Risingbd:
2025-06-15@22:52:56 GMT

১৪ হাজারে দ্রুততম কোহলি

Published: 23rd, February 2025 GMT

১৪ হাজারে দ্রুততম কোহলি

পাকিস্তানের বিপক্ষে জয় পাওয়া ম্যাচে জোড়া রেকর্ডের কীর্তি গড়েছেন বিরাট কোহলি। ক্রিকেট বিশ্বের তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে ওয়ানডে ক্রিকেটে ১৪ হাজার রানের মাইলফক পেরিয়েছেন কোহলি। শচীন টেন্ডুলকার ও কুমার সাঙ্গাকারার পর এলিট ক্লাবে প্রবেশ করেছেন ভারতের মাস্টারব্লাস্টার। তবে তাদের দুজনের চেয়ে কম ইনিংস খেলে দ্রুততম ১৪ হাজার রানের রেকর্ড গড়েছেন কোহলি।

চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে দুবাইয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে ২৮৭তম ওয়ানডে ইনিংস খেলতে নেমেছিলেন কোহলি। ১৩ হাজার ৯৮৫ রান নিয়ে খেলতে নেমেছিলেন। রোহিত শর্মা আউট হওয়ার পর দ্রুত ব্যাটিংয়ে নেমে রেকর্ড ছুঁয়ে ফেলেন কোহলি। সর্বপ্রথম টেন্ডুলকার ৩৫০ ইনিংসে ওয়ানডে ক্রিকেটে ১৪ হাজার রান পূর্ণ করেছিলেন। শ্রীলঙ্কান কিংবদন্তি এই রেকর্ড গড়েছিলেন ৩৭৮ ইনিংসে। কোহলির এলিট ক্লাবে প্রবেশ করতে লাগল ৬৩ কম ইনিংস। ওয়ানডে ক্রিকেটে দ্রুততম ১০০০ থেকে ৮০০০ রান পর্যন্ত সবগুলো রেকর্ডের মালিক কোহলি। ২০১৭ সালের জুনে ১৭৫ ইনিংসে ৮০০০ রান ছুঁয়েছিলেন তিনি। ওয়ানডে ক্রিকেটে তৃতীয় সর্বোচ্চ স্কোরার তিনি। তার উপরে রয়েছেন কেবল কুমার সাঙ্গাকারা (১৪,২৩৪) ও টেন্ডুলকার (১৮,৪২৬)।

সাঙ্গাকারাকে ছাড়িয়ে যেতে কোহলির খুব একটা কষ্ট হবে না। কিন্তু টেন্ডুলকারের পাশে বসতে পারবেন কিনা সেটাই বিরাট প্রশ্নের। গত বিশ্বকাপে টেন্ডুলকারের ওয়ানডের রেকর্ড ৪৯ সেঞ্চুরির রেকর্ড ভেঙেছেন কোহলি। বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল ম্যাচে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়াংখেড়েতে ৫০তম সেঞ্চুরি করেছিলেন। আজ তুলে নিলেন ৫১তম সেঞ্চুরি।

আরো পড়ুন:

‘তিনশর বেশি রান করার ক্ষমতা আছে শান্তদের’

উঁচু মূল্য লিটনের, ঝুলে আছে দলবদল প্রক্রিয়া

এদিকে এই ম্যাচে ভারতের হয়ে ওয়ানডে ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি ক্যাচ নেওয়ারও রেকর্ড গড়েছেন কোহলি। ওয়ানডেতে ১৫৮ ক্যাচ নিয়েছেন তিনি। পেছনে ফেলেন আজহারউদ্দিনের ১৫৬ ক্যাচ। ক্যাচ সংখ্যায় তার উপরে আছেন রিকি পন্টিং (১৬০) ও মাহেলা জয়াবর্ধনে (২১৮)।

ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক হল ১৪ হ জ র ছ ন ক হল র কর ড

এছাড়াও পড়ুন:

২২ ক্যাডার নিয়ে চলতেন স্বেচ্ছাসেবক দলের জিতু

বগুড়ায় মেয়েকে উত্ত্যক্ত ও বাবাকে খুনে অভিযুক্ত জিতু ইসলাম দলীয় প্রভাবে বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। কথায় কথায় যাকে-তাকে অহেতুক মারধর করতেন। চলতেন ২২ জনের ক্যাডার বাহিনী নিয়ে। তারা সবাই নানা অপকর্মে জড়িত এবং একাধিক মামলার আসামি। তাঁর আয় চাঁদাবাজি ও মাদক ব্যবসা থেকে। গতকাল রোববার এলাকায় গিয়ে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
জানা যায়, জিতু ফুলবাড়ী কারিগরপাড়ার মৃত সেকেন্দার আলীর ছেলে। ২০০৩ সালে এলাকায় বালু ব্যবসা নিয়ে প্রতিপক্ষ রবিউল ইসলামকে খুন করেন। সেই মামলায় তাঁর ১৪ বছর সাজা হয়। সাজা খেটে তিন বছর আগে বের হন। এর পর এলাকায় গড়ে তোলেন সন্ত্রাসী বাহিনী। তাঁর বাহিনীতে যে ২২ জন সদস্য, তারা কেউ রাজনৈতিক দলের পদ-পদবিতে নেই। হত্যা মামলা ছাড়াও জিতুর বিরুদ্ধে একটি মাদক ও একটি ডাকাতির মামলা রয়েছে।

ফুলবাড়ীর এক মুদি দোকানি বলেন, জিতু মাঝেমধ্যে তাঁর দোকান থেকে বাকি নিতেন। দু’বছরে বাকির পরিমাণ প্রায় ৪৮ হাজার টাকা হয়। তখন একদিন টাকা চান। এ কারণে জিতু তাঁকে মারধর করে নাকে খত নেন।
বৃন্দাবন এলাকার আরেক ব্যবসায়ী বলেন, মাঝেমধ্যে জিতু তাঁর বাহিনী নিয়ে হাজির হতেন। মোটা অঙ্কের চাঁদা চাইতেন। চাঁদার কমপক্ষে অর্ধেক দিয়ে তবে নিস্তার পাওয়া যেত। এ ছাড়া ঈদে সেলামির নামে মোটা অঙ্কের চাঁদা দিতে হতো তাঁকে।

স্থানীয় ব্যবসায়ী জানান, তাঁর কাছে মোটা অঙ্কের চাঁদা চান জিতু। না দেওয়ায় দোকানে ককটেল হামলা করেন। বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকায় আগস্টের পর জিতু বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। এলাকার একাধিক আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীর কাছ থেকে মোটা অঙ্কের চাঁদা নিয়ে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ আছে তাঁর বিরুদ্ধে। ছোট ভাই মিতুলও তাঁর বাহিনীর সদস্য।

জিতু গত ১৯ ফেব্রুয়ারি জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের ১০১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির সহসাধারণ সম্পাদকের পদ পান। সন্ত্রাসী হয়ে দলের পদ পাওয়ায় এলাকায় তাঁকে নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পদ পেয়ে তিনি আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠেন।

এলাকার এক ভুক্তভোগী বলেন, ‘জিতুর কারণে আমরা মুখ খুলতে পারি না। সে চাঁদাবাজি ও মাদক ব্যবসার মাধ্যমে এলাকা অতিষ্ঠ করে তুলেছে। বিশেষ করে রাজনৈতিক দলের পদ-পদবি পেয়ে ভয়ংকর হয়ে ওঠে। তার নির্যাতনের শিকার অর্ধশতের কম হবে না। তার বখাটেপনার কারণে কেউ মেয়ে বিয়ে দিতে রাজি হতো না।’
এক বছর আগে থেকে ফুলবাড়ির পাশেই শহরের শিববাটি এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করতে থাকেন জিতু। সেই এলাকার বাসিন্দা রিকশাচালক শাকিল হোসেন। শাকিলের মেয়ে স্থানীয় ভান্ডারী সিটি বালিকা বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে। এক মাস আগে ৫২ বছর বয়সী জিতু বিয়ের প্রস্তাব দেন শাকিলের মেয়েকে। বিষয়টি শাকিল জেনে রাগ করেন। জিতুর ওপর চড়াও হন। কিছুতে রাজি না হলে নানাভাবে নির্যাতন করতে থাকেন জিতু। তাঁর মেয়েকেও উত্ত্যক্ত করতেন। এরই এক পর্যায়ে শনিবার বিকেলে শাকিলকে পিটিয়ে খুন করেন জিতু ও তাঁর বাহিনী।
এ হত্যার ঘটনায় জিতুকে এক নম্বর আসামি করে ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে গতকাল রোববার বগুড়া সদর থানায় হত্যা মামলা করেছেন শাকিলের স্ত্রী মালেকা খাতুন। পুলিশ শনিবার রাতেই জিতু ও তাঁর সহযোগী মতি এবং বিপ্লবকে আটক করে।

সন্ত্রাসীকে দলের পদ দেওয়ার বিষয়ে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি সরকার মুকুল বলেন, ‘আমি জানতাম না, সে দলের নাম ভাঙিয়ে এসব অপকর্ম করছে। আমরা তাকে দল থেকে বহিষ্কার করেছি।’ শনিবার রাতে স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় সভাপতি এস এম জিলানী ও সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসানের সই করা বিবৃতিতে জিতু ইসলামকে বহিষ্কার করা হয়। সেই সঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অনুরোধ জানানো হয়।

বগুড়া সদর থানার ওসি হাসান বাসির বলেন, ‘এ মামলার অন্য আসামিদেরও গ্রেপ্তার করা হবে।’
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ফুলবাড়ী পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক জোবায়ের খান জানান, গতকাল জিতুসহ তিন আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। সাত দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মেহেদী হাসান পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এদিকে হত্যার প্রতিবাদ ও দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম জেলা শাখা। গতকাল বিকেলে শহরের সাতমাথায় সংগঠনের সভাপতি অ্যাডভোকেট দিলরুবা নূরী এতে সভাপতিত্ব করেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ