শিল্পকলার মঞ্চে একজোড়া জুতা হারানোর গল্প
Published: 21st, February 2025 GMT
নাট্যদল প্রাচ্যনাটের ২৯ বছর পূর্তি উপলক্ষে মঞ্চস্থ হচ্ছে নাটক ‘এক জোড়া জুতা’। শনিবার ও রোববার সন্ধ্যা ৭টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পরীক্ষণ থিয়েটার হলে নাটকটির প্রদর্শনী হবে।
‘এক জোড়া জুতা’ নাটকটি রচনা করেছেন মেহরাব রহমান এবং নির্দেশনা দিয়েছেন ইমামুল হক।
নাটকের কাহিনীতে দেখা যাবে, এক জোড়া হারানো জুতার গল্প। জুতা হারানোর পর চারদিক শূন্য হয়ে যায়, মাতৃভূমির উর্বর মাটিও শূন্য পড়ে থাকে, শূন্য থাকে কৃষকের ঘর, তারুণ্যের সোনালী স্বপ্ন। পুরো নাটক জুড়েই শিল্পীরা কীভাবে এ জুতা হারিয়েছে সেটা খুঁজে বেড়াবেন।
সবাই প্রতীক্ষায় থাকে কখন খুঁজে পাওয়া যাবে সেই একজোড়া জুতা। এই জুতা খোঁজার মধ্য দিয়ে স্বজন হারানো ব্যথার নানান ব্যঞ্জনা উঠে এসেছে নাটকটিতে।
নাটকটি যৌথভাবে প্রযোজনা করছে কানাডার ‘টরন্টো থিয়েটার ফোকস’ এবং ‘প্রাচ্যনাট’। সংগীত করেছেন নাওয়ার আশিকুজ্জামান এবং আশিকুজ্জামান টুলু, মুখ্য সমন্বয়ক হিসেবে আছেন শতাব্দী ওয়াদুদ ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে আছেন আজাদ আবুল কালাম।
১৯৯৭ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ‘প্রাচ্যনাট’ এর পথচলা শুরু হয়। নাট্যদলটি সার্কাস সার্কাস, এ ম্যান ফর অল সিজনস, কইন্যা, রাজা এবং অন্যান্য, কিনু কাহারের থেটার, পুলসিরাত ও খোয়াবনামাসহ বেশি কিছু নাটকের কারণে প্রশংসিত হয়েছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ন টকট
এছাড়াও পড়ুন:
তালাকপ্রাপ্ত নারীর ঘরে আটক পুলিশ সদস্য বললেন, ‘কালিমা পড়ে বিয়ে করেছি’
রাজশাহীতে তালাকপ্রাপ্ত এক নারীর ঘর থেকে পুলিশের এক কনস্টেবলকে আটক করেছেন স্থানীয়রা। পরে তাকে পুলিশে দেওয়া হয়েছে। বুধবার (৩০ এপ্রিল) মধ্যরাতে নগরীর তালাইমারি বাদুড়তলা এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
ওই পুলিশ কনস্টেবলের নাম টি এম নাসির উদ্দিন। তিনি পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের বেইজড ওয়ারলেস অপারেটর। বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) দুপুর পর্যন্ত তিনি নগরীর মতিহার থানায় ছিলেন।
ওই কনস্টেবলের বাড়ি সিরাজগঞ্জে। সেখানে তার স্ত্রী-সন্তান আছে। যে নারীর ঘরে তাকে পাওয়া গেছে তার স্বামীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে।
কনস্টেবল নাসির দাবি করেন, আগের স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর তিনি ওই নারীকে কালেমা পড়ে বিয়ে করেছেন।
মতিহার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুল মালেক বলেন, ‘‘তালাকপ্রাপ্ত নারী তার মায়ের বাড়িতেই থাকতেন। সেখানে রাতে আমাদের কনস্টেবল যান। তখন স্থানীয়রা দুজনকে ঘরে আটকে রেখে থানায় খবর দেন। আমরা গিয়ে তাদের থানায় এনেছি।’’
ওসি বলেন, ‘‘কনস্টেবল দাবি করেছেন, তিনি কালেমা পড়ে ওই নারীকে বিয়ে করেছেন। আগের স্ত্রীও বিষয়টি অবগত। তবে, বিয়ের কোনো রেজিস্ট্রি নেই। এখন তিনি রেজিস্ট্রি করে নিতে চাচ্ছেন। দুজনে থানায় আছেন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।’’
‘‘এক্ষেত্রে, কনস্টেবল নাসিরের আগের স্ত্রীর কোনো আপত্তি থাকলে তিনি আইনি পদক্ষেপ নিতে পারবেন।’’- যোগ করেন ওসি আবদুল মালেক।
রাজশাহী রেঞ্জের পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোহাম্মদ শাহজাহান মিয়া বলেন, ‘‘বিষয়টা আমার জানা নাই। এ রকম হয়ে থাকলে অবশ্যই বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
ঢাকা/কেয়া/রাজীব