যুবলীগ নেতার গ্রেপ্তার ঘিরে বিএনপি-যুবদলের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, ১৪৪ ধারা জারি
Published: 22nd, February 2025 GMT
সুনামগঞ্জের মধ্যনগরে ‘অপারেশন ডেভিল হান্টে’ এক যুবলীগ নেতার গ্রেপ্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দু’পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় উভয়পক্ষ অফিস ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় শুক্রবার রাত থেকে উপজেলা সদরে ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় অপারেশন ডেভিল হান্টে মধ্যনগর উপজেলার বংশিকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সহসভাপতি মিজানুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ নিয়ে উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম মজনু ও জেলা যুবদলনেতা শহীদ মিয়ার লোকজনের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। শহীদ মিয়ার দাবি, গ্রেপ্তারকৃত মিজানুর রহমান বিএনপির রাজনীতি করতেন।
এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ও অফিস ভাঙচুরের পর রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ এড়াতে বাজার ও আশপাশের এলাকায় সভা-সমাবেশ ও মিছিল নিষিদ্ধ করে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়।
এ বিষয়ে মধ্যনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উজ্জ্বল রায় বলেন, যুবলীগনেতার গ্রেপ্তারকে কেন্দ্র করে উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম মজনু ও জেলা যুবদল নেতা শহীদ মিয়ার লোকজনের মধ্যে দ্বন্দ্ব ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। পরে উভয়পক্ষের লোকজন পাল্টাপাল্টি অফিস ভাঙচুর করে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
তিনি জানান, বাজারে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক। রাত ১২টা থেকে ১৪৪ ধারা জারি হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত জরুরি অবস্থা বলবৎ থাকবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স ন মগঞ জ ১৪৪ ধ র ব এনপ র য বল গ উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন
চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।
লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।
চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।
লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।
প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।
লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।
লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’
তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?