Risingbd:
2025-05-01@02:22:43 GMT

আট আনার ‘ফেকুর তেহারী’ এখন কত?

Published: 23rd, February 2025 GMT

আট আনার ‘ফেকুর তেহারী’ এখন কত?

ঢাকায় প্রথম কবে তেহারী বিক্রি হয়েছে?—এই প্রশ্নের উত্তর অনেকেরই অজানা। এ নিয়ে রয়েছে নানা ধরনের গল্পকথা। তবে অনেকেই মনে করেন ঢাকার প্রথম তেহারীর দোকান হচ্ছে ‘ফেকুর তেহারীর দোকান’। পুরান ঢাকায় এই দোকানে পাকিস্তান আমল থেকেই তেহারী বিক্রি হয়। এই দোকানের এক প্লেট তেহারী এক সময় আট আনায় পাওয়া যেত।  
 
যতদূর জানা যায়, ১৯৬৫ সালের আগে থেকেই তেহারী বিক্রি করা হতো ফেকু হাজীর দোকানে। সে সময় পুরান ঢাকায় অনেক মোরগ পোলাও বা কাচ্চির দোকান থাকলেও ছিল না একাধিক তেহারীর দোকান। পুরান ঢাকার লোকদের মতে ফেকুর তেহারীর দোকানই ঢাকার সর্বপ্রথম তেহারীর দোকান। স্থানীয়দের কাছে খুব জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল এই তেহারী। কিন্তু ফেকু হাজীর মৃত্যুর পর তার সন্তানেরা ১৯৯০ সালের দিকে দোকানটি বন্ধ করে দেয়। 

পরবর্তীতে ২০০৫ সাল থেকে আবার তেহারী বিক্রি শুরু হয়। পুরনো রন্ধনশিল্পীকে নিয়োগ দেওয়া হয় তেহারী রান্নার কাজে। কিন্তু দোকানের নাম পাল্টে যায়। এর নামকরণ হয় ‘সফর বিরিয়ানি’। নামে আলাদা হলেও এই দোকানের সিগনেচার আইটেম তেহারী। ‘ফেকুর তেহারী’ দোকানের এক রন্ধনশিল্পী আব্দুল আজিজ এই নতুন দোকানে তেহারী রান্নার দায়িত্ব পালন করেন। 

আব্দুল আজিজ কত বছর ধরে তেহারীর দোকানে কাজ করছেন তা ঠিকভাবে বলতে পারেন না। তার ভাষ্যমতে, এই তেহারী যখন ৩ ও ৬ টাকা প্লেট বিক্রি হতো সে সময় থেকেই সেই দোকানের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন তিনি এবং এখানে সর্বনিম্ন তেহারীর প্লেট ছিল আট আনা।

তিনি জানান, একসময় কলাপতায় বিক্রি হতে তেহারী। সে সময় সকালে বিক্রি শুরু হলেও দশটা থেকে এগারোটার ভেতরে দুই থেকে তিন ডেক তেহারী শেষ হয়ে যেত।

সে সময়কার স্মৃতি উল্লেখ করে আব্দুল আজিজ আরও বলেন, ‘‘সে সময় ঢাকাতে গ্যাসের প্রচলন ছিল না রান্না হতো লাকড়ির চুলায় এবং সে সময় ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে ঘোড়দৌড় হতো।

দোকানের নাম সফর বিরিয়ানি হলেও এই দোকানে পাওয়া যায় না কোন বিরিয়ানি। তেহারীর চাহিদা বেশি থাকায় শুধুই তেহারী রান্না করা হয়। আধা প্লেট তেহারীর দাম ১২০ টাকা। গরুর মাংসের এই তেহারীতে ছয় সাত টুকরো মাংস থাকে, সঙ্গে থাকে আলু। পরিবেশন করা হয় লেবু ও সালাদ দিয়ে। এই দোকানে রয়েছে ১০-১২ জনের বসার ব্যবস্থা। প্রতিদিন বিক্রি হয় দুই ডেক তেহারী।

রাইজিংবিডির সাথে কথা হয় ফেকু হাজির  শ্যালক সাওকাতের। তিনি বলেন, ‘‘ফেকু হাজী আমার দুলাভাই ছিলেন। তার সময়ে এই দোকানে তেহারী খাওয়ার জন্য নারিন্দা রোডে ভীড় জমতো। সে সময়কার ঢাকার যে কেউ ফেকুর তেহারী বললে এক নামে চিনে যেতেন।’’ 

দোকানের নাম সফর বিরিয়ানি হলেও মানুষের মুখে মুখে এখনও ফেকুর দোকান নামেই পরিচিত। এই দোকানের তেহারী খেতে হলে আপনাকে চলে যেতে হবে ২৩/১ নারিন্দা রোডে। 

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর এই দ ক ন

এছাড়াও পড়ুন:

বকশিশের টাকা ভাগাভাগি নিয়ে হত্যা: সহকর্মীর যাবজ্জীবন 

বকশিশের ১০০ টাকা না পেয়ে কাজী মারুফ নামে এক তরুণকে হত্যার ঘটনায় তার সহকর্মীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে কুমিল্লার আদালত। একই সঙ্গে তাকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। 

গতকাল বুধবার দুপুরে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৫ম আদালতের বিচারক মোছা. ফরিদা ইয়াসমিন এ রায় দেন। 

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন গোলাম রাব্বী (২২)। তিনি কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামের মো. শাহজাহানের ছেলে।

মামলার অভিযোগ ও আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ১০ মে সকালে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার এসকে ফিলিং স্টেশনে বকশিশের ১০০ টাকার ভাগাভাগি নিয়ে দ্বন্দ্বে গোলাম রাব্বী নামের এক তরুণ তার সহকর্মী কাজী মারুফে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় কুমিল্লা মেডিকেলে নেওয়া পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনার পর নিহতের মা মিনুয়ারা বেগম বাদী হয়ে রাব্বীকে একমাত্র আসামি করে সদর দক্ষিণ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ