বান্দরবানে পৃথক ট্রাক দুর্ঘটনায় নিহত ২, আহত ৩
Published: 26th, February 2025 GMT
বান্দরবান-কেরানীরহাট সড়কে পৃথক দুটি ট্রাক দুর্ঘটনায় ট্রাকের হেলপার সামশুল ইসলাম (৪৫) ও মোটরসাইকেল চালক মো. হোসেন (৩৫) নামে দুজন নিহত হয়েছেন। পুলিশ কর্মকর্তাসহ আহত হয়েছেন আরো তিনজন।
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে একই সড়কে বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ও মানুর টেক এলাকায় পৃথক দুটি ট্রাক দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ট্রাক হেলপার সামশুল আলম ময়মনসিংহ মুক্তাগাছা এলাকার মো.
স্থানীয়রা জানান, বান্দরবান পুলিশ লাইনের রেশমের জিনিসপত্র (চিনি) বোঝাই করে একটি ট্রাক ঢাকা থেকে বান্দরবান যাচ্ছিল। ট্রাকটি বান্দরবান-কেরানীরহাট সড়কে মানুর টেক এলাকায় পৌঁছলে ব্রেকফেল হয়ে দুর্ঘটনায় কবলে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন ট্রাক হেলপার সামশুল আলম। এ ঘটনায় বান্দরবানের পুলিশ লাইন রেশম স্টোর ইনচার্জ ইকবাল হোসেন চৌধুরী নামের এক কর্মকর্তাসহ দুজন আহত হন। তাৎক্ষণিকভাবে আহতদের উদ্ধার করে বান্দরবান সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে একই সড়কে বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সিমেন্ট বোঝাই একটি ট্রাসের সাথে সামনে থেকে একটি মোটরসাইকেলের ধাক্কা লাগে। এতে গুরুতর আহত হন মোটরসাইকেল চালক মো. হোসেন। দ্রুত তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রামের কেরানীরহাটে একটি প্রাইভেট হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছিল। পথেই তার মৃত্যু হয়।
বান্দরবান সদর হাসপাতালের আবাসিক ডাক্তার দিলিপ চৌধুরী বলেন, “ট্রাক দুর্ঘটনায় একজনকে আহত ও অপর একজনকে নিহত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে। আহত পুলিশ কর্মকর্তাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।”
বান্দরবান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ পারভেজ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “পৃথক দুটি ট্রাক দুর্ঘটনায় দুজন নিহত হয়েছেন। তবে কয়জন আহত হয়েছেন তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।”
ঢাকা/চাইমং/এস
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ট র ক দ র ঘটন য় ব ন দরব ন কর মকর ত এল ক য়
এছাড়াও পড়ুন:
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাসের প্রতিবাদে এবার জামায়াতের বিক্ষোভ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাসের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে জামায়াতে ইসলামী। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিজয়নগর উপজেলা জামায়াতের উদ্যোগে উপজেলার চান্দুরা এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করা হয়।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ২টি আসনসহ দেশের মোট ৩৯টি সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রাথমিক গেজেট প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সীমানা পুনর্বিন্যাসের আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসন সদর ও বিজয়নগর উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত ছিল। নতুন গেজেটে বিজয়নগরের তিনটি ইউনিয়ন—হরষপুর, চান্দুরা ও বুধন্তি ইউনিয়নকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের মধ্যে দেওয়া হয়েছে। ওই ইউনিয়ন তিনটিকে আগের মতো ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের মধ্যে রাখতে গতকাল বৃহস্পতিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনের কাছে লিখিত আবেদন পাঠিয়েছেন বিজয়নগর উপজেলার চার বাসিন্দা।
আজকের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা জামায়াতের সভাপতি লুৎফর রহমান। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক রাষ্ট্রু সরকার, চান্দুরা ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি সোহাগ খন্দকার, চান্দুরা হেফাজতে ইসলামের সহসাংগঠনিক সম্পাদক শিহাব সিদ্দিকী, চান্দুরা ইউনিয়ন যুব খেলাফত মজলিসের সাধারণ সম্পাদক তানভীর আহমদসহ আরও অনেকে। তারা আধা ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, বিজয়নগর উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের মধ্যে ৩টিতে প্রায় ৯৬ হাজার ভোটার আছেন, যা উপজেলার মোট ভোটারের প্রায় অর্ধেক। দুই লক্ষাধিক ভোটারবিশিষ্ট উপজেলা একক সংসদীয় আসনের উপযুক্ত হলেও বছরের পর বছর ধরে এটিকে একবার সদর, একবার সরাইল, আবার কখনো নাসিরনগরের সঙ্গে যুক্ত করে অবহেলার শিকারে পরিণত করা হচ্ছে।
তিনটি ইউনিয়নকে আগের আসনে রাখার দাবিতে উপজেলার গোলাম মোস্তফা, এ কে এম গোলাম মুফতি ওসমানী, মো. জাহিদুজ্জামান চৌধুরী ও মো. বায়েজিদ মিয়া স্বাক্ষরিত একটি লিখিত আবেদন গতকাল দুপুরে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কার্যালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম জানান, ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়েছে। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
আরও পড়ুনব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাসের প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ১৭ ঘণ্টা আগেএর আগে গতকাল বিকেলে উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে কর্মসূচিতে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি স্থানীয় লোকজন অংশগ্রহণে বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরা এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করা হয়। এ সময় তাঁরা আধা ঘণ্টার মতো সড়ক অবরোধ করে বিভিন্ন স্লোগান দেন। একই স্থানে আজ বিকেলে একই দাবিতে মিছিল ও সমাবেশ করার কথা আছে।