রুয়েট প্রতিনিধি: রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) চার শিক্ষার্থীকে আজীবন বহিষ্কারসহ মোট ৪৮ জনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

জুলাই অভ্যুত্থানে আন্দোলনকারীদের উপর হামলা ও পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন করায় তাদের বিরুদ্ধে এসব শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রুয়েট উপাচার্য অধ্যাপক ড.

এস এম আব্দুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে আয়োজিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বহিষ্কৃতদের মধ্যে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের রুয়েট শাখার সভাপতি ফাহমিদ লতিফ লিয়ন ও সাধারণ সম্পাদক সৌমিক সাহাসহ বিভিন্ন নেতাকর্মীরা রয়েছেন।

আজীবন বহিষ্কৃতরা হলেন, নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের রুয়েটের সভাপতি ও পুরকৌশল বিভাগের ২০১৪-১৫ সেশনের শিক্ষার্থী ফাহমিদ লতিফ লিয়ন, সাধারণ সম্পাদক ও কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী সৌমিক সাহা, যন্ত্রকৌশল বিভাগের ২০১৯-২০২০ সেশনের শিক্ষার্থী শাশ্বত সাহা সাগর, পুরকৌশল বিভাগের ২০১৯-২০২০ সেশনের শিক্ষার্থী মৃন্ময় কান্তি বিশ্বাস।

এছাড়াও রুয়েটের প্রকৌশল শাখার সহকারী প্রকৌশলী নাঈম রহমান নিবিড়, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ডাটা প্রসেসর মো. মহিদুল ইসলাম, শিক্ষা শাখার সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রোগ্রামার একেএম আনোয়ারুল ইসলামের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রুয়েটের সংশ্লিষ্ট ফোরামে অনুরোধ করা হয়েছে।

গত বছল ১৯ আগস্ট অভিযানের প্রেক্ষিতে হলের বিভিন্ন কক্ষে অস্ত্র ও মাদকসহ নিষিদ্ধ দ্রব্যাদি রাখার দায়ে আপাতত আবাসিক হল থেকে বহিষ্কার ও তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

অপরদিকে পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন করায় দুই শিক্ষার্থীকে চার সেমিস্টার বা দুই বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।

বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রুয়েটের ছাত্রকল্যাণ দপ্তরের পরিচালক ও ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. মো. রবিউল ইসলাম সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, “শিক্ষার্থীদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে রুয়েট প্রশাসন তদন্ত কমিটি গঠন করে। এসব অভিযোগ যাচাই করে দেখা যায়, অভিযুক্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা সংক্রান্ত যে অর্ডিন্যান্স রয়েছে, তার ধারা লঙ্ঘন করেছেন। এজন্য চার শিক্ষার্থীকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। আরও দুইজনকে চার সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।”

তিনি আরো বলেন, “এর বাইরে গত বছর ১৯ আগস্ট অভিযানের প্রেক্ষিতে প্রাপ্ত রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে ৪২ জনকে আবাসিক হল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।”

ঢাকা/মাহাফুজ/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব যবস থ র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

৪ কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদনে অনিয়ম: ৭ অডিটর নিষিদ্ধ

‎পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত চারটি কোম্পানির সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদনে গুরুতর আর্থিক অনিয়ম ও আইনের লঙ্ঘন থাকা সত্ত্বেও তা নিরীক্ষা প্রতিবেদনে উত্থাপন না করায় সাত নিরীক্ষক (অডিটর) প্রতিষ্ঠানকে পাঁচ বছরের জন্য অডিট এবং অ্যাসিউর‍্যান্স কার্যক্রমে অংশগ্রহণের উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

সেইসঙ্গে ওই নিরীক্ষা ফার্ম এবং নিরীক্ষকদের কেন অযোগ্য ঘোষণা করা হবে না, সেই মর্মে ব্যাখ্যা তলব করে তাদের শুনানিতে ডাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।

আরো পড়ুন:

সোনালী পেপারের শেয়ার কারসাজি: ১১ কোটি ৮২ লাখ টাকা জরিমানা

পুঁজিবাজার উন্নয়নে ডিএসই ও ডিসিসিআইয়ের যৌথ সভা

‎গত মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে ৯৭৩তম কমিশন সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ‎বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র আবুল কালাম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

‎সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০১৯ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক এ হক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস; রিংসাইন টেক্সটাইল লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০১৭, ২০১৮, ২০১৯ এবং ২০২০ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক যথাক্রমে: আহমেদ অ্যান্ড আক্তার, মাহফেল হক অ্যান্ড কোং, আতা খান অ্যান্ড কোং এবং সিরাজ খান বসাক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস; আমান কটন ফাইব্রাস লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০২০ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক ইসলাম কাজী শফিক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস এবং ফারইষ্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০১৮ ও ২০১৯ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক মাহফেল হক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস আর্থিক প্রতিবেদনে গুরুতর আর্থিক অনিয়ম ও সিকিউরিটিজ আইনের লঙ্ঘন থাকা সত্ত্বেও নিরীক্ষা প্রতিবেদনে উত্থাপন করেনি। 

এ সকল নিরীক্ষা ফার্ম এবং নিরীক্ষককে পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত সকল কোম্পানি, সকল ধরনের বিনিয়োগ স্কিম (যথা- মিউচ্যুয়াল ফান্ড, অল্টারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড ও এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড) এবং পুঁজিবাজারে মধ্যস্থতাকারী সকল প্রতিষ্ঠানের অডিট ও অ্যাসিউর‍্যান্স কার্যক্রম পরিচালনার উপর নিষেধাজ্ঞা তথা পাঁচ বছরের জন্য অডিট ও অ্যাসিউর‍্যান্স কার্যক্রমে অংশগ্রহণে কেন অযোগ্য ঘোষণা করা হবে না এই মর্মে ব্যাখ্যা তলব করে শুনানি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

‎ঢাকা/এনটি/বকুল 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ৪ কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদনে অনিয়ম: ৭ অডিটর নিষিদ্ধ
  • তিন দাবিতে ২৪ ঘণ্টা ধরে ৫ শিক্ষার্থীর অনশন, দুজন অসুস্থ
  • গোলাম রাব্বানীর ডাকসুর জিএস নির্বাচিত হওয়া অবৈধ ঘোষণার সুপারিশ
  • সম্পূরক বৃত্তি ও জকসু নির্বাচনের রূপরেখাসহ তিন দাবিতে অনশনে ৫ শিক্ষার্থী