Risingbd:
2025-11-03@02:15:14 GMT

নোয়াখালীর ৪ গ্রামে রোজা শুরু

Published: 1st, March 2025 GMT

নোয়াখালীর ৪ গ্রামে রোজা শুরু

সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে প্রথম তারাবির নামাজ আদায় ও সাহরি খেয়ে পবিত্র রমজানের আনুষ্ঠানিকতা শুরু করেছেন নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ ও সদর উপজেলার চার গ্রামের বাসিন্দারা। এই গ্রামগুলোতে প্রায় শত বছর ধরে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা-ঈদ পালন হচ্ছে। 

শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে তারাবি ও সাহরি খান গ্রামগুলোর বাসিন্দারা। আজ শনিবার (১ মার্চ) থেকে প্রথম রোজা রেখেছেন তারা।

গ্রামগুলো হলো- নোয়াখালী সদর উপজেলার লক্ষ্মীনারায়ণপুর ও হরিণারায়নপুর, বেগমগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের বসন্তবাগ ও ফাজিলপুর গ্রাম।

আরো পড়ুন:

চাঁদপুরের অর্ধশত গ্রামে রোজা শুরু

ছোলার দাম কমেছে কেজিতে ২৫ টাকা

জানা গেছে, বড় পীর আবু মুহম্মদ মহিউদ্দীন সৈয়দ আবদুল কাদির জিলানী (রহ.

) এর মতাদর্শে তৈরি হয় কাদেরিয়া তরিকা। কাদেরিয়া তরিকার অনুসারী লক্ষ্মীনারায়ণপুর, হরিণারায়নপুর, বসন্তবাগ ও ফাজিলপুর গ্রামের বাসিন্দারা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে প্রতি বছর একদিন আগেই রোজা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা পালন করে থাকেন। 

কাদেরিয়া তরিকার অনুসারী নোয়াখালী পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. আবদুল আজিম বলেন, ‍“আমার বাড়িতে দরবার শরীফ। প্রতি বছর আমরা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা রাখা শুরু করি। ঈদ একদিন আগেই পালন করি  হোক সেটা ঈদুল ফিতর কিংবা ঈদুল আজহা। আমরা সবাই আনন্দ করি এবং একে অন্যের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করি।”

হাসেম নামে অপর একজন বলেন, “ছোটবেলা থেকে এখন পর্যন্ত প্রথম চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে রোজ রাখি। আমরা বিশ্বের যেকোনো জায়গায় চাঁদ দেখার ভিত্তিতে ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করি। আমরা পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখার খবর পেয়েছি। আমরা নিজেরাও খোঁজখবর নিয়ে নিশ্চিত হয়েছি। তারাবির নামাজ আদায় করেছি। ভোররাতে সাহরি খেয়ে রোজা শুরু করেছি।”

রশিদিয়া রহিমিয়া দরবার শরিফে ঈদুল ফিতরের জামায়াতের ইমামতি করেন রহিমিয়া রশিদিয়া আল কাদেরিয়া দরবার শরীফ চট্টগ্রামের খাদেম আব্দুল কাদের। তিনি বলেন, “পূর্বপুরুষদের থেকে আমরা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা, ঈদ উদযাপন করি। রশিদিয়া রহিমিয়া দরবার শরিফে এটা উদযাপনের ইতিহাস প্রায় ১০০ বছরের বেশি হবে।” 

ঢাকা/সুজন/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর রমজ ন

এছাড়াও পড়ুন:

খুলনায় বিএনপি নেতার অফিসে বোমা-গুলি, শিক্ষক নিহত

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) আইটি গেট সংলগ্ন বিএনপি নেতার দলীয় কার্যালয়ে গুলি ও বোমা হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় ইমদাদুল নামে এক শিক্ষক নিহত হয়েছেন। যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউপি সদস্য মামুন শেখ (৪৫) ও মিজানুর রহমান নামে দুই ব্যক্তি আহত হয়েছেন।

রবিবার (২ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে ঘটনাটি ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করে আড়ংঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ খায়রুল বাশার।

আরো পড়ুন:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রতিপক্ষের হামলা: গুলিবিদ্ধ যুবকের মৃত্যু

নবীনগরে গুলিবিদ্ধ ৩

তিনি বলেন, ‍“ঘটনাস্থল থেকে একটি ব্যাগ উদ্ধার করা হয়েছে। তার ভেতর ভুসি রাখা ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, এর ভেতরেই বোমা নিয়ে আসা হয়েছিল।” পেশাদার কিলারের সম্পৃক্তা থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন ওসি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত ৯টার দিকে বিএনপি নেতা মামুন শেখ স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে অফিসে বসেছিলেন। এ সময় সন্ত্রাসীরা অফিস লক্ষ্য করে পরপর দুইটি বোমা ও চার রাউন্ড গুলি ছুড়ে নির্বিঘ্নে পালিয়ে যায়। পরে নেতাকর্মী ও স্বজনরা গুরুতর আহত মামুনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এলাকাজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

খানজাহান আলী থানা বিএনপির সভাপতি কাজী মিজানুর রহমান বলেন, “যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন শেখকে সন্ত্রাসীরা গুলি করেছে। তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।”

যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মীর শওকত হোসেন হিট্টু বলেন, “ঘটনার সময় আমি ফুলবাড়িগেটে ছিলাম। শুনেছি, আমাদের সাংগঠনিক সম্পাদক মামুনকে সন্ত্রাসীরা গুলি করেছে। তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।”

ঢাকা/নূরুজ্জামান/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ