নরসিংদীতে জুয়ার টাকা সংগ্রহে সহকর্মীকে হত্যা, ২ বন্ধু গ্রেপ্তার
Published: 5th, March 2025 GMT
জুয়ার টাকা সংগ্রহ করতে পরিকল্পিতভাবে দুই বন্ধু মিলে নৃশংসভাবে হত্যা করে তাদের সহকর্মীকে। এ সময় ছিনিয়ে নেয়া হয় ভিকটিমের ব্যবহৃত বাইসাইকেল ও মোবাইল ফোন। পরদিন ১২ ফেব্রুয়ারি সকালে নরসিংদী পৌর শহরের নাগরিয়াকান্দি এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয় সাইজিং মিল শ্রমিক এরশাদ মিয়ার মরদেহ।
বুধবার (৫ মার্চ) দুপুরে এমনই এক চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
এ সময় পিবিআইয়ের নরসিংদীর পুলিশ সুপার এনায়েত হোসেন মান্নান জানান, ঘটনার দুই মাস আগে চাকরি হারায় হত্যার মাস্টারমাইন্ড বিল্লাল মিয়া রনি। দীর্ঘদিন ধরে অনলাইনে জুয়া খেলে ঋণগ্রস্ত হওয়ায় তার বন্ধু ফরহাদকে নিয়ে পরিকল্পনা করে টাকা সংগ্রহের। পরিকল্পনা অনুযায়ী তাদেরই সহকর্মী এরশাদ মিয়াকে টার্গেট করে তারা।
আরো পড়ুন:
রোহিঙ্গা ক্যাম্পের হেড মাঝিকে কুপিয়ে হত্যা
অটোরিকশা চালককে হত্যার অভিযোগ, মহাসড়কে ৪ ঘণ্টা বিক্ষোভ
তিনি আরো জানান, গত ১১ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় ভিকটিম এরশাদ মিয়া নিজ বাড়ি শান্তিভাওলা থেকে শহরের কর্মস্থল সাইজিং মিলে যাবার পথে নাগরিয়াকান্দি এলাকায় পৌঁছলে পূর্ব থেকে ওঁৎপেতে থাকা রনি ও ফরহাদ তাকে পার্শ্ববর্তী বালুর মাঠে নিয়ে সাইকেল ও মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে ছুরিকাঘাত ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।
পুলিশ সুপার জানান, পরে সদর থানায় ভিকটিমের বড় ভাইয়ের দায়ের করা মামলা আমলে নিয়ে কাজ শুরু করে পিবিআই। পর দিনই ফরহাদকে গ্রেপ্তার করতে পারলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে হোতা বিল্লাল মিয়া ওরফে রনি। দীর্ঘদিন পর্যবেক্ষণের পর তাকে পার্শ্ববর্তী জেলা কিশোরগঞ্জের ভৈরব থেকে গ্রেপ্তারে সক্ষম হয় পুলিশ।
তিনি আরো জানান, ভিকটিমের ব্যবহৃত বাইসাইকেল মাত্র ৯০০ টাকা এবং মোবাইল ফোনটি ১ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি করে অভিযুক্তরা। তাছাড়া পূর্ব থেকে ভিকটিম এরশাদের বিকাশের পাসওয়ার্ড জানতে পারায় তার বিকাশে থাকা ৬ হাজার ৫০০ টাকা উত্তোলন করে তারা।
এ ঘটনায় অপরাধী দুজনেই তাদের দোষ স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন বলে জানান পুলিশ সুপার।
ঢাকা/হৃদয়/বকুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
তিনি চাকরি ছাড়বেন শুনলেই সহকর্মীরা হাসাহাসি করেন
নাটক, সিনেমা কিংবা ওয়েব—সব প্ল্যাটফর্মেই তিনি সরব। তবে অনেকেই হয়তো জানেন না, এই অভিনেতা চাকরির ফাঁকে শুটিং করেন। একসঙ্গে দুই জায়গায় মানিয়ে নিতে পারছিলেন না। এ কারণে দু–তিন মাস পরপরই সিদ্ধান্ত নেন, চাকরি ছাড়বেন। তাঁর এই চাকরি ছাড়ার কথা শুনলেই এখন সহকর্মীরা হাসাহাসি করেন। এই অভিনেতার নাম মোস্তফা মন্ওয়ার। আজ তাঁর জন্মদিন।
এই অভিনেতা এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, চাকরি ছাড়ার কথা তিন-চার মাস পরপর বলবেন—এটা সহকর্মীরা ধরেই নিয়েছেন। কারণ, শুটিংয়ে সময় দিতে হয়। অফিসেও দায়িত্ব পালন করতে হয়।
মোস্তফা মন্ওয়ার বলেন, ‘দীর্ঘ দুই দশকের বেশি সময় ধরে আমি অভিনয় ও চাকরি একসঙ্গে করছি। অনেকবার চেয়েছি চাকরি ছেড়ে শুধু শুটিং শুরু করি। কিন্তু কোনোভাবেই এটা হচ্ছে না। অর্থনৈতিক কারণে অভিনয়কেই শুধু পেশা হিসেবে নিতে পারছি না। চাকরিও ছাড়তে পারছি না। এর আগে চার-পাঁচবার চাকরি ছেড়েছি। কিন্তু আবার চাকরিতেই ফিরতে হয়েছে। ছুটির দিনে পরিবারকে সময় দিতে পারি না। শুটিংয়ে যাই।’
মোস্তফা মন্ওয়ার। ছবি: ফেসবুক থেকে