আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান (মঞ্জু) বলেছেন, মহান একুশ ও রক্তিম চব্বিশ যুগে যুগে মুক্তিকামী বিপ্লবীদের অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে। একুশের প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

এর আগে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ভাষাশহীদদের স্মরণে দলটির নেতা-কর্মীরা শহীদ মিনারের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

মজিবুর রহমান বলেন, ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’ গানের করুণ সুর আমরা আমাদের হৃদয়ে ধারণ করে চলেছি যুগের পর যুগ। ১৯৫২ সালের এই দিনে মাতৃভাষা বাংলার মর্যাদা প্রতিষ্ঠার জন্য বুকের রক্তে রাজপথ রঞ্জিত করেছিলেন এ দেশের ছাত্র-তরুণেরা। ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থান যেন তারই ধারাবাহিক অধিকার রক্ষার বিজয়ী মিছিলের অন্তিম ভাগ।

এবি পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ‘সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার, শফিউর, অহিউল্লাহদের আত্মত্যাগের পথ ধরে আবু সাঈদ ও মুগ্ধরা ইতিহাসের অনন্য উদাহরণ তৈরি করে জানান দিয়েছেন, যুদ্ধ এখনো শেষ হয়নি। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও অধিকার আদায়ের সংগ্রাম অব্যাহত রাখার জীবনযুদ্ধ আমরা চালিয়ে যাব।’

এ সময় এবি পার্টির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান দিদারুল আলম, হেলাল উদ্দিন, বি এম নাজমুল হক, কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন রানা, এ বি এম খালিদ হাসান, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আলতাফ হোসাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা) আমজাদ খান, যুব পার্টির আহ্বায়ক শাহাদাতুল্লাহ টুটুল, যুব পার্টির সদস্যসচিব হাদিউজ্জামান, ছাত্রপক্ষের আহ্বায়ক মুহাম্মদ প্রিন্স হোসনসহ মহানগরীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

একুশের প্রথম প্রহরে এবি যুব পার্টি ও বাংলাদেশ ছাত্রপক্ষের নেতারাও শহীদদের স্মরণে পৃথকভাবে শ্রদ্ধা অর্পণ করেন।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

লামিনে ‘মেসি’ ইয়ামাল

১৭ বছর বয়সী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো: ১৯ ম্যাচ, ৫ গোল, ৪ গোলে সহায়তা।

১৭ বছর বয়সী লিওনেল মেসি: ৯ ম্যাচ, ১ গোল, গোলে সহায়তা নেই।

১৭ বছর বয়সী লামিনে ইয়ামাল: ১০০ ম্যাচ, ২২ গোল, ৩৩ গোলে সহায়তা।

মেসি–রোনালদোর সঙ্গে তুলনা নয়, লামিনে ইয়ামালের শুরুটা বোঝাতে এই পরিসংখ্যান হাজির করেছে টিএনটি স্পোর্টস। ধূমকেতুর মতো শুরু হলেও ধূমকেতুর মতোই মিলিয়ে যাওয়ার পাত্র তিনি নন।

বার্সেলোনার এস্তাদি অলিম্পিক লুইস কোম্পানিসে  গত রাতের ম্যাচটি স্মরণ করতে পারেন। ৬ গোলের থ্রিলার, যেখানে বার্সেলোনা–ইন্টার মিলান সেমিফাইনাল প্রথম লেগের ‘ক্লাসিক’ লড়াই ৩–৩ গোলে অমীমাংসীত। দুই দলের হয়েই ‘সুপার হিরো’ ছিলেন বেশ কজন। ইন্টারের যেমন ডেনজেল ডামফ্রিস ও মার্কাস থুরাম, বার্সার তেমনি রাফিনিয়া, ফেরান তোরেসরা। কিন্তু সবাইকে ছাপিয়ে ঠিকই রবির কিরণের মতো আলো দিয়েছেন এক কিশোর—লামিনে ইয়ামাল নাসরাউয়ি এবানা। সংক্ষেপে লামিনে ইয়ামাল।

আরও পড়ুন৬ গোলের থ্রিলারে বার্সেলোনা–ইন্টার সেয়ানে সেয়ানে টক্কর৮ ঘণ্টা আগে

২৪ মিনিটে ইয়ামালের করা গোলটির প্রসঙ্গে পরে আসা যাবে। যেভাবে খেলেছেন তাতে গোলটি না করলেও লোকে কাল রাতে তাঁর পারফরম্যান্স মনে রাখতেন। পরিসংখ্যান বলছে ১০২টি টাচ, একটি গোল, ২টি গোল হওয়ার মতো পাস, ৬টি শট (পোস্টে মেরেছেন দুবার) এবং ১০টির মধ্যে ৬টি সফল ড্রিবলিং।

কিন্তু পরিসংখ্যানে এ তথ্য নেই—মাঠে ডান প্রান্তকে ইয়ামাল ফাইনালে ওঠার হাইওয়ে বানিয়ে যতবার কাট–ইন করে ইন্টারের বক্সে ঢুকেছেন, সেটা আসলে ইতালিয়ান ক্লাবটির রক্ষণের জন্য দুঃস্বপ্নের। প্রতিবারই মৌমাছির মতো ছেঁকে ধরা হয়েছে ইয়ামালকে। কিন্তু আটকানো কি সম্ভব হয়েছে? রাত থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওগুলো ভাসছে। সেসব আসলে ইয়ামালের পায়ের কারুকাজে ইন্টারের রক্ষণকে স্রেফ খোলামকুচির মতো উড়িয়ে দেওয়ার ভিডিও।

ইয়ামাল কত ভয়ংকর সেটা এই এক ছবিতেই পরিস্কার। সবাই ছেঁকে ধরেও তাঁকে আটকাতে পারেননি

সম্পর্কিত নিবন্ধ