শুরু হয়েছে রমজান মাস। সারাদিন রোজা রাখার পর ইফতারের মাধ্যমে রোজাদাররা রোজা ভাঙেন। তবে সারাদিনের কাজকর্ম তারা স্বাভাবিক নিয়মেই করতে থাকেন। এই সময় অনেকে শরীরচর্চাও করেন। তাই এসময় শরীর সুস্থ রাখা খুব গুরুত্বপূর্ণ। রোজা রেখে নিজেকে সুস্থ রাখতে মেনে চলুন কিছু টিপস। যেমন-

স্বাস্থ্যকর খাবার খাবেন : রমজান মাস শুরু হওয়ার পরই খাদ্যাভাস ও দৈনন্দিন জীবনযাত্রার উপর বিশেষ নজর রাখবেন। ক্যাফেইন জাতীয় খাবার যেমন চা-কফি খাওয়া যতটা সম্ভব কমিয়ে দিন। তা না হলে শরীরে পানিশূন্যতা হতে পারে। রোজার দিনে সেহরি ও ইফতার অনুসারে খাওয়া-দাওয়া সময় পরিবর্তন করতে হয়। তাই রোজা ভাঙার পর হালকা ও স্বাস্থ্যকর খাবার খাবেন, এতে শরীর খুব সুস্থ থাকবে। 

শরীর হাইড্রেট রাখবেন: এই সময় শরীরকে হাইড্রেট রাখতে হয়। রোজা রাখার সময় সঠিক হাইড্রেট রাখা খুবই জরুরি। সেহরি ও ইফতারের সময় ৮ থেকে ১০ গ্লাস পানি খাবেন। তাছাড়াও ডাবের পানি , ঠান্ডা পানি, ফলের রস খাবেন। চিনিযুক্ত কোনও পানীয় এই সময় খাবেন না। এসময় প্রচুর পরিমাণে পানি খাবেন। খাবারের তালিকায় শশা,  তরমুজ, কমলালেবু রাখুন। এসব ফল আপনার শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে। 

প্রোটিন ও ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খান: রমজান মাসে স্বাস্থ্যকর খাবার খাবেন। এতে শরীরের শক্তি পাবেন। ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকবে। সেহরিতে প্রোটিন ও ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার রাখুন। পনির, ডাল, বাদাম খেতে পারেন। এতে আপনার হজম ভালো হবে। ভাজা খাবারের চেয়ে ভাপানো খাবার খাওয়া বেশি ভালো হবে, তবে মিষ্টি যুক্ত খাবার কম খাবেন। অতিরিক্ত লবণ যুক্ত খাবার এই সময় না খাওয়াই ভালো। এতে শরীরের ওপর খারাপ প্রভাব পড়ে। 

মেনে চলুন কিছু ঘরোয়া টিপস
১.

ইফতারের সময় অতিরিক্ত ভারি খাবার এড়িয়ে চলুন। তা না হলে হজমের সমস্যা হতে পারে। 

২. রোজা ভাঙার সময় খেজুর ও পানি দিয়ে শুরু করুন।  কিছুক্ষণ পর হালকা ও সুষম খাবার খাওয়া ভালো। তাহলে পেটের উপর খুব চাপ পড়বে না। তবে খাদ্য তালিকায় ভাজা ছোলা, ড্রাই ফুটস, দইয়ের মতন স্বাস্থ্যকর খাবার খাবেন। 

৩. রোজা রেখে ভারী ব্যয়াম করবেন না। এই সময় যোগ ব্যায়াম করতে পারেন। শরীরকে সচল রাখতে হাঁটাহাটি করুন । ইফতারের পর হালকা স্ট্রেচিং বা কার্ডিও করতে পারেন। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স ব স থ যকর খ ব র খ ব ন ইফত র র র সময

এছাড়াও পড়ুন:

রাজশাহীতে জুলাই শহীদদের স্মরণে মিনি ম্যারাথন

রাজশাহীতে জুলাই শহীদদের স্মরণে মিনি ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল ছয়টার দিকে নগরের বিনোদপুর এলাকা থেকে এ দৌড় প্রতিযোগিতা শুরু হয়। আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) রাজশাহী মহানগর শাখা এ ম্যারাথনের আয়োজন করে।

ম্যারাথনে অংশ নিতে প্রতিযোগীরা আজ ভোর সাড়ে পাঁচটার পর থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়–সংলগ্ন বিনোদপুর বাজারে জমায়েত হতে থাকেন। সকাল ছয়টার পর শুরু হয় পাঁচ কিলোমিটারের ম্যারাথন প্রতিযোগিতা।

অংশগ্রহণকারীরা বিনোদপুর থেকে শুরু হয়ে নগরের তালাইমারী মোড় হয়ে আবার বিনোদপুর হয়ে চৌদ্দপায় ফায়ার সার্ভিস মোড় হয়ে আবার বিনোদপুরে ফিরে আসেন।পরে সেখানে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। প্রথম পুরস্কার ১০ হাজার টাকা, দ্বিতীয় পুরস্কার ৮ হাজার টাকা, তৃতীয় পুরস্কার হিসেবে ৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অংশগ্রহণকারী তিন নারীসহ আরও ১০ জনকে পুরস্কৃত করা হয়।

ম্যারাথন উপলক্ষে আগে থেকেই মেডিকেল টিমসহ একটি অ্যাম্বুলেন্স ছিল। এ ছাড়া সবার জন্য টি-শার্ট, গ্লুকোজ পানিসহ বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হয়। ম্যারাথনে অংশ নেওয়াদের বেশির ভাগই ছিল তরুণ। তাঁদের মধ্যে বেশি বয়সী নারীরাও অংশ নেন।

প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া ৫৮ বছর বয়সী পিয়ারুল ইসলাম বলেন, এ উদ্যোগ খুবই ভালো হয়েছে। অসুস্থমুক্ত জীবন গড়তে হলে দৌড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। শারীরিক বিভিন্ন অ্যাকটিভিটিসের মধ্যে থাকলে সুস্থ জীবন গড়া যায়। এ বয়সে তাঁর কোনো ওষুধ লাগে না। তাঁরও অনেক সিনিয়র আছেন, কারও বয়স ৭৫, তাঁদেরও ওষুধ লাগে না। তাই এ ধরনের প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে হবে। সবাইকে উদ্ধুব্ধ করতে হবে। যাতে নিজেদের শরীরকে সব সময় উপযুক্ত রাখে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান বলেন, অনেক দিন পর তিনি দৌড়াবেন। সাধারণত দৌড়ানো হয় না। আজকের পর থেকে তিনি প্রতিদিন সকালে উঠে দৌড়াবেন।

স্থানীয় বাসিন্দা নাঈম হাসান বলেন, জুলাই গণ–অভ্যুত্থান শুধু সরকারের পতন নয়। এর মাধ্যমে এ দেশের মানুষ একটি নতুন নিশ্বাস নেওয়ার সুযোগ পেয়েছে। সেই নতুন নিশ্বাস নিয়ে ম্যারাথনে তিনি অংশ নিয়েছেন।

ম্যারাথন প্রতিযোগিতায় ১৩ জনকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে রাজশাহী নগরের বিনোদপুর এলাকায়

সম্পর্কিত নিবন্ধ