ঠাকুরগাঁওয়ে সাংবাদিক পেটানোর দায়ে বিএনপি নেতা বহিষ্কার
Published: 26th, February 2025 GMT
ঠাকুরগাঁওয়ে দৈনিক দেশবাংলার প্রতিনিধি সংবাদকর্মী মামুনের ওপর নৃশংস হামলার অভিযোগে বিএনপি নেতা জুবায়দুলকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমিনের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বহিষ্কার আদেশ প্রদান করা হয়।
এতে বলা হয়, “বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি, ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার সিদ্ধান্ত মোতাবেক, সাংগঠনিক শৃঙ্খলাভঙ্গের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে রুহিয়া থানাধীন আখানগর ইউনিয়ন শাখা বিএনপির সহ-সভাপতি মো.
আদেশে আরো বলা হয়- “এই বহিষ্কার আদেশ অদ্য হতে কার্যকর হবে এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের তার সাথে কোনরূপ সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার নির্দেশ প্রদান করা হলো।”
এর আগে মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় সদর উপজেলার আখানগর ইউনিয়নের কালিবাড়ি বাজারে সাংবাদিক মামুন অর রশিদের উপর জবায়দুল হক চৌধুরীর নেতৃত্বে সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়। বর্তমানে তিনি ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এ ঘটনায় তিনি রুহিয়া থানার একটি মামলায় দায়ের করেন।
রুহিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম নাজমুল কাদের বলেন, “সাংবাদিক মামুনের উপর হামলার ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। আসামিকে গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়া চলমান আছে।”
ঢাকা/হিমেল/এস
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
লাকসামে অস্ত্রের মুখে এতিমখানার ৫ গরু লুট, আহত ৮
কুমিল্লার লাকসামে একটি এতিমখানার খামার থেকে গত শুক্রবার পাঁচটি গরু লুট করে নিয়ে গেছে ডাকাত দল। এ সময় তাদের হামলায় মাদরাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ আটজন আহত হন। মাদরাসা কর্তৃপক্ষ থানায় মামলা করেছে।
গত শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) ভোরে উপজেলার আজগরা ইউনিয়নের বড়বাম আল-জামিয়াতুল ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদরাসা ও এর সংলগ্ন এতিমখানার খামারে ঘটনাটি ঘটে। তিন মাস আগেও এই খামারের সাতটি গরু লুট করেছিল ডাকাতরা।
আরো পড়ুন:
খুলনায় বিএনপি নেতার অফিসে বোমা-গুলি, শিক্ষক নিহত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রতিপক্ষের হামলা: গুলিবিদ্ধ যুবকের মৃত্যু
সোমবার (৩ নভেম্বর) সকালে ঘটনাটি জানাজানি হয়।
এলাকাবাসী জানান, মাদরাসার আয় এই খামারের মাধ্যমে হয়। তিন মাসের ব্যবধানে দুই দফা ডাকাতি হওয়ায় শিক্ষক ও ছাত্রদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। খামারের বড় গরুগুলো লুট হয়ে যাওয়ায় এক পাশ ফাঁকা পড়ে আছে। বর্তমানে খামারে ১১টি গরু অবশিষ্ট রয়েছে।
খামারের সামনে পড়ে আছে ডাকাত দলের ব্যবহৃত তুষের বস্তা, যা দিয়ে গরুগুলো পিকআপ ভ্যানে তোলে তারা। গরু উদ্ধার এবং ডাকাত দলের সদস্যদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
মামলার বাদী এবং মাদরাসার শিক্ষক ইমরান হোসাইন জানান, গত শুক্রবার ভোরে একদল ডাকাত দুটি পিকআপ ভ্যান নিয়ে এসে অস্ত্রের মুখে মাদরাসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে। শিক্ষকদের মারধর করে তাদের মোবাইল ফোন নিয়ে যায় ডাকাতরা। তারা খামারে ঢুকে কেয়ারটেকার উৎসব হোসেনকে বেঁধে একে একে পাঁচটি গরু পিকআপ ভ্যানে তুলে নেয়। শিক্ষক ও ছাত্রদের চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে আসলে ডাকাতরা পালিয়ে যায়।
মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা শরীফুল আলম খন্দকার জানান, খামারের আয়ের ওপর ভিত্তি করে মাদরাসার কার্যক্রম চলে। তিন মাস আগেও এই খামারের সাতটি গরু নিয়ে যায় ডাকাতরা।
লাকসাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাজনীন সুলতানা বলেন, “লুট হওয়া গরু উদ্ধার এবং ডাকাতদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে। মাদরাসার শিক্ষক ইমরান হোসাইন বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন।”
ঢাকা/রুবেল/মাসুদ