Samakal:
2025-05-01@09:57:20 GMT

ঈদ কেনাকাটায় প্রস্তুতি

Published: 4th, March 2025 GMT

ঈদ কেনাকাটায় প্রস্তুতি

শুরু হয়েছে রমজান মাস। রোজার পরেই খুশির ঈদ। এই খুশির একটি অংশ হলো ঈদের কেনাকাটা। ঈদ উপলক্ষে নতুন পোশাক, উপহার, ঘর সাজানোর পণ্য কিংবা অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনার ধুম পড়ে যায় সবার মধ্যেই। এ কেনাকাটাকে সহজ ও সাশ্রয়ী করে তুলতে কিছু বিষয় মাথায় রাখতে পারেন। যেমন–
কেনাকাটার পরিকল্পনা করুন
ঈদের কেনাকাটার আগে পরিকল্পনা করে নেওয়া সবচেয়ে জরুরি। তাই কেনাকাটা শুরু করার আগে কী কী কিনবেন তার একটি তালিকা তৈরি করুন। তাহলে অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনার প্রবণতা কমবে। এর পাশাপাশি কোথা থেকে কেনাকাটা করবেন তা নির্ধারণ করুন আগেই। এতে আপনার সময় বাঁচবে এবং রোজা রেখে এদিক-সেদিক ছোটাছুটি করার ঝামেলাও কমে যাবে। 
বাজেট নির্ধারণ করুন: সামর্থ্য অনুযায়ী আগেই আপনার ঈদ কেনাকাটার বাজেট নির্ধারণ করুন। তালিকা অনুযায়ী কোন জিনিসের জন্য আপনি কত টাকা খরচ করবেন সেটি আগে থেকেই নির্ধারণ করে রাখুন। নয়তো পরে মার্কেটে গিয়ে দেখবেন অনেক অপ্রয়োজনীয় জিনিসও পছন্দ হওয়ায় আপনি কিনে ফেলেছেন, কিন্তু প্রয়োজনীয় জিনিস কেনার জন্য আর পর্যাপ্ত বাজেট নেই। 
অনলাইন ও অফলাইন বাজার যাচাই করুন
ঈদকে সামনে রেখে অনলাইনে এখন বিভিন্ন পণ্যে নানা অফার ও ডিসকাউন্ট চলে। এতে সাশ্রয়ী দামে পণ্য পাওয়া যায়। একই পণ্য বিভিন্ন দোকানে বা ই-কমার্স সাইটে দেখে নেওয়া ভালো। এতে সময় ও অর্থ দুটোই বাঁচবে। তবে অনলাইনে কেনাকাটার ক্ষেত্রে নির্ভরযোগ্য সাইট থেকে রিভিউ দেখে অর্ডার দেওয়া উচিত। 
ফ্যাশন সম্পর্কে জেনে নিন
পোশাক কিংবা আপনার প্রয়োজনীয় যে কোনো জিনিস কেনার আগে জেনে নিন বর্তমান সময়ের কোনটা বেশি চলছে। বর্তমান ফ্যাশন সম্পর্কে জানতে পত্রিকা, ফ্যাশন ম্যাগাজিন কিংবা অনলাইন থেকে আগে খোঁজ নেওয়া ভালো। 
অভিজ্ঞ কাউকে নিয়ে যান
কেনাকাটা করতে গেলে অনেক সময় বেশ কয়েকটা পছন্দের জিনিসের মধ্য থেকে একটা পণ্য বেছে নিতে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগতে হয়। তাই এমন কাউকে কেনাকাটার সময় সঙ্গে রাখুন, যার সঙ্গে পছন্দ মেলে এবং যে আপনাকে দরদাম করার ব্যাপারেও সাহায্য করতে পারবে।
গুণগত মান ও দরদাম যাচাই করুন
ঈদের কেনাকাটায় প্রতারণার শিকার হওয়া স্বাভাবিক ব্যাপার। তাই কেনাকাটার সময় পণ্যের মান যাচাই করা জরুরি। একই পণ্য হলে কয়েক দোকান ঘুরে যাচাই করুন। তারপর দরদাম করুন। v

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: য চ ই কর

এছাড়াও পড়ুন:

নড়াইলে সরকারি গাছ বিক্রির অভিযোগে চেয়ারম্যানসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা

নড়াইল সদর উপজেলার শাহাবাদ ইউনিয়নে সড়কের পাশে সরকারি গাছ চুরি করে বিক্রির অভিযোগে মামলা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে শাহবাদ ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মশিউর রহমান বাদী হয়ে সদর থানায় মামলাটি করেন।

মামলায় ওই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমানসহ ১৩ জন আসামি করা হয়েছে। অন্য আসামিরা হলেন প্রশিকা নড়াইল উন্নয়ন এলাকা ব্যবস্থাপক শাহাব উদ্দিন ও প্রশিকার গঠিত সংগঠন প্রভাতী যুব সংঘের সভাপতি নড়াইল সদর উপজেলার তুজরডাঙ্গা এলাকার মুজিবুর রহমান, সদস্য একই এলাকার জরিনা বেগম, রজব আলী, মো. আজিবর, মো. ইলিয়াছ, ইমান আলী, মো. ওমর, মো. হায়দার, আবু সাঈদ, মো. এনামুল ও মো. শরিফুল।

এ বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার সকালে নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজেদুল ইসলাম বলেন, ‘সরকারি গাছ চুরি করে বিক্রির অভিযোগে একটি মামলা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

মামলার এজহারে বাদী অভিযোগ করেছেন, গত ২৯ এপ্রিল নড়াইল সদর উপজেলার শাহাবাদ বাজার থেকে হাজির বটতলা পর্যন্ত সরকারি রাস্তার জায়গা থেকে গাছ কাটা ও চুরি করে বিক্রির সংবাদ পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে যান। উপস্থিত হয়ে দেখেন, কাটা গাছবোঝাই একটি ট্রাক এবং নছিমন জব্দ করেছেন নড়াইল সদর উপজেলা ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনার দেবাশীষ অধিকারী। তখন ঘটনাস্থলে শ্রমিকদের জিজ্ঞাসাবাদ ও খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, মামলার আসামিরা কোনো ধরনের অনুমতি ছাড়াই খাসজমি থেকে গাছ কেটে বিক্রি করেছেন। এর আগেও একবার তাঁরা ওই জমি থেকে গাছ বিক্রি করেছিলেন। জব্দ করা গাছের লগ, ডালপালা এবং আগে কাটা গাছের অবশিষ্ট ভূমিসংলগ্ন গুঁড়ি পর্যবেক্ষণ করে বোঝা গেছে, ওই স্থান থেকে আনুমানিক পাঁচ লাখ টাকার অধিক গাছ চুরি করে কাটা ও বিক্রি হয়েছে।  

প্রশিকা নড়াইল উন্নয়ন এলাকার ব্যবস্থাপক শাহাব উদ্দিন বলেন, ২০০৯ সালে প্রশিকা, ইউনিয়ন পরিষদ ও প্রভাতী যুব সংঘের যৌথ উদ্যোগে একটি চুক্তির মাধ্যমে সড়কের পাশে গাছগুলো রোপণ করেছিল। সে সময় সড়কটি খাস খতিয়ানভুক্ত ছিল না। বর্তমানে তা সরকারের আওতায় পড়ায় গাছ কাটার অনুমতি চেয়ে ইউএনওর কাছে আবেদন করা হয়েছিল, তবে প্রশাসন কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি।  কিছুদিন আগে ইউপি সদস্য ইব্রাহিম তাঁকে ফোনে জানান, বিদ্যুৎ বিভাগের কাটা ডালপালা বিক্রি করতে চান চেয়ারম্যান। বিদ্যুৎ বিভাগের কাটা ডালপালাগুলো পড়ে থেকে নষ্ট হবে ভেবে তিনি বিক্রিতে সম্মতি দেন। পরে গাছ কীভাবে বা কারা কেটেছে, তা তিনি জানেন না।

মামলা করার আগে অবৈধভাবে গাছ কাটার অভিযোগের ব্যাপার জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান বলেছিলেন, প্রশিকার সঙ্গে চুক্তির একটি পক্ষ ছিল ইউনিয়ন পরিষদ। সেই হিসেবে গাছ কাটার অনুমতি নিতে ইউএনও বরাবর প্রশিকার আবেদন তিনি চেয়ারম্যান হিসেবে সুপারিশ করেছিলেন। তবে গাছ কেটেছে প্রশিকা আর তাদের সংগঠন। এখানে চেয়ারম্যান-মেম্বরের কিছু নেই।

নড়াইল সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) দেবাশীষ অধিকারী বলেন, প্রশিকার চুক্তির সময় সড়কটি ব্যক্তিমালিকানাধীন জমিতে ছিল, পরে ২০১৫ সালে এটি খাস খতিয়ানভুক্ত হয়। খাসজমি থেকে গাছ কাটা বেআইনি। এ কারণে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ