ঠাকুরগাঁওয়ে দৈনিক দেশবাংলার প্রতিনিধি সংবাদকর্মী মামুনের ওপর নৃশংস হামলার অভিযোগে বিএনপি নেতা জুবায়দুলকে বহিষ্কার করা হয়েছে। 

বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমিনের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বহিষ্কার আদেশ প্রদান করা হয়। 

এতে বলা হয়, “বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি, ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার সিদ্ধান্ত মোতাবেক, সাংগঠনিক শৃঙ্খলাভঙ্গের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে রুহিয়া থানাধীন আখানগর ইউনিয়ন শাখা বিএনপির সহ-সভাপতি মো.

জবায়দুল হক চৌধুরীকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির দলীয় সাংগঠনিক সকল পদসহ প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে বহিষ্কার করা হলো।”

আদেশে আরো বলা হয়- “এই বহিষ্কার আদেশ অদ্য হতে কার্যকর হবে এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের তার সাথে কোনরূপ সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার নির্দেশ প্রদান করা হলো।” 

এর আগে মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় সদর উপজেলার আখানগর ইউনিয়নের কালিবাড়ি বাজারে সাংবাদিক মামুন অর রশিদের উপর জবায়দুল হক চৌধুরীর নেতৃত্বে সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়। বর্তমানে তিনি ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এ ঘটনায় তিনি রুহিয়া থানার একটি মামলায় দায়ের করেন। 

রুহিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম নাজমুল কাদের বলেন, “সাংবাদিক মামুনের উপর হামলার ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। আসামিকে গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়া চলমান আছে।”

ঢাকা/হিমেল/এস 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

সাবেক বিএনপি নেতা ও লঞ্চ যাত্রীদের পাল্টাপাল্টি হামলা, আহত ১০

বরিশালের হিজলায় লঞ্চের ডেকে যাত্রীদের চাদর বিছানো নিয়ে বিরোধের জেরে সাবেক বিএনপি নেতা ও লঞ্চ যাত্রীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে ১০ যাত্রী আহত হয়েছেন। সোমবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার শৌলা লঞ্চঘাটে এই ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত বিএনপি নেতার নাম খালেক মাঝি। তিনি হরিণাথপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক।

যাত্রী ও লঞ্চ কর্মচারীরা জানান, সোমবার সকাল ৮টায় মুলাদীর মৃধারহাট থেকে এমভি জানডা নামক একটি লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। লঞ্চটি ৯টায় হিজলার শৌলা লঞ্চঘাটে ভেড়ে। এ স্টেশন থেকে ওঠা যাত্রীরা লঞ্চের ডেকে বসার চেষ্টা করেন। এ সময় ডেকে আগে বিছিয়ে রাখা চাদরে জায়গা পেতে যাত্রীপ্রতি এক হাজার টাকা দাবি করেন খালেক ও তাঁর সহযোগীরা। এ নিয়ে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে যাত্রীদের ওপর হামলা করা হয়। এতে ১০ জন যাত্রী আহত হন। তখন যাত্রীরা সংঘবদ্ধ হয়ে খালেক ও তাঁর সহযোগীদের ওপর পাল্টা হামলা করেন।

অভিযোগ অস্বীকার করে খালেক মাঝি বলেন, লঞ্চের মধ্যে গোলযোগ দেখে তিনি তা থামাতে গিয়েছিলেন। এ সময় লঞ্চের যাত্রীরা তাঁর ওপর হামলা করেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক লঞ্চ কর্মচারী জানিয়েছেন, শৌলা লঞ্চঘাট খালেক মাঝিকে চাঁদা না দিলে সাধারণ যাত্রীরা ডেকে বসতে পারেন না। তারা খালেক মাঝির কাছে অনেকটা জিম্মি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ