আমি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত নই: আসিফ মাহমুদ
Published: 28th, February 2025 GMT
আত্মপ্রকাশ হতে যাওয়া নতুন রাজনৈতিক দল ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি’ প্রসঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, “আমি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত নই। এখন আমি সরকারের দায়িত্বে আছি। আমরা দেশকে গণতন্ত্রিক ধারায় রূপান্তরের যে দায়িত্ব নিয়েছি, সেই দায়িত্বটি যথাযথভাবে পালন করতে চাই।”
তিনি বলেন, “আমরা কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে পারব না।আমার প্রত্যাশা থাকবে শুধু নতুন দল নয়, বাংলাদেশের যে কয়টি রাজনৈতিক দল আছে সবাই জনকল্যাণমুখী হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর কার্যক্রম ইতিবাচক হতে হবে।”
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার আকাবপুর হাজী ইয়াকুব আলী ভূঁইয়া পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে স্থানীয় সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এতথ্য জানান।
আরো পড়ুন:
বাহিনীর কারো গাফিলতি পেলে ছাড় নয়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
জাতিসংঘ মহাসচিব বাংলাদেশে আসছেন মার্চের মাঝামাঝি
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, “জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের বিষয়টি নিয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। স্থানীয় সরকার নির্বাচনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত দ্রুতই জানানো হবে। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে। সিদ্ধান্ত হলে আপনারা জানতে পারবেন।”
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, “ইতোমধ্যেই সরকারের নেওয়া নানা উদ্যোগের কারণে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অনেকটা উন্নতি হয়েছে। আপনারা দেখেছেন ইতোপূর্বে ছিনতাইয়ের সংখ্যাটা বেড়ে গিয়েছিল। তাই নিরাপত্তা বাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছে। আপনারা দেখবেন, ঢাকার প্রতিটি অলিগলিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের তৎপরতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। বাহিনীগুলো এখন একটিভ অবস্থায় আছে। আমরা আশা করছি, খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির আরো উন্নতি হবে।”
আসিফ মাহমুদ বলেন, “কুমিল্লা সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ার কারণে মাদক আমাদের এখানে একটি বড় সমস্যা। আমরা যদি একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ দেখতে চাই, তাহলে অবশ্যই যে তরুণ প্রজন্ম সামনের বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেবে, ভবিষ্যৎ বাংলাদেশকে গড়ে তুলবে- সেই তরুণ প্রজন্মকে সুন্দরভাবে গড়ে উঠতে হবে। তরুণ প্রজন্মের সুন্দরভাবে বেড়ে ওঠার পথে সবচাইতে বড় বাধা হচ্ছে মাদক। তাই মুরাদনগরে মাদক ব্যবসা এবং মাদক চোরাচালান বন্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মাদকের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স নীতি প্রয়োগ করা হবে।”
উপদেষ্টা বলেন, “যুব সমাজের যে শক্তি সেই শক্তিকে ইতিবাচকভাবে ব্যবহার করতে হবে, কাজে লাগাতে হবে। যুবসমাজের জন্য খেলাধুলা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। পাশাপাশি তারা এলাকার মানুষের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করবে এটাই আমার প্রত্যাশা।”
সভায় উপস্থিত ছিলেন- কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো.
এর আগে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানা সদর ও আকুবপুর ইউনিয়নের আমতলী এলাকায় দুটি সড়ক নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন। রাতে তিনি উপজেলার সোনাকান্দা দারুল হুদা দরবার শরীফের বার্ষিক ইছালে সাওয়াব মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/রুবেল/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপদ ষ ট ম র দনগর উপদ ষ ট উপজ ল সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
পূজাকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলায় বাহিনী তৎপর : ডিসি
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, আইনসৃঙ্খলা স্বাভাবিক রয়েছে, বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজাকে ঘিরে সকল ধর্মমত, সকল সম্প্রদায় তারা একত্রিত হয়েছে।
সকলেই সার্বিক সহয়তা করছে যাতে করে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূজা উৎসব সুন্দর ভাবে পজলন করতে পারে। পূজাকে ঘিরে একটি গোষ্ঠি চাইবে পূজা উৎসব নষ্ট করে দেয়ার জন্য।
সে জন্য আমাদের তৎপরতা রয়েছে। আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। তার পাশাপাশি র্যাব, বিজিবি, সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশবাহিহনী সবাই কাজ করছে যাতে করে সুন্দর ভাবে পূজা উৎসব শেষ করতে পারি।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে ৫নং ঘাটে দূর্গা পূজার প্রতিমা বিসর্জনের স্থান পরিদর্শনকালে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
দূর্গা পূজা বিজয়া দশমী শেষে প্রতিমা বিসর্জনের সময় যেকোনো অপ্রীতিকর দূর্ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সুন্দর ভাবে প্রতিমা বিসর্জনের স্থান নিরাপদ রাখতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন জেলা প্রশাসক।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, নারায়ণগঞ্জের ২২৩টি পূজা মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে পূজা উদযাপনে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। শান্তি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে এবং সম্প্রীতি বজায় রেখে বর্তমানে পূজা উদযাপনের প্রস্তুতি চলছে।
এসময় তিনি প্রতিটি মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে ও নির্বিঘ্নে পূজা অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাযথ সহযোগিতার নির্দেশনা দেন।
তিনি বলেন, সকলে মিলে সব উৎসব উদযাপন করাই বাংলার ঐতিহ্য ও গৌরব।
এসময় জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিআইডব্লিউটিএ, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।