সাইবার ক্রাইমের শিকার শ্রেয়া ঘোষাল, সতর্ক করলেন সবাইকে
Published: 1st, March 2025 GMT
সাইবার ক্রাইমের শিকার হয়েছেন ভারতের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী শ্রেয়া ঘোষাল। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে তাঁর এক্স অ্যাকাউন্টটি হ্যাকারদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ফলে তিনি না পারছেন অ্যাকাউন্টটি ডিলিট করতে, না পারছেন লগইন করতে। বহু চেষ্টার পর সেটি পুনরুদ্ধার করতে না পেরে সবাইকে সতর্ক করেছেন শ্রেয়া ঘোষাল।
শনিবার ইনস্টাগ্রামে বিষয়টি বিস্তারিত জানিয়েছেন শ্রেয়া। তিনি লিখেছেন, ‘আমার বন্ধু এবং অনুরাগীদের উদ্দেশে জানাই, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে আমার এক্স অ্যাকাউন্টটি হ্যাক হয়ে পড়ে রয়েছে। এক্স-এর টিমের সঙ্গে যোগাযোগ করার সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি। কিন্তু উল্টো দিক থেকে কিছু অটো জেনারেটেড উত্তর ছাড়া এখনও পর্যন্ত কিছু পাইনি।’
শ্রেয়ার অনুরোধ, ‘আপনাদের সকলকে সাবধান করছি, আমার অ্যাকাউন্ট থেকে কোনও লিঙ্ক বা মেসেজ গেলে দয়া করে কেউ ক্লিক করবেন না। না হলে বড় কোনও বিপদ হয়ে যেতে পারে। এই অ্যাকাউন্ট যদি আমি আমার ফিরিয়ে আনতে পারি তাহলে নিজেই জানাবো। ধন্যবাদ।’
খবরটি সামনে আসার পর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ভক্তরা। অনেকে বলেছেন, শ্রেয়ার মতো একজন তারকার সঙ্গে যদি এমন ঘটনা ঘটতে পারে তাহলে আমজনতা যেকোনও দিন এর চেয়েও বিপদে পড়তে পারে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ক্যানসারে আক্রান্ত ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট বলসোনারো
ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারোর শরীরে ত্বকের ক্যানসার শনাক্ত হয়েছে। বমি ও নিম্ন রক্তচাপের কারণে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর পরীক্ষা-নিরীক্ষায় তার শরীরে ক্যানসারের প্রাথমিক ধাপ ধরা পড়ে। বর্তমানে তিনি গৃহবন্দি অবস্থায় চিকিৎসা নিচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আনাদোলু এজেন্সি।
আরো পড়ুন:
৬ বছর পর ব্রাজিলকে হারিয়ে বিশ্বকাপ প্লে-অফে বলিভিয়া
মারাকানায় ব্রাজিলের বড় জয়
প্রতিবেদনে বলা হয়, এক সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয়বার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার একদিন পর তার ত্বকের ক্যানসারের প্রাথমিক ধাপ ধরা পড়ে।
বুধবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে, তার ত্বকের পরীক্ষা করে ‘স্কোয়ামাস সেল কার্সিনোমা’ শনাক্ত হয়েছে।এটি ত্বকের মাঝারি মাত্রার ক্যানসার, যা সবচেয়ে হালকা ও সবচেয়ে আক্রমণাত্মক ধাপের মাঝামাঝি পর্যায়ে রয়েছে।
চিকিৎসকরা বলেছেন যে, নিয়মিত পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে তার অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা হবে। ৭০ বছর বয়সী বলসোনারো গত মঙ্গলবার বমি এবং নিম্ন রক্তচাপের কারণে ব্রাসিলিয়ার একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তবে ক্যানসারের বিষয়টি গত রবিবারের পরীক্ষায় ধরা পড়ে, যখন তার বুক ও হাতে থাকা ক্ষতস্থানের টিস্যু অপসারণ করা হয়েছিল।
তার অনকোলজিস্ট ক্লাউদিও বিয়ারোলিনি জানিয়েছেন, বলসোনারোর ক্যানসার ‘ইন সিটু’ ধাপে রয়েছে, অর্থাৎ অস্বাভাবিক কোষগুলো এখনো ছড়িয়ে পড়েনি। অস্ত্রোপচারই এর চিকিৎসার জন্য যথেষ্ট হবে। বর্তমানে বলসোনারোর শরীরে সেলাই ও ব্যান্ডেজ রয়েছে, যা দুই সপ্তাহের মধ্যে খোলা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বুধবার তিনি হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাসায় ফিরেছেন, যেখানে তিনি গৃহবন্দি অবস্থায় রয়েছেন।
বলসোনারো ২০২২ থেকে ২০২৩ সালে ক্ষমতা দখলের ষড়যন্ত্রে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার আগেই গৃহবন্দি ছিলেন। সম্প্রতি তাকে ২৭ বছর তিন মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
বিচারপতি আলেকজান্দ্রে দে মোরেসের নির্দেশ অনুযায়ী, গৃহবন্দিত্বে থাকলেও চিকিৎসা জরুরি হলে তিনি বাসার বাইরে যেতে পারেন। তবে প্রতিবারই তার আইনজীবীদের আদালতে চিকিৎসা সংক্রান্ত প্রতিবেদন জমা দিতে হয়।
বলসোনারোর সমর্থকরা তার স্বাস্থ্য পরিস্থিতিকে যুক্তি হিসেবে তুলে ধরছেন, যাতে তিনি কারাগারে না গিয়ে বাড়িতেই সাজা ভোগ করতে পারেন। তাদের দাবি, কারাগারে নিলে তার শারীরিক জটিলতা বা দুর্ব্যবহারের ঝুঁকি বাড়বে।
তার জ্যেষ্ঠ পুত্র সিনেটর ফ্লাভিও বলসোনারো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ লিখেছেন, “আমার বাবা আগেও কঠিন লড়াই লড়ে জয়ী হয়েছেন। এবারও ভিন্ন কিছু হবে না।”
ঢাকা/ফিরোজ