ফরিদপুরের সদরপুরে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা উল্টে মো. মাহফুজ মাতুব্বর নামে (১৭) এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার গোয়ালন্দ-তারাইল সড়কের সদরপুর মহিলা কলেজের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, নিহত মাহফুজ ভাঙ্গা উপজেলার নাসিরাবাদ ইউনিয়নের কোষা ভাঙ্গা গ্রামের ফরহাদ মাতুব্বরের ছেলে। সে সদরপুর সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিল। 

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গোয়ালন্দ-তারাইল সড়কের সদরপুর মহিলা কলেজের সামনে একটি অটোরিকশা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশের একটি খালে পড়ে যায়। ওই সময় এলাকাবাসী আহতের উদ্ধার করে সদরপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে হাসপাতালের চিকিৎসক সামিনা তাসমিন জেরিন মাহফুজকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে আহত অন্যান্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। এদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় একজনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

আহতরা হলেন, ফারুক হোসেন (২৫), ইব্রাহিম (৪২), সাদিয়া জাহান (১৯), শাহজাহান (৪৮), আল আমিন(২১)। 

নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, সকালে মাহফুজ ও তার সহপাঠীরা সদরপুরে প্রাইভেট পড়ার জন্য জন্য যাচ্ছিল। মাহফুজের অকাল মৃত্যুতে তার পরিবার ও সহপাঠীরা গভীরভাবে শোকাহত। একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে পরিবার ও স্বজনদের আহাজারিতে এলাকা ভারি হয়ে উঠেছে।

এ বিষয়ে সদরপুর থানা অফিসার ইনচার্জ মো.

আ. মোতালেব বলেন, অটোটি থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে নিহতের মরদেহ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সড়ক দ র ঘটন সদরপ র পর ব র

এছাড়াও পড়ুন:

লাকসামে অস্ত্রের মুখে এতিমখানার ৫ গরু লুট, আহত ৮

কুমিল্লার লাকসামে একটি এতিমখানার খামার থেকে গত শুক্রবার পাঁচটি গরু লুট করে নিয়ে গেছে ডাকাত দল। এ সময় তাদের হামলায় মাদরাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ আটজন আহত হন। মাদরাসা কর্তৃপক্ষ থানায় মামলা করেছে।

গত শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) ভোরে উপজেলার আজগরা ইউনিয়নের বড়বাম আল-জামিয়াতুল ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদরাসা ও এর সংলগ্ন এতিমখানার খামারে ঘটনাটি ঘটে। তিন মাস আগেও এই খামারের সাতটি গরু লুট করেছিল ডাকাতরা।

আরো পড়ুন:

খুলনায় বিএনপি নেতার অফিসে বোমা-গুলি, শিক্ষক নিহত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রতিপক্ষের হামলা: গুলিবিদ্ধ যুবকের মৃত্যু

সোমবার (৩ নভেম্বর) সকালে ঘটনাটি জানাজানি হয়।

এলাকাবাসী জানান, মাদরাসার আয় এই খামারের মাধ্যমে হয়। তিন মাসের ব্যবধানে দুই দফা ডাকাতি হওয়ায় শিক্ষক ও ছাত্রদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। খামারের বড় গরুগুলো লুট হয়ে যাওয়ায় এক পাশ ফাঁকা পড়ে আছে। বর্তমানে খামারে ১১টি গরু অবশিষ্ট রয়েছে।

খামারের সামনে পড়ে আছে ডাকাত দলের ব্যবহৃত তুষের বস্তা, যা দিয়ে গরুগুলো পিকআপ ভ্যানে তোলে তারা। গরু উদ্ধার এবং ডাকাত দলের সদস্যদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

মামলার বাদী এবং মাদরাসার শিক্ষক ইমরান হোসাইন জানান, গত শুক্রবার ভোরে একদল ডাকাত দুটি পিকআপ ভ্যান নিয়ে এসে অস্ত্রের মুখে মাদরাসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে। শিক্ষকদের মারধর করে তাদের মোবাইল ফোন নিয়ে যায় ডাকাতরা। তারা খামারে ঢুকে কেয়ারটেকার উৎসব হোসেনকে বেঁধে একে একে পাঁচটি গরু পিকআপ ভ্যানে তুলে নেয়। শিক্ষক ও ছাত্রদের চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে আসলে ডাকাতরা পালিয়ে যায়।

মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা শরীফুল আলম খন্দকার জানান, খামারের আয়ের ওপর ভিত্তি করে মাদরাসার কার্যক্রম চলে। তিন মাস আগেও এই খামারের সাতটি গরু নিয়ে যায় ডাকাতরা।

লাকসাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাজনীন সুলতানা বলেন, “লুট হওয়া গরু উদ্ধার এবং ডাকাতদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে। মাদরাসার শিক্ষক ইমরান হোসাইন বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন।”

ঢাকা/রুবেল/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ