউনিটটি আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সচল করা সম্ভব হবে।”
ঢাকা/মোসলেম/এস
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর বড়প ক র য় ইউন ট র
এছাড়াও পড়ুন:
গাজীপুরে এটিএম বুথে ধর্ষণের অভিযোগ, অভিযুক্ত পলাতক
গাজীপুরের শ্রীপুরে অধিক বেতনের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে এক নারী পোশাক শ্রমিককে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে একটি এটিএম বুথের নিরাপত্তা প্রহরীর বিরুদ্ধে।
সোমবার (১৬ জুন) সকালে ওই নারী শ্রমিকের বাবা বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
রবিবার (১৫ জুন) সকালে শ্রীপুর উপজেলার মুলাইদ গ্রামের এমসি বাজার এলাকায় তালহা স্পিনিং মিল সংলগ্ন একটি ব্যাংকের এটিএম বুথে এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ ।
ভুক্তভোগী নারী স্থানীয় একটি কারখানায় ৬ হাজার টাকা বেতনে কাজ করতেন। অভিযুক্ত নিরাপত্তা প্রহরী মো. লিটন (৩৫) তালহা স্পিনিং মিল সংলগ্ন বুথে দায়িত্ব পালন করতেন।
লিটন ময়মনসিংহ জেলার পাগলা থানার ডুবাইল গ্রামের মৃত আব্দুল আউয়ালের ছেলে। বর্তমানে তিনি মুলাইদ গ্রামের আতাব উদ্দিনের বাড়িতে ভাড়া থাকেন এবং ফাস্ট সলিউশন লিমিটেড নামের একটি নিরাপত্তা নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের অধীনে চাকরি করতেন।
থানায় দায়ের করা অভিযোগ থেকে জানা যায়, এটিএম বুথে টাকা তোলার সূত্র ধরে এই নারী শ্রমিকের সঙ্গে পরিচয় হয় লিটনের। একপর্যায়ে লিটন ভুক্তভোগীকে ১২ হাজার টাকা বেতনের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে রবিবার সকালে তার বাবার মোবাইলে ফোন করে ডেকে আনেন। সকাল ৬টার দিকে বুথে গেলে লিটন তাকে ভেতরে একটি ছোট কক্ষে বসিয়ে রাখেন এবং জানান যে, নতুন চাকরির উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এসে তার সাক্ষাৎকার নেবেন।
ভিকটিমের বাবা দুইবার মেয়ে চাকরির বিষয়ে খোঁজ নিলে লিটন জানান, চিন্তার কিছু নেই, সব ঠিক আছে। তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেব। এরপর আনুমানিক সকাল ১০টার দিকে লিটন কক্ষে ঢুকে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। বাড়ি ফেরার পথে মেয়ে তার বাবাকে ঘটনাটি জানায়।
ঘটনার বিষয়ে ফাস্ট সলিউশন লিমিটেডের সুপারভাইজার মো. হানিফের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি মোবাইল রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
শ্রীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল বারিক জানান, অভিযোগ পাওয়ার পরপরই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং অভিযুক্ত লিটন পলাতক থাকায় তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে। দ্রুতই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরো জানান, ভিকটিমের স্বাস্থ্য পরীক্ষা গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সম্পন্ন করা হয়েছে।
ঢাকা/রফিক/টিপু