মৃত ব্যক্তির এনআইডি সংশোধনের ক্ষমতা পেলেন মহাপরিচালক
Published: 25th, February 2025 GMT
কেউ মারা গেলে তার জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংশোধনের ক্ষমতা পেলেন জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক। আগে এই ক্ষমতা পেত পাঁচ সদস্যের কমিশন।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) এনআইডি অনুবিভাগের সহকারী পরিচালক (সঠিকতা যাচাই) মুহা. সরওয়ার হোসেন এ সংক্রান্ত অফিস আদেশ জারি করেন।
এতে উল্লেখ করা হয়, বিগত নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুসারে মৃত ব্যক্তির জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন আবেদনসমূহ নথি উপস্থাপনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নিষ্পত্তি করা হতো।
আরো পড়ুন:
কুয়েতে এনআইডি সেবা চালু, উচ্ছ্বসিত প্রবাসীরা
কুয়েতে বাংলাদেশিরা পেতে যাচ্ছেন এনআইডি
এ বিষয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের আবেদন দাখিল ও আবেদন নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও তার দায়িত্ব নির্ধারণ সংক্রান্ত স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউরে (এসওপি) অনুসরণীয় নির্দেশাবলী ক্রমিক ৮ এ বর্ণিত রয়েছে।
বর্তমান নির্বাচন কমিশন কর্তৃক মৃত ব্যক্তির জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের ক্ষমতা মহাপরিচালক, এনআইডি উইংকে ক্ষমতা দিয়েছে।
নির্দেশানুসারে মৃত ব্যক্তির জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন আবেদন এনআইডি মহাপরিচালক পর্যায়ে নিষ্পত্তি করবেন। এক্ষেত্রে এসওপি পরবর্তীতে সংশোধন করা হবে।
অফিস আদেশটি সব আঞ্চলিক, জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের পাঠানো হয়েছে।
ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আগে কোনো মৃত ব্যক্তির আবেদন উপজেলায় দাখিল হলে তা জেলা ও পরবর্তীতে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা হয়ে কমিশনের কাছে আসতো। এখন থেকে এনআইডি মহাপরিচালকের কাছে আসবে। এতে আবেদন নিষ্পত্তির সময় কমে আসবে।এনআইডি মহাপরিচালক নিজেই শুনানি করে যথাযথ সিদ্ধান্ত দেবেন।
ঢাকা/হাসান/সাইফ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কর মকর ত ক ষমত
এছাড়াও পড়ুন:
বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞানে গবেষণা পুরস্কার এবং লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ডের আবেদন করুন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ ‘রাজ্জাক শামসুন নাহার গবেষণা পুরস্কার’ ও ‘রাজ্জাক শামসুন নাহার লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড ইন ফিজিক্স’ প্রদানের জন্য দেশের পদার্থবিজ্ঞানী ও গবেষকদের কাছ থেকে আবেদনপত্র আহ্বান করা হয়েছে।
কোন সালের জন্য পুরস্কার —ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে প্রতিষ্ঠিত ট্রাস্ট ফান্ড থেকে ২০১৭, ২০১৮, ২০১৯, ২০২০ ও ২০২১ সালের গবেষণা কাজের জন্য এই অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হবে।
পুরস্কার মল্যমান কত —১. পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে মৌলিক গবেষণার জন্য পুরস্কার পাওয়া গবেষককে রাজ্জাক শামসুন নাহার গবেষণা পুরস্কার হিসেবে নগদ ২০ হাজার টাকা প্রদান করা হবে।
২. পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে আজীবন অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে একজন বিজ্ঞানী বা গবেষককে নগদ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের রাজ্জাক শামসুন নাহার লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হবে।
আবেদনের শেষ তারিখ —আগ্রহী প্রার্থীদের আগামী ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫ সালের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) বরাবর আবেদনপত্র জমা দিতে হবে।
আবেদনের সঙ্গে জমা দিতে—আবেদনকারীদের যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তিন কপি আবেদনপত্র, তিন প্রস্থ জীবনবৃত্তান্ত, তিন প্রস্থ গবেষণাকর্ম এবং তিন কপি ছবি আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হবে।
দরকারি তথ্য—১. জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে প্রকাশিত গবেষণাকর্ম পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবে।
২. যৌথ গবেষণা কাজের ক্ষেত্রে গবেষণা পুরস্কারের অর্থ সমান হারে বণ্টন করা হবে। এ ক্ষেত্রে সহযোগী গবেষক বা গবেষকের অনুমতি নিয়ে আবেদন করতে হবে।
৩. আবেদনকারী যে বছরের জন্য আবেদন করবেন পাবলিকেশন ওই বছরের হতে হবে।
৪. একই পাবলিকেশন দিয়ে পরবর্তী বছরের জন্য আবেদন করা যাবে না।
৫. কোন কারণে একজন প্রার্থী পুরস্কারের জন্য আবেদন করলে প্রার্থিতার স্বল্পতা বিবেচনা করে তাঁর আবেদন বিবেচনা করা হবে।
৬. পরীক্ষক তাঁর গবেষণা কাজের পুরস্কারের জন্য সুপারিশ না করলে তাঁকে পুরস্কারের বিষয়ে বিবেচনা করা হবে না।
৭. পদার্থবিজ্ঞানে রাজ্জাক শামসুন নাহার গবেষণা পুরস্কার একবার প্রাপ্ত গবেষকও পরবর্তী সময়ে আবেদন করতে পারবেন।
৮. নতুন গবেষককে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
৯. যদি মানসম্মত গবেষণা কাজ না পাওয়া যায়, সে ক্ষেত্রে পূর্বের পুরস্কার পাওয়া গবেষকের নতুন গবেষণা কাজের পুরস্কারের জন্য পরীক্ষকের সুপারিশের ভিত্তিতে বিবেচনা করা হবে।
# আবেদন জমা দেওয়ার ঠিকানা: প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।