রাজধানীর নয়াপল্টনে জামান টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। ভবনটিতে ফায়ার সেফটি থাকলেও তা সঠিকভাবে কাজ করেনি বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।

বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল সোয়া ৮টায় জামান টাওয়ারের আগুন নিয়ন্ত্রণ আসার পর ভবনের সামনে সংবাদ সম্মেলন করেন ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা বিভাগের উপ-পরিচালক মো. ছালেহ উদ্দিন।

তিনি বলেন, ‘‘ভোর ৫টা ৩৫ মিনিটে আগুন লাগার খবর পাই আমরা। ঝুঁকি বিবেচনায় ১৪টি ইউনিট আনা হয়। ৯টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। ৫টি ইউনিটের কাজ করতে হয়নি। দুই ঘণ্টার চেষ্টায় সকাল ৭টা ৩৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।’’

ছালেহ উদ্দিন বলেন, ‘‘জামান টাওয়ারে সেন্ট্রাল এসি ছিল। পুরোটা কম্বাইন্ড গ্লাস দিয়ে ঢাকা। ভেল্টিনেশনে সমস্যা ছিল। ভবনটির ছয়তলায় ঢাকা রেস্টুরেন্ট নামের একটি রেস্টুরেন্ট থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। ছয়তলা থেকে ইলেকট্রনিক ডার্ক প্যান দিয়ে আগুন উপরে যায় এবং ছড়িয়ে পড়ে।’’

তিনি বলেন, ‘‘আগুনের মাত্রা উপরে ছিল কম, তবে ধোঁয়া ছিল প্রচুর। ভেল্টিনেশনের সমস্যার কারণে ৭, ৮, ৯ ও ১০ তলায় আগুন ও ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়েছিল। বৈদ্যুতিক ডার্ক লাইন ও সিঁড়িতেও ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ে। ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা প্রথমে বাইরে থেকে টিটিএল দিয়ে পানি দেন। এরপর ভবনের ভেতরে ঢুকে পানি দিয়ে অগ্নিনির্বাপণ করেন।’’

বারবার কেন জামান টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ড? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ছালেহ উদ্দিন বলেন, ‘‘বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।’’

আজকের ঘটনায় এখনো কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘‘১০ তলা থেকে দুজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।’’

ঢাকা/রায়হান/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক জ কর

এছাড়াও পড়ুন:

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর নাম মো. আরিফুল। শুক্রবার বেলা এগারোটার দিকে তিনি ভবন থেকে পড়ে যান বলে জানা গেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রের কর্তব্যরত চিকিৎসক নিংতম বলেন, বেলা এগারোটার দিকে কয়েকজন ওই শ্রমিককে নিয়ে আসেন। অবস্থা গুরুতর দেখে তখনই তাঁকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

নির্মাণাধীন ভবনটির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা মোমিনুল করিম শুক্রবার রাতে প্রথম আলোকে বলেন, ভবনটির নির্মাণকাজ বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। তবে কিছু শ্রমিক ওই ভবনে থাকেন। দুপুরের দিকে তিনি জানতে পারেন একজন শ্রমিক ভবন থেকে পড়ে গেছেন। তাঁকে এনাম মেডিকেলে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিলো। সন্ধ্যাবেলায় তাঁকে জানানো হয় ওই শ্রমিক মারা গেছেন।

তবে এনাম মেডিকেলের ডিউটি ম্যানেজার সুলতান প্রথম আলোকে বলেন, জাহাঙ্গীরনগর থেকে একজন রোগীকে আনা হয়েছিল। উনি ছাদ থেকে পড়ে গেছেন বলে জানানো হয়। মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই তিনি মারা যান।

শুক্রবার রাত পৌনে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক একেএম রাশিদুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি আধা ঘণ্টা আগে খবর পেয়েছি। সঙ্গে সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। এমন একটি ঘটনা আমাদের আগে জানানো হয়নি কেন, তা জিজ্ঞাসা করেছি। বিষয়টি প্রো-ভিসি (এডমিন) দেখছেন।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু
  • দশমিনায় ভবন নির্মাণের ছয় মাসের মধ্যে খসে পড়ছে পলেস্তারা