Risingbd:
2025-11-03@02:18:26 GMT

আট আনার ‘ফেকুর তেহারী’ এখন কত?

Published: 23rd, February 2025 GMT

আট আনার ‘ফেকুর তেহারী’ এখন কত?

ঢাকায় প্রথম কবে তেহারী বিক্রি হয়েছে?—এই প্রশ্নের উত্তর অনেকেরই অজানা। এ নিয়ে রয়েছে নানা ধরনের গল্পকথা। তবে অনেকেই মনে করেন ঢাকার প্রথম তেহারীর দোকান হচ্ছে ‘ফেকুর তেহারীর দোকান’। পুরান ঢাকায় এই দোকানে পাকিস্তান আমল থেকেই তেহারী বিক্রি হয়। এই দোকানের এক প্লেট তেহারী এক সময় আট আনায় পাওয়া যেত।  
 
যতদূর জানা যায়, ১৯৬৫ সালের আগে থেকেই তেহারী বিক্রি করা হতো ফেকু হাজীর দোকানে। সে সময় পুরান ঢাকায় অনেক মোরগ পোলাও বা কাচ্চির দোকান থাকলেও ছিল না একাধিক তেহারীর দোকান। পুরান ঢাকার লোকদের মতে ফেকুর তেহারীর দোকানই ঢাকার সর্বপ্রথম তেহারীর দোকান। স্থানীয়দের কাছে খুব জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল এই তেহারী। কিন্তু ফেকু হাজীর মৃত্যুর পর তার সন্তানেরা ১৯৯০ সালের দিকে দোকানটি বন্ধ করে দেয়। 

পরবর্তীতে ২০০৫ সাল থেকে আবার তেহারী বিক্রি শুরু হয়। পুরনো রন্ধনশিল্পীকে নিয়োগ দেওয়া হয় তেহারী রান্নার কাজে। কিন্তু দোকানের নাম পাল্টে যায়। এর নামকরণ হয় ‘সফর বিরিয়ানি’। নামে আলাদা হলেও এই দোকানের সিগনেচার আইটেম তেহারী। ‘ফেকুর তেহারী’ দোকানের এক রন্ধনশিল্পী আব্দুল আজিজ এই নতুন দোকানে তেহারী রান্নার দায়িত্ব পালন করেন। 

আব্দুল আজিজ কত বছর ধরে তেহারীর দোকানে কাজ করছেন তা ঠিকভাবে বলতে পারেন না। তার ভাষ্যমতে, এই তেহারী যখন ৩ ও ৬ টাকা প্লেট বিক্রি হতো সে সময় থেকেই সেই দোকানের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন তিনি এবং এখানে সর্বনিম্ন তেহারীর প্লেট ছিল আট আনা।

তিনি জানান, একসময় কলাপতায় বিক্রি হতে তেহারী। সে সময় সকালে বিক্রি শুরু হলেও দশটা থেকে এগারোটার ভেতরে দুই থেকে তিন ডেক তেহারী শেষ হয়ে যেত।

সে সময়কার স্মৃতি উল্লেখ করে আব্দুল আজিজ আরও বলেন, ‘‘সে সময় ঢাকাতে গ্যাসের প্রচলন ছিল না রান্না হতো লাকড়ির চুলায় এবং সে সময় ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে ঘোড়দৌড় হতো।

দোকানের নাম সফর বিরিয়ানি হলেও এই দোকানে পাওয়া যায় না কোন বিরিয়ানি। তেহারীর চাহিদা বেশি থাকায় শুধুই তেহারী রান্না করা হয়। আধা প্লেট তেহারীর দাম ১২০ টাকা। গরুর মাংসের এই তেহারীতে ছয় সাত টুকরো মাংস থাকে, সঙ্গে থাকে আলু। পরিবেশন করা হয় লেবু ও সালাদ দিয়ে। এই দোকানে রয়েছে ১০-১২ জনের বসার ব্যবস্থা। প্রতিদিন বিক্রি হয় দুই ডেক তেহারী।

রাইজিংবিডির সাথে কথা হয় ফেকু হাজির  শ্যালক সাওকাতের। তিনি বলেন, ‘‘ফেকু হাজী আমার দুলাভাই ছিলেন। তার সময়ে এই দোকানে তেহারী খাওয়ার জন্য নারিন্দা রোডে ভীড় জমতো। সে সময়কার ঢাকার যে কেউ ফেকুর তেহারী বললে এক নামে চিনে যেতেন।’’ 

দোকানের নাম সফর বিরিয়ানি হলেও মানুষের মুখে মুখে এখনও ফেকুর দোকান নামেই পরিচিত। এই দোকানের তেহারী খেতে হলে আপনাকে চলে যেতে হবে ২৩/১ নারিন্দা রোডে। 

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর এই দ ক ন

এছাড়াও পড়ুন:

খুলনায় বিএনপি নেতার অফিসে বোমা-গুলি, শিক্ষক নিহত

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) আইটি গেট সংলগ্ন বিএনপি নেতার দলীয় কার্যালয়ে গুলি ও বোমা হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় ইমদাদুল নামে এক শিক্ষক নিহত হয়েছেন। যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউপি সদস্য মামুন শেখ (৪৫) ও মিজানুর রহমান নামে দুই ব্যক্তি আহত হয়েছেন।

রবিবার (২ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে ঘটনাটি ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করে আড়ংঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ খায়রুল বাশার।

আরো পড়ুন:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রতিপক্ষের হামলা: গুলিবিদ্ধ যুবকের মৃত্যু

নবীনগরে গুলিবিদ্ধ ৩

তিনি বলেন, ‍“ঘটনাস্থল থেকে একটি ব্যাগ উদ্ধার করা হয়েছে। তার ভেতর ভুসি রাখা ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, এর ভেতরেই বোমা নিয়ে আসা হয়েছিল।” পেশাদার কিলারের সম্পৃক্তা থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন ওসি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত ৯টার দিকে বিএনপি নেতা মামুন শেখ স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে অফিসে বসেছিলেন। এ সময় সন্ত্রাসীরা অফিস লক্ষ্য করে পরপর দুইটি বোমা ও চার রাউন্ড গুলি ছুড়ে নির্বিঘ্নে পালিয়ে যায়। পরে নেতাকর্মী ও স্বজনরা গুরুতর আহত মামুনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এলাকাজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

খানজাহান আলী থানা বিএনপির সভাপতি কাজী মিজানুর রহমান বলেন, “যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন শেখকে সন্ত্রাসীরা গুলি করেছে। তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।”

যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মীর শওকত হোসেন হিট্টু বলেন, “ঘটনার সময় আমি ফুলবাড়িগেটে ছিলাম। শুনেছি, আমাদের সাংগঠনিক সম্পাদক মামুনকে সন্ত্রাসীরা গুলি করেছে। তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।”

ঢাকা/নূরুজ্জামান/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ