ভারতের বিপক্ষে তাওহীদ হৃদয়ের ১০০ রানের ইনিংসে দু’রকমের দীর্ঘশ্বাস ফেলার কথা ভক্তদের। একটা আক্ষেপ করে, ‘এমন সময় ইনজুরিটা হলো।’ অন্যরা বিরক্তির, ‘একটা সেঞ্চুরি করতেই এই দশা!’ আক্ষেপে পুড়েছেন ক্যারিয়ারের প্রথম শতক করা হৃদয়ও। তার ওই ক্যাম্প দলের বড় ক্ষতি করেছে এটা একপ্রকার স্বীকারই করে নিয়েছেন ডানহাতি ব্যাটার। 

ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে হৃদয় বলেন, ‘আমার ক্যাম্পটা না হলে ২০-৩০ রান বেশি করতে পারতাম। বিশ্বাস ছিল, ডট বলগুলো পূরণ করে দিতে পারব। আমি ও জাকের শেষ করে আসতে পারলে রানটা ২৭০ হতে পারত। তখন ম্যাচের পরিস্থিতি একেবারেই ভিন্ন হতো।’

তাওহীদ হৃদয় যখন পাঁচে ব্যাট করতে নামেন তখন স্কোরবোর্ডে ২৬ রানে ৩ উইকেট। খানিক বাদেই সেটা ৩৫ রানে হয়ে যায় ৫ উইকেট। শুরুতে উইকেট বেশ কঠিনই মনে হয়েছে। যদিও উইকেট বিলিয়ে ফেরেন নাজমুল শান্ত-মেহেদী মিরাজরা। পরে হৃদয় ও জাকের নির্ভার ব্যাটিংয়ে ১৫৪ রান যোগ করেন। 

হৃদয় জানিয়েছেন, বাহির থেকে উইকেট সহজ মনে হলেও আসলে সহজ ছিল না, ‘বাহির থেকে সহজ মনে হলেও ৫ উইকেট হারানোর পর কাজটা সহজ ছিল না। উইকেট ট্রিকি ছিল। মাঝে মধ্যেই কিছু স্পিন বল ভয় ধরাচ্ছিল। আমি কেবল ধৈর্য্য ধরেছিলাম এবং কীভাবে ওই পরিস্থিতি থেকে এগিয়ে যাওয়া যায় ভাবছিলাম।’ 

জাকেরের সঙ্গে জুটির সময় তাদের মাইন্ডসেট পরিষ্কার ছিল বলেও মন্তব্য করেছেন হৃদয়। তিনি জানান, দ্রুত উইকেট পড়ে যাওয়ায় জুটি গড়া ভিন্ন কোন উপায় ছিল না তাদের। সেভাবেই খেলেছেন। হৃদয়ের মতে, তাকে লড়াই করতেই হতো। তিনি সেই পথটা কেবল খুঁজছিলেন। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

নারীর গুরুতর অভিযোগ নিয়ে মুখ খুললেন বিজয়

দক্ষিণী সিনেমার অভিনেতা বিজয় সেতুপতির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করেছেন রম্য মোহন নামে এক নারী। এ অভিনেতার বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ করেন তিনি। এ নিয়ে বেশ কয়েক দিন ধরে চর্চা চলছে। অবশেষে বিষয়টি নিয়ে নীরবতা ভাঙলেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এই দাপুটে অভিনেতা।  

বিজয় সেতুপতি একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছেন। তাতে তিনি বলেন, “যারা আমাকে চেনেন, এমনকি অল্প হলেও চিনেন, তারা বিষয়টিকে হাস্যকর বলে মনে করবেন। আমি জানি আমি কে। এই ধরণের জঘন্য অভিযোগ আমাকে বিরক্ত করে না। আমার পরিবার, ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা বিরক্ত। আমি তাদের বলি, ‘এটা বাদ দাও।’ এটা পরিষ্কার এই নারী, প্রচারের আলোয় আসতে চাইছে; কয়েক মিনিটের খ্যাতি অর্জন করেছে, তাকে এটি পেতে দিন।” 

আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়ে বিজয় সেতুপতি বলেন, “সাইবার ক্রাইমে এ বিষয়ে অভিযোগ করেছি। গত সাত বছর ধরে নানা গুঞ্জন সহ্য করেছি। এর কোনোটি আমাকে প্রভাবিত করেনি এবং কখনো করবেও না।” 

আরো পড়ুন:

বিয়ের কয়েক ঘণ্টা পরই অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ঘোষণা অভিনেতার স্ত্রীর

আমাকে খারাপভাবে স্পর্শ করত, তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে জনি লিভারের কন্যা

রম্য মোহন নামে এক নারী তার মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বিজয়ের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করেন। তাতে তিনি লেখেন, “তেলেগু সিনেমায় নেশা-কাস্টিং কাউচের সংস্কৃতি মজার কোনো ব্যাপার নয়। আমি একটি মেয়েকে চিনি, যে এই ইন্ডাস্ট্রির পরিচিত মুখ। দীর্ঘদিন বিজয় সেতুপতির হাতে ‘মানসিক ও শারীরিক শোষণের’ শিকার হয়েছেন। সেই তরুণী শেষ পর্যন্ত মানসিক বিপর্যয়ের শিকার হয়ে পুনর্বাসনকেন্দ্রে যেতে বাধ্য হন।”  

রম্যর অভিযোগ, “বিজয় সেতুপতি কলিউডের (তামিল ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি) তথাকথিত ‘গ্ল্যামার–সংস্কৃতি’র আড়ালে অশুভ এক বলয়ের অংশ, যেখানে ‘অডিশন’ কিংবা ‘পেশাগত সুযোগ’–এর নামে নারীদের ওপর অনৈতিক চাপ প্রয়োগ করা হয়। তার ভাষায়, ‘সেতুপতির মতো শিল্পীরা শিল্পের স্বাভাবিক নিয়মের ছদ্মবেশে মেয়েদের কাছে ‘অনৈতিক সুবিধার’ বিনিময়ে অর্থের প্রস্তাব দিতেন।” যদিও পরবর্তীতে এ পোস্ট মুছে ফেলেন এই নারী। 

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ