বার্সেলোনায় এখনো দেদারসে বিক্রি হচ্ছে মেসির জার্সি
Published: 21st, February 2025 GMT
লিওনেল মেসি বার্সেলোনা ছেড়েছেন প্রায় সাড়ে তিন বছর আগে। পিএসজি ঘুরে এখন খেলেন ইন্টার মায়ামিতে। এমন অবস্থায় মেসির অফিশিয়াল জার্সি বিক্রির সুযোগ নেই বার্সেলোনার। তবু বার্সায় দেদারসে বিক্রি হচ্ছে মেসির জার্সি। সেটাও এত বেশি যে, বার্সেলোনার বর্তমান দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে মাত্র দুজন তার চেয়ে এগিয়ে।
মেসি ভিন্ন ক্লাবের বলে বার্সেলোনায় তাঁর নামাঙ্কিত কোনো পণ্য বিক্রি হয় না। তবে সমর্থকেরা তো মেসিকে বার্সেলোনার একজন হিসেবেই অনুভব করতে ভালোবাসেন। উৎসাহী মেসি ও বার্সা ভক্তরা বার্সেলোনা স্টোরে এলে নাম-নম্বরবিহীন জার্সি কিনে নেন। তারপর সেখানেই লিখিয়ে নেন মেসির নাম ও জার্সি নম্বর। অথচ, যে মৌসুমের জার্সিটি তারা কিনছেন, সেটি আদৌ মেসি পরেনইনি।
বার্সায় মেসির জার্সির বিক্রির এই চিত্র তুলে ধরেছেন স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম দিয়ারিও এএসের সাংবাদিক হ্যাভিয়ের মিগুয়েল। এএসের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২১ সালে মেসি বার্সা ছেড়ে গেলেও ক্লাবটিতে জার্সি বিক্রিতে এখনো দাপট দেখাচ্ছেন মেসি। ২০২৪-২৫ মৌসুমে বার্সেলোনায় মেসির আইকনিক ১০ নম্বর জার্সিটি এখন পর্যন্ত দলটির তৃতীয় সর্বোচ্চ বিক্রি হওয়া জার্সি।
আরও পড়ুনইয়ামাল যেভাবে ‘মেসি ২.০’ ১৭ জানুয়ারি ২০২৫
মিগুয়েলের দেওয়া তথ্য মতে, এই মুহূর্তে মেসির চেয়ে বেশি জার্সি বিক্রি হয় শুধু লামিনে ইয়ামাল ও রবার্ট লেভানডফস্কির। এরই মধ্যে বিশ্ব ফুটবলে হইচই ফেলে দেওয়া ইয়ামালকে দেখা হচ্ছে বার্সেলোনার ভবিষ্যৎ হিসেবে, যিনি মেসির স্মৃতি ফিরিয়ে এনেছেন বারবার। আর লেভানডফস্কি বার্সেলোনার আক্রমণভাগের মূল খেলোয়াড়।
বার্সায় সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় ইয়ামাল ও লেভানডফস্কির জার্সিউৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
প্রেমিকার বিয়ের দিনে প্রেমিকের লাশ উদ্ধার, হত্যার অভিযোগ পরিবারের
নড়াইলের লোহাগড়ায় প্রেমিকার বিয়ের দিনে প্রেমিক সৈয়দ মাসুম বিল্লাহর (২০) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মাসুমের বাম হাতের একটি আঙুলের নখ উপড়ে ফেলার আলামত থাকায় তার পরিবার অভিযোগ করছে, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।
শুক্রবার (১ আগস্ট) দুপুরে কালনা মধুমতি সেতুর পশ্চিম পাশে রাস্তার ওপর মাসুমকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে ইজিবাইকের চালক সুজন শেখ তাকে উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। বিকেলে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
মাসুম বিল্লাহ লোহাগড়া উপজেলার শালনগর ইউনিয়নের মাকড়াইল গ্রামের মৃত সৈয়দ রকিবুল ইসলামের ছেলে।
আরো পড়ুন:
জুলাই হত্যাকাণ্ডের মামলায় চট্টগ্রামে প্রথম অভিযোগপত্র দাখিল
সিলেটে স্কুলছাত্র সুমেল হত্যা: ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৭ জনের যাবজ্জীবন
মাসুমের স্বজনরা জানিয়েছেন, শালনগর ইউনিয়নের এক কিশোরীর সঙ্গে মাসুমের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মেয়েটির বিয়ের খবর পেয়ে শুক্রবার (১ আগস্ট) সকালে তিনি ঢাকা থেকে লোহাগড়ায় আসেন। সকালে পরিবারের সঙ্গে তার শেষবার কথা হয়, এরপর থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল।
মাসুম বিল্লাহর চাচা শরিফুল ইসলাম বলেছেন, “আমরা শুনেছি, সকালে লোহাগড়া বাজারের একটি পার্লারে মেয়েটির সঙ্গে মাসুমের কথা হয়। এর পর মেয়েটির বাবার কাছ থেকে হুমকি পায় সে। পরে হাসপাতাল থেকে ফোন পেয়ে মাসুমের মৃত্যুর খবর জানি। তার বাম হাতের নখ উপড়ানো ছিল। সব মিলিয়ে মনে হচ্ছে, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।”
মাসুমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া ইজিবাইক চালক সুজন বলেছেন, “ঘটনাস্থলে কোনো দুর্ঘটনার চিহ্ন ছিল না। তবে মনে হয়েছে, কেউ মাসুমকে গাড়ি থেকে ফেলে দিয়েছে।”
লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরিফুল ইসলাম শনিবার (২ আগস্ট) সকালে সাংবাদিকদের বলেছেন, “আমরা মাসুম বিল্লাহকে মৃত অবস্থায় লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে থানায় নিয়ে আসি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।”
ঢাকা/শরিফুল/রফিক